মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ
Published: 7th, May 2025 GMT
মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৭ মে) দুপুরে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আজ দুইজনসহ এখন পর্যন্ত ২৯ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আজ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করার আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। কাল আসামি পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।”
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি চলছে। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায়, শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে লিচুর বিচি গলায় আটকে শিশুর মৃত্যু
ব্যাটারিচালিত ভ্যানে উঠে খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশুর
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.
গত ১ মার্চ মাগুরার শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। এর আগে, গত ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ষ য গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর সীমান্তে রাতভর ভারত-পাকিস্তানের গোলাগুলি
কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে রাতভর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা সারারাত ধরে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (লাইন অফ কন্ট্রোল) হালকা অস্ত্র ও কামানের গোলা বিনিময় করেছে।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘রাতের বেলা..জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি ও আখনূর এলাকার উল্টোদিকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাচৌকি থেকে বিনা উসকানিতে ছোট অস্ত্র থেকে গুলি এবং কামানের গোলা বর্ষণ করা হয়।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতীয় সেনারা সে অনুযায়ী জবাব দিয়েছে।
তবে সীমান্তে সর্বশেষ সংঘাতের খবরের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নিশ্চিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে ভারতের হামলার পর বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, বদলা নেবে পাকিস্তান। মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে উভয় পক্ষে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ বলেছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং সীমান্তে গোলাগুলিতে পাকিস্তানে ৩১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নয়াদিল্লি বলেছে, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে তাদের দিকে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।