ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর ২০২৫) অনন্য গৌরবের মুহূর্তের সাক্ষী হলো। পর্তুগিজ রাজপরিবারের প্রধান ব্রাগঁজা ডিউক তাঁর রাজকীয় সফরে আজ সাভারের বিরুলিয়ায় ডিআইইউ ক্যাম্পাস ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে যান।

এই সফরের আকর্ষণ ছিল লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব স্বাক্ষর অনুষ্ঠান, যা ভবিষ্যতে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এ ছাড়া এই সফরের মাধ্যমে ফেয়ার পে চার্টারের বাংলাদেশ অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো.

সবুর খানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য হলো চা–সংস্কৃতি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও বৈশ্বিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে একাডেমিক, সাংস্কৃতিক ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক সহযোগিতা জোরদার করা। এ অংশীদারত্বের আওতায় ডিআইইউ টি মাস্টারিং (Tea Mastering) বিষয়ে একটি স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালু করবে।

আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে ডিআইইউ ও পর্তুগিজ রাজপরিবারের প্রধানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে ‘ডিউক অব ব্রাগঁজা ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যান্ড সার্ভিস প্রোগ্রাম–বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারক। এর থিম হলো ‘সেবার মাধ্যমে নেতৃত্ব’। সফরের অংশ হিসেবে ডিআইইউ ক্যাম্পাসে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘ডিউক অব ব্রাগঁজা হেরিটেজ স্টুডিও’।

ব্রাগঁজা ডিউককে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার সম্মান। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. সবুর খান। তিনি বলেন, ‘পর্তুগালের রাজপরিবারের এই সফর ও লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব ড্যাফোডিলের আন্তর্জাতিক উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।’

ছবি: বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড আইইউ পর ত গ

এছাড়াও পড়ুন:

মানবসম্পদ উন্নয়নে অবদান রাখায় কে এম হাসান রিপনকে বিশেষ সম্মাননা

মানবসম্পদ উন্নয়ন ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গ্রিন এইচআর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ড. কে এম হাসান রিপনকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। 

এই সম্মাননা প্রদান করা হয় ফাউন্ডেশনের নিয়মিত ৩৩১তম পাঠচক্রে। 

ড. রিপন সম্প্রতি ভারতের টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘কৌশলগত কর্মদক্ষতা উন্নয়নের কাঠামো’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন, উদ্যোক্তা বিকাশে অবদানের জন্য সুপরিচিত বক্তা, লেখক ও পরামর্শক।

পাঠচক্রের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘কৌশলগত কর্মদক্ষতা উন্নয়নের কাঠামো’, যেখানে ড. রিপন তাঁর গবেষণার অভিজ্ঞতা, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্মদক্ষতা উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে ড. রিপন বলেন, ‘গ্রিন এইচআর ফাউন্ডেশনের পাঠচক্র শুধু একটি জ্ঞানচর্চা নয়—এটি একটি ইতিবাচক চিন্তা ও মূল্যবোধের আন্দোলন। বাংলাদেশে যত বেশি এমন সচেতন, মানুষকেন্দ্রিক ও ইতিবাচক উদ্যোগ বাড়বে, দেশ তত দ্রুত এগিয়ে যাবে।”

গ্রিন এইচআর ফাউন্ডেশন-এর প্রেসিডেন্ট রওশন আলী বুলবুল বলেন, “ড. রিপন বাংলাদেশের কর্মদক্ষতা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের অঙ্গনে এক আলোকবর্তিকা। তাঁর গবেষণাভিত্তিক অবদান আমাদের মানবসম্পদ খাতকে ভবিষ্যতের জন্য আরও প্রস্তুত করবে। তাঁকে এই সম্মান জানাতে পেরে আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।” 

সম্প্রতি গ্রিন এইচআর ফাউন্ডেশন সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা সংগঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রতি শুক্রবার আয়োজিত এই পাঠচক্রে দেশের বিভিন্ন খাতের পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন, যেখানে নেই প্রতিযোগিতা বা নেতিবাচকতা; বরং রয়েছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ইতিবাচক শক্তি এবং মানুষকে মূল্য দেওয়ার সংস্কৃতি।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানবসম্পদ উন্নয়নে অবদান রাখায় কে এম হাসান রিপনকে বিশেষ সম্মাননা