শেষ সময়ে ভাই-বোনসহ কয়েক কর্মকর্তাকে আগাম ক্ষমা করলেন বাইডেন
Published: 20th, January 2025 GMT
হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেওয়ার আগ মুহূর্তে পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে আগাম ক্ষমা করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জো বাইডেন তার ভাই জেমস, ফ্রান্সিস ও ফ্রাঙ্ক বাইডেন এবং বোন ভ্যালেরি বাইডেন ওয়েনসসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে ক্ষমা করেন।
এ প্রসঙ্গে জো বাইডেন বলেন, ক্ষমার উদ্দেশ্য ছিল তার পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ থেকে রক্ষা করা।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার আগে তিনি আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে আগাম ক্ষমা করেন যাদের মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্টের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ও দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (এনআইএআইডি) পরিচালক অ্যান্থনি ফাউচি এবং জয়েন্ট চিফের সাবেক চেয়ারম্যান মার্ক মাইলি। ২০২১ সালের৬ জানুয়ারির যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে দাঙ্গা এবং ওই দিনের ঘটনায় ট্রাম্পের ভুমিকা নিয়ে তদন্ত করেছিলেন এই কমিটির কর্মকর্তারা।
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বাইডেন বলেছেন, এই সরকারি কর্মচারীদের অক্লান্ত প্ররিশ্রমের কারণে তাদের কাছে আমাদের জাতি কৃতজ্ঞ।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যেসব কর্মকর্তাদের ক্ষমা করা হয়েছে তারা হাউস সিলেক্ট কমিটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এমন ব্যক্তি। একই সাথে সদস্য ও কর্মীরাও রয়েছেন এই ক্ষমার আওতায়।
কোভিড মহামারির সময়ে অ্যান্থনি ফাউচি যুক্তরাষ্ট্রে বেশ তৎপর ছিলেন। তবে ট্রাম্প ও তার রাজনৈতিক মিত্ররা তার সমালোচনায় মুখর ছিলেন। মাইলি ট্রাম্পের একজন কট্টর সমালোচক ছিলেন। তিনি ট্রাম্পকে ‘আপাদমস্তক ফ্যাসিবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
হোয়াইট হাউস বিবৃতিতে বলেছে, এই সরকারি কর্মচারীরা আমাদের জাতিকে সম্মান ও মর্যাদার সাথে সেবা করেছেন। তাদের অন্যায় ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের লক্ষ্যবস্তু হওয়া কাম্য নয়।
ট্রাম্পের অভিষেকের জন্য ক্যাপিটল রোটুন্ডায় আসার আগে ওই বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ‘আমার পরিবার সবসময় আক্রমণ ও হুমকির শিকার হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে আঘাত করার ইচ্ছা থেকে এমন করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমার বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই যে, এই আক্রমণগুলো শেষ হবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা চুক্তি অবিলম্বে প্রকাশের দাবি সিপিবির
শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের করা ‘গোপন চুক্তির’ পূর্ণাঙ্গ বিবরণ অবিলম্বে জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)।
বিবৃতিতে সিপিবির শীর্ষ নেতারা বলেন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসাধারণকে অন্ধকারে রাখা গণতন্ত্রবিরোধী এবং সংবিধানপরিপন্থী। দেশের জনগণ জানতে চায়, কোন বিষয়ে কতটা ছাড় দিয়ে এবং কী ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
এই চুক্তি নিয়ে বর্তমানে দেশজুড়ে উদ্বেগ, সংশয় ও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এই উদ্বেগ সরকার উপেক্ষা করতে পারে না। বিশেষ করে যখন ‘নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টের’ আওতায় অনেক তথ্য গোপন রাখা হয়েছে, তখন সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
অবিলম্বে চুক্তি প্রকাশ করে দেশের জনগণের সংশয় সরকারকে দূর করতে হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে, এই তথাকথিত ছাড়ের বিপরীতে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি দামে গম ও এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) কিনতে হবে। ২৫টি বোয়িং বিমান কিনতে হবে। ১১০টি মার্কিন পণ্যকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিতে হবে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের খনিজ সম্পদের ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হচ্ছে।
সিপিবির শীর্ষ নেতারা মনে করেন, জনগণ ও সংসদে আলোচনা ছাড়া এ ধরনের ‘গোপন চুক্তি’ সম্পাদনের কোনো নৈতিক বা সাংবিধানিক অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।