শাকিবের নায়িকা কে? রুক্মিণী নাকি ইধিকা
Published: 28th, October 2025 GMT
‘প্রিন্স: ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ সিনেমায় অভিনয় করছেন শাকিব খান—এটা পুরোনো খবর। শাকিবের বিপরীতে কে থাকছেন—ঢাকা ও কলকাতার বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীর নাম সামনে আসছে।
এর মধ্যে গতকাল আনন্দবাজার ডটকম জানিয়েছে, শাকিবের নায়িকার তালিকায় রুক্মিণী মৈত্র ও ইধিকা পালের নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে চূড়ান্ত করা হতে পারে। তবে এখনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়নি।
সিনেমাটি প্রযোজনা করছে ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড। পরিচালনা করছেন আবু হায়াত মাহমুদ। এটি আগামী পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এতে ঢাকার একজন নায়িকাকেও নেওয়া হবে।
শাকিব খান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কোনো ইম্পসিবল বুঝতে চায় না মন
কে বাজায় কলিংবেল?
আমরা কি আর কথা বলি;
নাকি কথা বলে শরীর?
দুই মুখ, দুই হাত, দুই চোখ ফিসফিসিয়ে বলে
ব্যথার কথা, দূরবর্তী হৃদয়ের কথা।
কোনো ইম্পসিবল বুঝতে চায় না মন
বহুমাত্রিক উত্তেজনা, ফ্যান্টাসি
এইটারে মনে হয় ঠিকঠাক ডিল।
বহু বাসনায় আমার তেষ্টা পাইছে।
প্রেমের।
এ যেন এক কোরাল আইল্যান্ড।
ধুকপুক বুক,
খুব চুপ সন্ধ্যা আর তুমি।
জ্যাজের সাথে বেজে উঠবে শরীরের তারকাঁটারা।
অনেকদিন ধরে দুইটা প্রশ্ন হাতড়াই,
তোমার চোখে উত্তর পেলাম।
আমি আমার ভাগ্য লিখতে চাইছিলাম;
কিন্তু এরপর আমি বিশ্বাস আর প্রাইড দুইটাই হারায় ফেলছি।
তোমাকে পাইতে গিয়ে আমার প্রাইড গ্যাছে।
টেরিফিক!
সবার চোখের আড়ালে
অভূতপূর্ব ভালোবাসাবাসি হতে পারে,
কয়েকটা না লেখা কবিতার সাথে তোমাকে জুড়ে দেওয়া যায়।
দূরকে দূরের তারার সাথে তোমার তুলনা করি,
যদি হয় স্টার ফল তবেই তুমি!
আমরা কি জীবনের গভীর তাড়না থেকে বের হতে পারব?
সবুজ ঘাসে বসে কবে ভাবব যুদ্ধ বিরতি পৃথিবীর কথা?
কাপড় বদলে বদলে নিজেকে দেখি,
তোমার সাথে কথা বলা মূলত নিজের সাথেই।
মুখোমুখি বসি একটা নারীর;
যার জীবন একটা থিয়েট্রিকাল সেট।
হাসি, বিস্ময় আর লজ্জায় লাল হয়ে যাই।
আমার ভেতরে এক নারী, সে নারী শঙ্খসুর বাজায়।
প্রশ্ন নিয়ে তাকায়ো না,
ধরতে পারি না।
যদি একবার দুইহাতের মোনাজাতে তোমার মুখ পাই,
সে মুখে আমি আঁকব বিটোফেনের সপ্তসুর।
যদি একবার বুকের খাঁচায় রাখতে পারি তোমাকে,
তবে তোমারে ভুলায়া দিব বিগত প্রেমিকারে।
যদি তোমাকে নিয়ে চলে যাইতে পারি নদীর পাড়ে,
তবে দেখাব অশ্রুর দাগ।
তোমার বিগত নারীর থেকে আমি আলাদা দাঁড়াব।
ছোট্ট একটা পাখির কিচিরমিচির ভরিয়ে দেব চারপাশ।
যেনবা নতুন প্রেম, সদ্য ফোটা হাস্যোজ্বল ফুল!
তোমাকে কি ধরা যায়?
যেভাবে ধরতে পারি এখনকার বাতাস।
তোমাকে কী ধরা যায়?
যেভাবে ধরি ঢাকারে, এই পথঘাটরে।
কখনো তোমার মুখ, কখনো তার চেয়েও নিখুঁত দুঃখবোধ,
আমাকে ধরে ফেলে।
আমার হাত থেকে পিঠে ছড়ায়া যায় তোমার নাম।
আমি বাতেলা দেই নিজেকে,
তোমাকে যে লাগে এখন!
