আইএসআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে শাহবাজ শরিফ, শুনলেন ভারতকে মোকাবিলার প্রস্তুতি
Published: 7th, May 2025 GMT
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার দেশটির সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা–আইএসআইয়ের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। এ সময় ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ‘বহিঃশক্তির সামরিক হুমকি’ মোকাবিলায় নিজ দেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করা হয়।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর দেশটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে, ইসলামাবাদের এমন আশঙ্কার প্রায় এক সপ্তাহ পর উচ্চপর্যায়ের কেউ আইএসআইয়ের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করল। পাকিস্তানের অভিযোগ, কোনো তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই ভারত এই হামলায় পাকিস্তানকে জড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। ইসলামাবাদ এই দাবি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পরিদর্শনের অংশ হিসেবে একটি বিস্তারিত ব্রিফিং করা হয়। এতে বিশেষ করে পাকিস্তানের পূর্ব সীমান্তে ভারতের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক ও উসকানিমূলক মনোভাবের প্রেক্ষাপটে বহিঃশক্তির সামরিক হুমকি মোকাবিলার প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ সময় আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং ক্রমবর্ধমান হুমকি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়। এর মধ্যে প্রথাগত সামরিক পদক্ষেপ, হাইব্রিড যুদ্ধের কৌশল এবং ছায়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলোও ছিল।’
এ সময় উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া আইএসআই পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ আসিম মালিক ও সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আসিম মালিককে সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তাঁর সঙ্গে থাকা পদস্থ কর্মকর্তারা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং কঠোর জবাব দিতে জাতীয় পর্যায়ে সতর্কতা বাড়ানো, সংস্থাগুলোর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয় এবং আভিযানিক প্রস্তুতি জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন।
আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক১১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনভারত যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রণরেখায় হামলা চালাতে পারে, পাকিস্তানের সতর্কবার্তা১১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তবে কি ২০২৫ সালেই সত্য হবে নিকোলাস আউজুলার ভবিষ্যদ্বাণী
‘সাইকিক অ্যাস্ট্রোলজার’ হিসেবে পরিচিত নিকোলাস আউজুলা। নিকোলাস বসবাস করেন লন্ডনে। ভবিষ্যদ্বাণী করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অনেকের কাছেই। নিকোলাস আউজুলাকে বিশ্বজুড়ে মানুষের গুরুত্ব সহকারে নিতে শুরু করেছেন। তার কারণ তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালে রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাবর্তন করবেন। এবং তাই ঘটেছে। দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিকোলাসের আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণী হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI-এর ক্রমবর্ধমান প্রভাব কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।
নিকোলাস পূর্বাভাস দিয়েছিলেন কোভিড-১৯এর। এরপর তিনি প্যারিসের নটর-ড্যাম ক্যাথিড্রালে অগ্নিকাণ্ড ও ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের মতো বড় বড় ঘটনার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এবং সেগুলো ঘটতে দেখা গেছে। যেহেতু বড় বড় অনেক ঘটনা সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে, তাই নিকোলাস আউজুলা এখন ২০২৫ সালের জন্য কী কী বলেছেন বা বলছেন, তা নিয়ে মানুষ আরও বেশি উদ্বিগ্ন।
২০২৫ সালের জন্য তার ভবিষ্যদ্বাণী: নিকোলাস বলেছেন, ‘‘২০২৫ সালে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আঘাত হানতে পারে। এই বছর অনেক বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছেন। নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব বারবে বলে ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন। বলাই বাহুল্য যে কোভিডের আবার নতুন করে ফিরে আসা তার ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিকোলাস। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি হবে।
ইন্ডিয়া টাইমস এর তথ্য, ‘‘৩৮ বছর বয়সী এই ‘সাইকিক অ্যাস্ট্রোলজার’ ২০২৫ সালে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরুর হবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।’’
উল্লেখ্য, ভবিষ্যদ্বাণী সব সময় সত্য হবে এমন নয়। অনেক সময় কাকতালীয়ভাবে ঘটে যেতে পারে।
ঢাকা/লিপি