কক্সবাজারে নতুন করে আসা ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন
Published: 5th, May 2025 GMT
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত, সহিংসতা ও খাদ্যসংকটের কারণে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত আছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ের হিসাবে, গত এক বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছেন।
নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ার পেছনে রাখাইনে আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে সংঘর্ষকে বড় কারণ বলে জানিয়েছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা।তাঁরা বলছেন, গত কয়েক মাসে রাজ্যটিতে খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
আরআরআরসির অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ১ মে পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে রাখাইন রাজ্য থেকে নতুন করে পালিয়ে আসা ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। গত এক বছরের ব্যবধানে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে এসেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছেন গত বছরের জুন-জুলাই মাসে। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহায়তা দেওয়া হলেও তাঁদের জন্য ঘর বরাদ্দের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
ওই দিন আরসা মংডুর প্যাথার গ্রামের কাছে পৌঁছে আরাকান আর্মির অবস্থানে হামলা চালায়। আরাকান আর্মিও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি ও সংঘর্ষের পর আরাকান আর্মি আরসাকে ঠেকাতে মাঠে নামে।যে কারণে অনুপ্রবেশমিয়ানমারের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপ সম্পূর্ণরূপে দখল করলেও সেখানে আরসা সক্রিয় রয়েছে। তারা আরাকান আর্মির ওপর অতর্কিত আক্রমণ করছে এবং আরসার সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকেরাও (রোহিঙ্গা) রয়েছেন। গত এপ্রিলে আরসার ৪০ জনের বেশি সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করে আরাকান আর্মি।
গত ২৮ এপ্রিল আরাকান আর্মি ও আরসার মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার খবর প্রকাশ করেছে রাখাইন রাজ্যের অনলাইন গণমাধ্যম ‘নিরানজারাত’। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন আরসা মংডুর প্যাথার গ্রামের কাছে পৌঁছে আরাকান আর্মির অবস্থানে হামলা চালায়। আরাকান আর্মিও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি ও সংঘর্ষের পর আরাকান আর্মি আরসাকে ঠেকাতে মাঠে নামে। পরিস্থিতি খারাপ দেখিয়ে ওই দিন থেকে মংডু টাউনশিপে ঢোকার পথ ও শহরের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় আরাকান আর্মি।
সম্প্রতি রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে টেকনাফের শালবন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নেওয়া রোহিঙ্গা আবদুল গফুর বলেন, আরসাকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে আরাকান আর্মি তাঁদের (রোহিঙ্গা) ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। ঘরবাড়ি দখল করে রোহিঙ্গাদের গ্রামছাড়া করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ধান-চালও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা পুরুষদের ধরে নিয়ে ব্যারাক নির্মাণকাজে বাধ্য করা হচ্ছে। ঘরে ঘরে খাদ্যসংকট চলছে। আবার বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় মাথাপিছু পাঁচ হাজার কিয়াত (মিয়ানমারের মুদ্রা, ১৮ কিয়াতে ১ টাকা) করে ঘুষ দিতে হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। রাখাইন রাজ্যে চরম খাদ্যসংকটের মধ্যেও আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়েরটেকনাফের শালবাগান আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা আমির হামজা বলেন, তাঁর কিছু আত্মীয়স্বজন মংডুর সিকদারপাড়ায় বসবাস করেন। গতকাল যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন, শুক্রবার সকালে আরাকান আর্মি সিকদারপাড়ায় ঢুকে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। এরপর ঘরবাড়ি থেকে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের খোলা মাঠে জড়ো করে আরসাকে কারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাঁদের নামধাম জানার চেষ্টা করেন। গত কয়েক দিনে রাখাইন রাজ্যের লডাইং, উচিংজং, নাকপুরা, কুলিপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকা থেকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদীর অন্তত ৪৫ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবিকে কঠোর অবস্থানে রাখা হয়েছে।টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমানরোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। রাখাইন রাজ্যে চরম খাদ্যসংকটের মধ্যেও আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। তাতেও মাথাপিছু পাঁচ হাজার কিয়াত করে গুনতে হচ্ছে। আরাকান আর্মির আচরণের পরিবর্তন না ঘটলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জীবনেও সম্ভব হবে না। অনুপ্রবেশও ঠেকানো সম্ভব হবে না।
রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের জানান, বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি (নতুন আসা ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা এই হিসাবের বাইরে)। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। গত আট বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।
তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেশি হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের চারটি পয়েন্ট, উখিয়ার পালংখালীর পাঁচটি এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়নের ১৩টিসহ মোট ২২টি পয়েন্ট দিয়ে।সীমান্তে ২২ পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশগতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত টেকনাফ-উখিয়ার নাফ নদীর অন্তত ৩৪ কিলোমিটার ঘুরে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এ সময় নাফ নদীতে মাছ ধরার নৌকা চোখে পড়েনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, রাত ১০টার পর নাফ নদীতে টহল সীমিত হয়ে পড়লে নৌকা নিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। ওই সময় চোরাকারবারিরাও সক্রিয় হয়।
তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেশি হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের চারটি পয়েন্ট, উখিয়ার পালংখালীর পাঁচটি এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়নের ১৩টিসহ মোট ২২টি পয়েন্ট দিয়ে। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অনেকে টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নিলেও অনেকে বিভিন্ন গ্রামে লোকজনের বাসাবাড়িতে আত্মগোপন করেছেন। এমনকি ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার, মহেশখালী, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও পতেঙ্গা এলাকায় পাড়ি জমাচ্ছেন অনেক রোহিঙ্গা। গত শনিবার পতেঙ্গা সৈকতের মুসলিমাবাদ বেড়িবাঁধ থেকে অনুপ্রবেশকারী ৩৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে র্যাব।
র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফফর হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে ট্রলারে করে রোহিঙ্গারা পতেঙ্গা ঘাটে নামেন। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী-শিশুও রয়েছে।
ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার, মহেশখালী, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও পতেঙ্গা এলাকায় পাড়ি জমাচ্ছেন অনেক রোহিঙ্গা। গত শনিবার পতেঙ্গা সৈকতের মুসলিমাবাদ বেড়িবাঁধ থেকে অনুপ্রবেশকারী ৩৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে র্যাব।টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদীর অন্তত ৪৫ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবিকে কঠোর অবস্থানে রাখা হয়েছে। গত চার মাসে এই সীমান্ত দিয়ে দৃশ্যমান রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির–সংলগ্ন কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে আটক করে আবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তবে রাতে উখিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে বলে বিজিবির ওই কর্মকর্তা স্বীকার করেন। অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালান ঠেকাতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১ ল খ ১৮ হ জ র র হ ঙ গ আর ক ন আর ম র র খ ইন র জ য র অবস থ ন ম হ ম মদ ন ফ নদ দ র অন আরস র আরস ক
এছাড়াও পড়ুন:
নিজের নাম বদলে বন্ধুদের ‘প্রিন্স’ বলে ডাকতে বলতাম: মাহতিম সাকিব
মাহতিম সাকিব। তারকা কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি তাঁর গাওয়া ‘জংলি’ সিনেমার ‘মায়া পাখি’ গানটি প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
‘মায়া পাখি’ গান নিয়ে কেমন আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে?
আলোচনা-সমালোচনা যা হওয়ার, তা সোশ্যাল মিডিয়াতেই বেশি হয়। আমি তো সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকি না, তাই ‘মায়া পাখি’ গান নিয়ে সেখানে কে কী লিখছে, তা জানার সুযোগ হয়নি। তবে গানের ভুবনে যারা পরিচিত, তাদের অনেকে গানটি পছন্দ করেছেন; অনেকের ভালো লাগছে বলেও তারা জানিয়েছেন।
প্রিন্স মাহমুদের সুরে প্রথম প্লেব্যাক করলেন, কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা?
সত্যি বলতে কী, প্রিন্স মাহমুদের ফোন পাওয়াটাই ছিল অবিশ্বাস্য। হঠাৎ ফোন করে তিনি যখন নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন, তখন আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি। ভেবেছি, কেউ হয়তো তাঁর নাম ভাঙিয়ে মজা করছে। এর কারণও আছে। ছোটবেলায় যেসব গান শুনে মুগ্ধ হয়েছি, তার বেশির ভাগ সিডির কাভারেই দেখতাম প্রিন্স মাহমুদের ছবি। এই মানুষটি যে কত বড় মাপের সুরকার, তখনও সে সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু নামটা মনে গেঁথে গিয়েছিল। তাই নিজের নাম বদলে স্কুলের বন্ধুদের প্রিন্স বলে ডাকতে বলেছিলাম। এজন্যই ফোন পেয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম, তিনি আসলেই প্রিন্স মাহমুদ কিনা। শেষমেশ অনেক কথা বলার পরই নিশ্চিত হয়েছি, যিনি ফোন করেছেন তিনি প্রিন্স মাহমুদ। এই অভিজ্ঞতা কখনও ভোলার নয়।
‘মায়া পাখি’ গানের রেকর্ডিং শেষে অনুভূতি কেমন ছিল?
অনুভূতি বলে বোঝানো কঠিন। আমরা জানি, কথার সঙ্গে সুর মিললেই ভালো গান হয়। আর অনবদ্য কথা ও সুরের মিশ্রণ দশকের পর দশক দারুণভাবে করে আসছেন প্রিন্স মাহমুদ। সে হিসেবে তাঁর সুরে গাইতে পারাই ছিল সবচেয়ে আনন্দের। তার পরও ‘মায়া পাখি’ গানের বেলায় এক ধরনের ভয় কাজ করেছে। ভয়টা ছিল শ্রোতার ভালো লাগা নিয়ে।
‘মায়া পাখি’ ছাড়াও আপনার গাওয়া একটি একক ও দুটি নাটকের গান প্রকাশিত হয়েছে। কাছাকাছি সময়ে এত গান প্রকাশ করা কতটা যুক্তিসঙ্গত?
এই বিষয়টা গানের প্রযোজক, প্রকাশকদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তবে আমার মনে হয় না একসঙ্গে অনেক গান প্রকাশ পেলে তা শিল্পীর ক্যারিয়ারে বড় কোনো প্রভাব ফেলে। যখন অ্যালবাম প্রকাশ পেত, তখন তো শ্রোতা একই শিল্পীর একসঙ্গে ১০-১২টি গান শোনার সুযোগ পেতেন। এখন অ্যালবাম নেই, একক গানই বেশি প্রকাশ করা হয়। সে হিসেবে কাছাকাছি সময়ে ৪-৫টি গান প্রকাশ হওয়া দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে বলে মনে করি না। দেখার বিষয় এটাই, গানগুলোয় কতটা ভিন্নতা আছে এবং শ্রোতা সেগুলো কীভাবে গ্রহণ করছেন।
তিন বছর ধরে আপনাকে নাটকের গানই বেশি গাইতে দেখা যাচ্ছে, এর কারণ কী?
কয়েক বছর ধরে আমাদের নাটকের সংখ্যা বেড়েছে। সেখানে গানও থাকছে, যা আগের নাটকগুলোয় দেখা যেত না। এক কারণে অনেক শিল্পীর প্লেব্যাকের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই মাধ্যমে আমারও ব্যস্ততা বেড়েছে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্র আর ঘটনা নিয়ে নানা ধরনের গান তৈরি হচ্ছে। সেসব চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্লেব্যাক বেশ চ্যালেঞ্জিং। তার পরও কেন জানি না, সেই চ্যালেঞ্জ নিতেই আমার বেশি ভালো লাগে।
জনপ্রিয় গায়কদের অনেকে মডেল ও অভিনেতা হিসেবেও কাজ করেছেন। আপনার তেমন কোনো ইচ্ছা আছে?
অনেক কিছুই করার ইচ্ছা হয়, হয়তো করব। তবে মডেলিং বা অভিনয় ওসব আমাকে দিয়ে হবে না। তবে যা কিছুই করি, তা গানের সঙ্গে যুক্ত থেকেই করতে চাই। কারণ এখন গানই আমার নেশা ও পেশা।