গত শীতে তুমি কার সাথে কম্ফোর্টার শেয়ার করতা?
এই শীতে কি একই কম্ফোর্ট পাইতেছ?
নাকি আরও করুণ শীত?
তোমার মতন কোনো ডাইং অ্যানিম্যাল দেখি নাই।
নিজেও মরতেছ, আমাকেও নিছো সাথে।
এইসব জলে, এই জঙ্গলে
কেউ লাফ দ্যায়?
কী ভেবে তুমি আসলা এদিকে?
বাংলাদেশের ঝড় জলের রাতে কেন আসলা আমার দিকে?
আমি শীতল রাত্রে তোমাকে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছি।
তুমি থামতে পারো এবার।
তোমাকে দেখি নাই কোনোদিন,
তবু যেন এক পরম সুন্দর হাঁসের মতো তুমি হেসে ওঠো।
আমি বুঝি।
আমি কবে সে হাসির দিকে যাব জানি না।
তুমি চিঠি দিয়ো।
আমাকে দিয়ো প্রেমের কলিংবেল!
আমাকে ডেকো নানাবিধ নামে।
শুধু যেহেতু শব্দই রয়।
হতাশ বিলাইয়ের সুরে ডাকতেছি; মাঁও
স্পটিফাইতে পোস্ট পাংক।
দুনিয়াটারে ট্রাবলমেকার মনে হয়।
এরপর বইসা বইসা শব্দের রাশি রাশি ধানকাটা।
এইসব নিয়ে ক্রিটিক্যাল হয়েন নাহ।
কবিতা তো আমার না,
আমিতো কবিতার না।
আমরা পরস্পরের মুখে হাত বুলাই শব্দে শব্দে।
কবিতারে আমি বুঝি সানাইয়ের সুরে।
মৃদঙ্গম।
ঝংকারে ঝংকারে রক্তের ফোঁটা।
কবিতার ভেতরে তো আপনারে খোঁজা যায় না।
আপনারে আসলে খোঁজাই যায় না।
সুতরাং কবিতার মতন অপারগ নারী নিয়া
অতো ক্রিটিক্যাল হয়েন নাহ।
আপনার দিকে না তাকায়াও বোঝা যায়,
এত ফেনিল, এত পরাজয়, এত চার্ম!
সে এক আশ্চর্য মুখ!
সে মুখ ঘন অবজ্ঞার, সে মুখ বিষাদের সরোদ।
আমার এই জল টলমলে লেখাপত্রে তাই
বিস্ময় খুঁইজেন না।
আমরা অন্তত কবিতার ভেতর; নন পলিটিক্যাল থাকি সোনা।
আমাদের আরবান এইসব পোয়েট্রি
দ্বিধার ভেতরে ভেতরে থাকে।
শব্দে শব্দে নজরবন্দী খেলা।
আটকা পড়া পাখির মতন
ডানা ঝাপটায় যাই, অমোঘ সন্ধ্যায়
তবু আর হইতেছেনা ঘরে ফেরা।
দুই ঠোঁটে মরণের তৃষ্ণা।
আমি সেইসব অতিক্রম করে এসে দাঁড়াই নিজের কাছে,
নিজের বুকের ফালির কাছে।
আমার কোনো রিমোর্স নাই, শুধু কবিতা আছে—
বিষাদ অথবা কিছু নিয়াই আমি ভাবি না
জাস্ট গোয়িং উইদ দ্য ফ্লো উইদ মাই ওয়ার্ডস
কোনো প্রেমিকের মুখবন্ধ লেখতে বসিনাই,
আমার নাই ঐতিহাসিক দায়বোধও।
কবিতার নাম করে আমি বাঁদুড়ঝোলা ঝুলে আছি;
আমি রাস্তায় হাঁটার সময় ধাক্কা খাই লোকের সাথে।
আমার ঘোর ঘোর লাগে,
যেনবা এখনি দাঁড়াব আপনার সামনে।
এখনি আমার কবিতারা হইতে থাকবে বর্ণহীন,
খুলে পড়বে আব্রুর সবটুকু।
আমার কবিতা নিয়া রিল্যাক্স থাকেন।
আমার কবিতারা ঝিঁঝিঁঝিঁ করে ডাকবে সন্ধ্যায়।
আমি একটা ক্রিটিক্যাল টাইম পার করতেছি।
অলরেডি।
আমার বুকে যদি একবার কান পাতেন;
কমপ্লিট ব্ল্যাক আউট।
