কাশিপুরে খাল পরিছন্নতায় নিজেই নেমে পড়লেন যুবদল নেতা রনি
Published: 17th, October 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জে জেলা যুবদলের উদ্যোগে শুরু হয়েছে খাল পরিস্কার অভিযান।
শুক্রবার সকালে ফতুল্লার কাশিপুর দেওয়ানবাড়ি এলাকায় “কইল্লানি খাল” পরিস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।
ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে শুরু হওয়া এ অভিযানে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বহু নেতা-কর্মী অংশ নেন।
খালটিতে বছরের পর বছর ময়লা-আবর্জনা ও দূষণের কারণে সদর উপজেলা ও ফতুল্লা এলাকার প্রায় ১৫-২০ লাখ বাসিন্দা জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধের ভোগান্তিতে পড়েছিলেন।
উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমে মশিউর রহমান রনি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই দেশে প্রথম খাল খননের উদ্যোগ নেন। আমরা তাঁর নীতি অনুসরণ করেই জেলার ঐতিহ্যবাহী খালগুলো রক্ষায় মাঠে নেমেছি।
তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপি জনভোগান্তি নিরসনে কাজ করছে। কইল্লানি খাল পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমও সেই উদ্যোগেরই অংশ।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন,“দীর্ঘদিন ধরে সাবেক এমপি শামীম ওসমান এই খালের কোনো সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেননি। বরং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খালটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল।
তারা বর্ষা এলেই পানিতে নেমে অভিনয় করতো, কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হয়নি। এখন আমরা সত্যিকারের জনসেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করছি, যাতে মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পায়।”
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সহযোগিতা দেয়া বিডি ক্লিন নারায়ণগঞ্জ শাখার সমন্বয়ক জানান, “জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি খালটি পরিস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার পর আমরা সহযোগিতার হাত বাড়াই।
আজ প্রায় সাড়ে চারশত যুবদলের ও ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবী এ অভিযানে অংশ নিচ্ছে। যতদিন প্রয়োজন, আমরা এই খাল পরিষ্কার রাখার কাজ চালিয়ে যাব।”
প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে নারায়ণগঞ্জে মোট ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬৭টি খাল এখনো টিকে আছে। এর মধ্যে ১৭ কিলোমিটার খাল দখল হয়ে গেছে, সাতটি খাল কেনাবেচা হয়েছে এবং আরও নয়টি খাল মৃতপ্রায় অবস্থায় আছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ উর রহম ন য বদল র রহম ন র খ ল পর উদ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। এতে মো. নূর আলম আকন্দ আহ্বায়ক ও সাংবাদিক সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকনকে সদস্য সচিব করে ২৯ জন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি মনোনীত করে অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার ২৯ নভেম্বর বিকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া এবং মহাসচিব মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্যাডে এ কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে।
যেখানে নির্দেশনা দেয়া হয় গঠনতন্ত্রের আইন-কানুন মেনে ঢাকা বিভাগ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করে আগামী ০৩ মাসের মধ্যে সকল উপজেলা কমিটি গঠন করে সংগঠন পরিচালনা করতে হবে। এই পত্র জারীর ১৫ দিনের মধ্যে পরিচিতি সভা, স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি এ কমিটিকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও স্থানীয় প্রশাসনসহ সকলকে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন সালাউদ্দিন মোল্লা, আল আমিন প্রধান, মোঃ মাসুদ রানা হাছান, মোছাঃ আইমুন সুলতানা রুবা।
এছাড়াও সদস্য হিসেবে যুক্ত রয়েছেন মো. আরিফ, মোঃ নাদির হোসেন মিঠু, মোছাঃ তানিয়া আক্তার, মোঃ আরমান, মোঃ শামীম,মোঃ নাজমুল হক মোল্লা, মোঃ শামিম খাঁন, মোঃ স্বপন মিয়া, মোঃ নকিবুল প্রধান, মোঃ ইমন ইসলাম, ভূঁইয়া মোহাম্মদ মুরাদ, মোঃ ইকবাল প্রধান বাপ্পিমোঃ এডভোকেট তৌফিক হাসান আপেল, মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ ফিরোজ আলম, মোঃ এডভোকেট লিটন, মিঠু বসু, মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ শুভ, মোছাঃ মাসুমা আক্তার, মোঃ মিলন মিয়া, তাছলিমা আক্তার, মোঃ মাসুম মোল্লা।