বন্দরে প্রবেশ ফি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ও পণ্য পরিবহনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন অপারেটররা। 

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে বন্দরে সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে বন্দর থেকে কনটেইনার ও পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার অ্যান্ড ফ্ল্যাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হঠাৎ প্রতিটি গাড়িতে ১৭৩ টাকা বেশি ফি ধার্য করেছে কিন্তু স্পষ্ট করেনি অতিরিক্ত খরচ কারা বহন করবে। মালিক না শ্রমিকরা। ফলে ট্রেইলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক জরুরি সভার পর চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা পণ্য পরিবহন সমিতি, চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং প্রাইম মুভার অ্যান্ড ফ্ল্যাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোনো প্রকার পরামর্শ ছাড়াই ‘জোরপূর্বক’ নতুন ফি আরোপ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পরিবহন সংগঠনগুলো জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগ ১৩ অক্টোবর একটি অফিস আদেশ (নং-২২৩/২৫) জারি করে প্রতিটি ভারী যানবাহনের জন্য নতুন এন্ট্রি ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়ে মোট ফি দাঁড়িয়েছে ২৩০ টাকা, যা আগে ছিলো ৫৭ টাকা।

সংগঠনগুলো বিবৃতিতে জানিয়েছে পূর্বে ৫৭ টাকার প্রবেশ ফি হঠাৎ করে ২৩০টাকা নির্ধারণ করার প্রতিবাদে শনিবার সকাল ৬টা থেকে সব ধরনের গাড়ি বন্দরে প্রবেশ ‘অস্থায়ীভাবে স্থগিত’ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, “বন্দর সাধারণভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে, যদিও কিছু অভিযোগ এসেছে যে ট্রেলার মালিকরা কিছু যানবাহনের চলাচল স্থগিত করেছে। কিছু প্রভাব পড়েছে, আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর বহন প রব শ র বহন

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরে ক্লিনিকের শৌচাগার থেকে নবজাতক উদ্ধার

ক্যাপশন: মাদারীপুরে ক্লিনিকের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতকের চিকিৎসা চলছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের শৌচাগার থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। নবজাতকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মাদারীপুর শহরের লেকের দক্ষিণপাড়ের বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সাথী বেগম শৌচাগার পরিষ্কার করতে যান। এ সময় তিনি শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি নবজাতককে দেখতে পান। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে নবজাতককে দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের কর্মী স্বর্ণালী খন্দকার বলেন, ‘ক্লিনিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মী শিশুটিকে দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেন। নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে আমাদের ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।’

মাদারীপুর জেলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রিয়া আক্তার বলেন, নবজাতকের বয়স এক দিন। জেলা হাসপাতালে আনার সময় তার অবস্থা খারাপ ছিল। তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বলেন, নবজাতকের মা-বাবার পরিচয় খুঁজতে এরই মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়েছে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