আমার স্বভাব ছলনা নির্ভর।
আমি বুঝতে চাইতেছি না কিছুই।
তাই আমার কবিতা নিয়া ওভার প্রমিজ কইরেন না সোনা।
আমাকে বহুত হাইকোর্ট দেখাইলেন।
আমি লাল শাকের মতন নুয়ে পড়ছি বইলাই পারলেন।
আমি বাতাবি লেবুর মতন রক্তিম তাই পারলেন।
আমাদের কান্নায় ভইরা উঠতেছে শহরের সব পানির ট্যাংকি।
অভিমানের দাবানলে পুড়ে যাইতেছে কল-কারখানা।
আমি তাই এই শহরে, শব্দের ভেতরে, গোপন ভাঁজে ভাঁজে
জিভ দিয়ে লিখি কবিতার নাম।
জান হাতে নিয়া লেখি সময়ের জটলা।
এইটাই অনেক ট্রেন্ডি জান।
এইটাই আমাকে শান্ত রাখে।
এইটা নিয়া,
এই গলে যাওয়া ভাতের মতন কবিতা নিয়া
আপনি আর ক্রিটিক্যাল হইয়েন নাহ প্লিজ সোনা।
রোশনাই, মোম টোম
মনের সাথে রাত নরম।
নাচো গো কালী,
তুমি থাকো প্রসন্ন,
রাত্রিদেবী, তুমি জাগ্রত থাকো আমারই মতন।
মহামায়া কালী, দিকবসনা
মুণ্ডুমালায় জগৎ নাচে যার।
তার জিহ্বা ধারালো ছুরি।
সংসার কেটে কেটে যায়।
নারীর যথার্থ সঙ্গী আর নাই এই মাটিতে।
কালির নাচনে তাই কাঁপে চতুর্দিক।
ঘনকালো ঢেউয়ে, চুলে চুলে,
ঘিরে যাচ্ছে কালো থেকে কালোয়।
সে কালো আমাকে নিয়ে যাচ্ছে এই দীপাবলির রাতে,
সুদূরে।
নাচো তাধিন,
নাচো স্বাধীন,
পাড়া দাও প্রেমিকের বুকে।
পাড়া দাও নরনারীর বুকে।
মহাপ্রলয়ের তুমি নারী,
পাপহারিনী।
ওহ কালী,
তোমার সজল চোখে
ভয় আর কৃপা।
ঘোরে ঘোরে দুনিয়াদারি।
দীপাবলির এই রাত,
অপ্রেমিকের মাথা খাওয়ার মোক্ষম রাত।
রক্ষাকালী, ভদ্রাকালী, দক্ষিণাকালী, ফলহারিনী
নিশাকালী, শ্মশানকালী, কাম্যকালী।
বাংলা মেয়ের চোখ পানিতে সাজালি।
কালী তুমি নৈবেদ্য ফিরায়ে দাও।
ফুল ফল সাজানো থালি।
তুমি ফিরায়ে দাও।
দীপাবলির এ রাতে নাচো তাধিন।
সজোরে পাড়া দিয়ে ধরো শয়তানের বুক।
কালী, তুমি যে শ্রীহরি
আজ দীপাবলির রাত ব্যথায় উঠছে ভরি।
তুমি সে ব্যথায় নাচো,
তুমি বিরহের অনলে নাচো শ্যামা।
তুমি শিবশঙ্কর,
তুমি চিরদুখী মাতঙ্গিনী।
কালীর কালোতে নারী যেন এক অকূল স্রোতস্বিনী।
প্রেম রাক্ষসরে বধ করো আজ দীপাবলির রাতে
আজ ধূমাবতীরে আনো ডাকি।
আজকের আন্ধারে উড়ে যাচ্ছে মৃত্যুর পাখি।
আমার ভেতরের নারী,
তার ভেতরের আরেক জন।
তারা ভালোবেসে বুকে রাখে মৃত্যুরে।
তারা জানে বাঁধন বলতেছে কারে।
উমা পার্বতী মহামায়া
বুকে ধরি।
ভূমার অধিশ্বরী
আমাকে শেখাও আজ দীপাবলির রাতে
কী করে হয় কঠোর।
কী দুঃখে কণ্ঠে তোলে জবা ফুল।
কী প্রেমে লাল হয় অধর।
হে মৃত্যুরূপা কালি।
তোমার স্বরূপে নামতেছে কালো,
আমি সে কালোরে ধরি।
আমি আঁধারের শরীরে শুয়ে পড়ি।
কালো নাচো তাধিন!
আমি তোমারই মতো স্বাধীন!
