ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ২.৬৬ শতাংশ
Published: 18th, October 2025 GMT
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১২ থেকে ১৬ অক্টোবর) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ২.৬৬ শতাংশ।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.
এর আগের সপ্তাহের শুরুতে (৫ থেকে ৯ অক্টোবর) পিই রেশিও ছিল ১০.৩৮ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.১৫ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.২৩ পয়েন্ট বা ২.২২ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.০৭ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬.৫০ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ৯.৯২ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১০.৪৭ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১১.০৬ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১১.৬৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১১.৭৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১২.৬৮ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৪.০৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.২৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৫.৩৫ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৫.৬০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৬.৯৭ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১৯.১৭ পয়েন্টে, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৯.৮৭ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৪.৬৭ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৬.৯২ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৭.৪২ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ১২৪.০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৩১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১২ থেকে ১৬ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন কমেছে ৩১ হাজার ৪০৮ কোটি ৬ লাখ টাকা।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৪.৩০ পয়েন্ট বা ৩.১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১১৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৬৫.১২ পয়েন্ট বা ৩.২০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪৭.৯৮ পয়েন্ট বা ৪.২৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৬ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৭৭.০৮ পয়েন্ট বা ৭.২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৩ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ৮৪১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ৬৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৭৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, দর কমেছে ৩২৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৭টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৭৮.৮০ পয়েন্ট বা ৩.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ২.২৮ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৮১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ৩.১৫ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ৩.৬৬ শতাংশ কমে ৯১৩ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৯৩ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪ হাজার ২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৫৬৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৫ কোটি ৩ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, দর কমেছে ২৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা