সিদ্দিককে মারধর, পোশাক বিতর্ক নিয়ে যা বললেন মিম
Published: 6th, May 2025 GMT
কয়েক দিন আগে অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে রাজধানীর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো চর্চা চলছে। এ নিয়ে নানাজন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার বিষয়টি নীরবতা ভাঙলেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী মডেল-অভিনেত্রী মারিয়া মিম। পাশাপাশি নিজের পোশাক বিতর্ক নিয়েও কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
এ বিষয়ে মিমকে প্রশ্ন করা হলে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “তার সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হয়েছে ৬-৭ বছর আগে। সে তো আমার স্বামী নন, তাই এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।”
ডিভোর্সের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের খোলামেলা, আবেদনময়ী উপস্থিতির জন্যও আলোচনায় রয়েছেন মিম। সমালোচনা সত্ত্বেও তিনি নিজের মতো করে জীবনযাপন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গতকাল সেলিব্রেটিদের নিয়ে আয়োজিত একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের পোশাক বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন এই মডেল ও অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
সুগার ড্যাডি ছাড়া এত টাকা কামানো সম্ভব না: ফারিয়া
আমি খোলামেলা পোশাকও পরতে পারি: সৌমি
মারিয়া মিম বলেন, “আমার পোশাক নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়। কিন্তু আমি তো দেশে ছোট পোশাক পরি না, বিদেশে পরি। কারণ আমি বেড়ে উঠেছি বার্সেলোনায়। সে কারণে ওয়েস্টার্ন পোশাক পছন্দ করি। এই ধরণের পোশাকে আমাকে ভালোও লাগে।”
পোশাক নিয়ে মানসিকতার পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বলিউডের কেউ ছোট পোশাক পরলে প্রশংসা করা হয়, কিন্তু আমরা পরলে সেটা ভালো লাগে না। আমি মনে করি, মানুষের মেন্টালিটি পরিবর্তন করা উচিত। মিডিয়াতে কাজ করতে হলে তো গ্ল্যামারাস থাকতে হবে, সুন্দর ড্রেস পরতে হবে।”
“ছোট পোশাক তারাই পরবে যাদের মানায়, সুন্দর লাগবে। যারা ফিট না, তারা যদি ছোট পোশাক পরে বা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরে সেটা দেখতে খারাপ লাগবে।” বলেন মিম।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিম ২০১২ সালে জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৩ সালে এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে তাদের প্রথম সন্তান আরশ হোসেন। বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে সেই ভালোবাসার ইতি ঘটে ২০১৯ সালের শেষের দিকে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মুখে বললে লেখা হবে কাগজে
ভারতের কেরালা রাজ্যের এক শিক্ষার্থী দারুণ একটি যন্ত্র বানিয়েছেন। যন্ত্রটি মানুষের মুখের কথা শুনে কাগজে লিখে দিতে পারে। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত এক প্রদর্শনীতে যন্ত্রটি মানুষের সামনে আনা হয়। ‘টক-টু-রাইট’ নামের এই যন্ত্র মূলত শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁরা কারও সাহায্য ছাড়াই নিজের কথা সহজে লিখে প্রকাশ করতে পারবেন।
কেরালার ওই শিক্ষার্থীর নাম অজয় এইচ। তিনি লিংকডইন পোস্টে যন্ত্রটি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, যন্ত্রটি আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) ভয়েস-টু-পেন সিস্টেম, যা কথাকে কলমের মাধ্যমে হাতের লেখায় রূপান্তর করে।
অজয় ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী। তিনি জানিয়েছেন, র্যাসপবেরি পাই, আরডুইনো ও পাইথন ব্যবহার করে এ প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্দ্বী ব্যক্তিকে সাহায্য করতে পারে, এমনভাবে যন্ত্রটি নকশা করা হয়েছে।
অজয় লিখেছেন, ‘এই প্ল্যাটফর্ম আমাদের দেখিয়েছে কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এমবেডেড সিস্টেম এবং সামাজিক প্রভাবের জন্য একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি মিলিয়ে সহজলভ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তি তৈরি করা যায়।’
অসাধারণ এ কাজের জন্য অজয় তাঁর দলের অন্য সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অপর্ণা হরি, রুবাক হরি নায়ার ও আকাশ জি নায়ার; যাঁদের নিষ্ঠা, সৃজনশীলতা আর একসঙ্গে কাজ করার মানসিকতাই এই উদ্ভাবনকে সফল করেছে।
এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যবহারকারীরা প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘অসাধারণ আইডিয়া! আপনি যদি এটাকে আরও উন্নত করেন, অনেক মানুষের উপকারে আসবে। দারুণ কাজ!’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘সত্যি, বিষয়টি অনেক ভালো লেগেছে। অভিনন্দন ও ভবিষ্যতের কাজের জন্য শুভকামনা।’
ভার্জিনিয়া টেকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রকৌশলী এমন একটি রোবোটিক পদ্ধতি তৈরি করেছেন, যেটি চলাফেরায় অক্ষম কিংবা দৈনন্দিন কাজ করতে অসুবিধা হয়, এমন মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।