অনন্ত রাত্রির তুমি কড়া নাড়ো,
তুমি নেচে যাও অবিরাম।
আমি তোমারই সাথে মহাপ্রাণ, নাচি।
আমি প্রেমিকের বুক ছিঁড়ে দুই ভাগ করে বাঁচি।
আমার সপ্তজিহ্বায় পিরিতের স্বাদ;
আমাকে জাগাও শ্যামা!
কৃপা করো প্রেম থেকে।
আমাকে নিয়ে যাও আন্ধারে।
আমাকে শেখাও হতে পাষাণসম।
দশমহাবিদ্যা ধরে তুমি আসো,
তুমি নাচো তাধিন,
তোমার কোমরবন্ধনীতে নাচাও শিবেরে।
তুমি দীপাবলির রাতে
কৃপা করো মহামায়া।
প্রেমের শয়তানকে রাখো মেরে।
কালীরে কালী
জবা ফুলের মালি,
আজ দীপাবলির রাতে;
আমাকে দাও তুলি
উগ্রতার হাতে।
আমি উড়নচণ্ডী নাচি।
আমার জগৎ নাচে।
শ্যামা, আজ দীপাবলির রাতে,
করতালিতে চলো নাচাই পুরুষের অবজ্ঞারে।
শ্যামা, তোমার গোপন রূপে
আজ দীপাবলির রাতে চলো যাই।
সজল ঘন কোনো জঙ্গলে।
আবহাওয়ার ভাবালুতা চলতাছে
অনেক বেশি একলা থাকার বাতাস।
সারা পিপলকে ফেলে পিছনে থাকার দিন আজকে।
বৃষ্টি চইলা গ্যালো
অ্যাজ ইফ রাগ হইছে ওর।
হেমন্ত ইজ হেমন্তইং মোর দ্যান এনিথিং।
আমার গায়ে বাতাস লাগছে।
বিরহের তাবিজ লাগছে।
স্যুটকেসে ইমোশন গুছাইতেছি
তোমার দিকে যাব।
বলাবলির সময় পার হয়্যা গেছে;
এখন শুধু অ্যাকশন সিন।
আজকে ঢাকার যেই বাতাস সেইখানে তুমি নাই।
আমি যদি জন্মের সময়ের কথা ভাবতে যাই,
তাইলে আর আগাইতে পারব না।
আমি তাই ভাবতেছি মৃত্যুর কথা।
ওইদিকে আগানো সোজা।
আজকে ঢাকার বাতাসে আগানো কঠিন।
পথে-বিপথে ঘুরে
রুটি ভাগ করে খাইতেছে আমার ফ্রাস্ট্রেশনরা
কথাবার্তা সব গানের মতো শুনাইতেছে,
বিরহের সবকয়টা জানালাকে বন্ধ করে দিছি।
আজকে ঢাকার যেই বাতাস আজকে ভুইলা থাকার দিন।
দেশ আর বিদেশ কি আলাদা?
মানুষ আর তার অমানুষ কি আলাদা?
রাত বাড়লে কামিনী ফুলের মতো তোমার গায়ে বসা কি খারাপ?
আমি বসতে চাই তোমার পাশে
ঢাকার আজকের বাতাসে।
আজকে বাড়ি ফেরার দরকার নাই।
আজকে প্রেমের কথা ভাবা দরকার।
ঢাকায় শুধু জুয়াখেলা, আধভাঙা মানুষ, কান্নার দাগ
নিজের শরীরে হাত রাখি,
মনে হয় তোমাকে ধরলাম।
আমার পা দুইটা আলতার রঙে রঙিন ছিল একদিন।
আমি স্মৃতির মতো সেই পায়ের কথা ভাবি।
আজকের বাতাশে বসে বসে ভাবি।
আমি প্রথম বেদনার পর;
দ্বিতীয় বেদনা হিসাবে তোমাকে পাইলাম।
প্রত্যাখ্যান করা তাই আমার জন্য সহজ।
আজকের বাতাস আমার গায়ে লাগছে।
আমার দুঃখ হয় না।
আমি তোমাকে বিদায় বলতে পারলাম না,
তাই আজকের বাতাসে
গভীর রাতে কেউ বাড়িতে নামায় দিয়ে গেল না।
আমি সবাইকে বললাম, ফিরে যাও।
আমি তাকায়া থাকব আমার প্রিয়জনের দিকে।
আমি যাব আমার সবচেয়ে প্রিয় ঘ্রাণের দিকে।
অথচ সেই ঘ্রাণ আমি আর পাই না।
আমি একা একাই ঘুরিফিরি।
একাএকাই বাতাস খাই।
আমি একটি দুঃখের কথা কইতে চাই।
কিন্তু যারে কইতে চাই, সে কি ঢাকার বাতাস টের পায়?