‘ইলা মিত্র: কাঁটাতারে প্রজাপতি’
Published: 18th, October 2025 GMT
‘হেঁই সামালো ধান হো/ কাস্তে দাও শান হো...।’ গতকাল শুক্রবার থেকে ফেসবুকে এই স্লোগান লেখা একটা ফটোকার্ড ভেসে বেড়াচ্ছে। ইলা মিত্রের ছবির সঙ্গে স্লোগানটি ব্যবহার করা হয়েছে। সাদা-কালো ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ড লাল। লাল অংশে লেখা হয়েছে স্লোগানের প্রথম অংশ। বাকি অংশ লেখা হয়েছে সাদা ছবির ওপর।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সেলিম রেজা নিউটন ফটোকার্ডটির শিরোনাম করেছেন সেলিনা হোসেনের ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’ উপন্যাসের নাম দিয়ে। ‘ইলা মিত্র: কাঁটাতারে প্রজাপতি’। মূল কার্ডটি তৈরি করেছেন এম আসলাম লিটন।
এসব আয়োজনই বলে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবার্ষিকী এসে গেছে। আজ শনিবার ১৮ অক্টোবর শোষিত ও নিপীড়িত সাঁওতাল কৃষকদের রানিমাখ্যাত বিপ্লবী ইলা মিত্রের জন্মের শতবর্ষ পূর্ণ হলো।
আরও পড়ুনইলা মিত্রের মামলার সেই নথি১৮ অক্টোবর ২০২৩১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর ইলা মিত্রের জন্ম হয়েছিল কলকাতায়। বাবা গগেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের অধীন বাংলার অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল। তাঁদের আদিনিবাস ছিল ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামে। ইলা মিত্র ১৯৪৪ সালে কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন।
আরও পড়ুননাচোলে তেভাগা আন্দোলনের সব স্মৃতিই যেন বিস্মৃতি১৮ অক্টোবর ২০২২জন্মশতবার্ষিকীতে কোথায় কী আয়োজন—খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। তাঁরা শোভাযাত্রা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালি কৃষক সমাবেশের আয়োজন করেছেন। শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় শোভাযাত্রা বের হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্কে সমাবেশের আয়োজনও আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় শোভাযাত্রা বের হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ ম ত র র জন ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে কারখানা চালু করল স্মার্টফোন নির্মাতা অনার
গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে এআই প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্টফোন তৈরির কারখানা চালু করেছে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান অনার। চীনের পাঁচটি অঞ্চল ও ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশে নিজস্ব ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরি কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ কারখানার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ সময় কারখানা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পরিচালক মো. নূরন্নবী, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া, অনারের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জর্জ ঝেং এবং গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেরিক ডেং উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে কারখানাটিতে একটি প্রোডাকশন লাইন দিয়ে প্রতিদিন দেড় হাজার ফোন তৈরি করা হবে। এক বছরের মধ্যেই আরও চারটি লাইন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে, ফলে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। কারখানাটিতে তৈরি প্রতিটি ফোনেই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা থাকবে। ফলে বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের প্রযুক্তি সক্ষমতা তুলে ধরা যাবে। কারখানায় যন্ত্রাংশ সংযোজনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোতে এআই প্রযুক্তিচালিত অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে ফোনগুলোর মান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। এখন আমাদের নিজেদের দক্ষতার যে ঘাটতি রয়েছে, তা কমাতে হবে। ডিভাইসের সহজলভ্যতা আরও বাড়াতে হবে, পাশাপাশি তরুণদের জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরির দিকেও নজর দিতে হবে। এই কারখানা চালুর মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনবল তৈরি হবে, দক্ষতা-বিনিময়ের সুযোগ বাড়বে এবং নতুন উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন। সরকারের ডিজিটাল গভর্নেন্স কাঠামো বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং স্মার্টফোন ব্যবহারের হার বৃদ্ধি করবে।’
অনারের স্মার্টফোন তৈরির কারখানা