তামিম ইকবাল অধ্যায়ের অবসান তো হলো। এবার কি তবে সাকিব আল হাসান? অবস্থাদৃষ্টে সেটাই মনে হচ্ছে। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে জটিলতায় আগামীকাল ঘোষণা হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ জনের দলে তাঁর না থাকাটা একরকম নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে প্রশ্নটা আসেই—তামিমের মতো সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও কি এখানেই শেষ?

কাল রাত পর্যন্ত যা খবর, সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নিয়ে কোনো ইতিবাচক খবর পায়নি বিসিবি। এটাও বোঝা যাচ্ছে যে দল ঘোষণার আগে সেরকম কোনো খবর আসার সম্ভাবনাও নেই। এদিকে বিসিবি মনে করে না যে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে খেলার মতো অবস্থায় আছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে তাই সাকিব থাকছেন না বলে নিশ্চিত করেছে বিসিবির একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র।

তাতে অবশ্য অকূল পাথারে পড়ে যাচ্ছে না গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি। কারণ, এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা শুরু থেকে কমই ছিল। নির্বাচকেরা তাই অনেকটা সেভাবেই দল গুছিয়ে রেখেছেন। সাকিব, তামিম খেললে তখন তাতে কাটছাঁটের প্রশ্ন আসত। তবে হ্যাঁ, ওপেনিংয়ে তামিমের অভিজ্ঞতা আর অলরাউন্ডার সাকিবের একের ভেতর দুই সত্তাকে তো মিস করবেই বাংলাদেশ।

সমারসেট–সারে ম্যাচে বোলিং করছেন সাকিব। এই ম্যাচেই প্রশ্ন উঠেছে তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তুরস্কে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে সিনদিরগি শহরে ভূমিকম্প হয়েছে। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে শহরটিতে দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিকম্প হলো। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

তুরস্কের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ভূমিকম্পটি হয়। দেশটির অর্থনৈতিক রাজধানী ইস্তাম্বুল ও পর্যটন শহর ইজমিরেও কম্পন অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পের পর তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের পর তিনটি ভবন ও একটি দোকান থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে সেগুলো ধসে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।’

এর আগে গত ১০ আগস্ট একই মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয় সিনদিরগি শহরে। এতে একজন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছিলেন। শহরটির অবস্থান তুরস্কের পাহাড়ি অঞ্চলে। ইজমির শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৩৮ কিলোমিটার।

তুরস্ক ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। নিহত হন অন্তত ৫৩ হাজার মানুষ। এতে রাজধানী আঙ্কারার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া চলতি বছরে জুলাই মাসের শুরুতে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পের একজন নিহত হন। আহত হন ৬৯ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