মধ্যপাড়া পাথর খনির ভূগর্ভে শ্রমিকের মৃত্যু
Published: 16th, April 2025 GMT
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনির ভূগর্ভে সোহাগ বাবুল (৪৩) নামে এক শ্রমিকের মুত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে খনির ভূগর্ভে কাজ করার সময় ভেন্টিলেশন লেভেল থেকে পরে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন উর রশিদ।
মারা যাওয়া সোহাগ বাবুল রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের ঘিরলাই মালতলা গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে। তিনি খনিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
রূপগঞ্জে যৌথবাহিনী-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
বাসচালকে মারধরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক
পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন উর রশিদ জানান, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাথর উত্তোলনের কাজ করছিলেন সোহাগ বাবুল। এসময় ভেন্টিলেশন লেভেল থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। মধ্যপাড়া ফাঁড়ি পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
খনির পাবলিক রিলেশন অফিসার সৈয়দ রফিজ উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে খনির ভূগর্ভে কাজ করার সময় শ্রমিক সোহাগ বাবুল অসাবধানতা বসত ভেন্টিলেশন লেভেল থেকে পড়ে যান। এঘটনায় তার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর খনি কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে কোনো আপত্তি না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খনি নীতিমালা অনুযায়ী তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?