আবিষ্কারের সুফল পৌঁছাতে হবে গ্রামেও: মৎস্য উপদেষ্টা
Published: 7th, May 2025 GMT
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আবিষ্কার যত বেশি পরস্পর আদান-প্রদান করা যাবে, তত বেশি সফল হবে। এর সুফল পেতে হলে গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বুধবার বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইনোভেশন শোকেসিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের প্রতি সচেতন করা গেলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। দেশের উন্নয়নের জন্য ইনোভেটিভ আইডিয়া মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করতে হবে। দপ্তর সংস্থাকে আগামীতে আরও বেশি ইনোভেটিভ আইডিয়া (উদ্ভাবনী চিন্তা) দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, পান্তা ভাতকে পচন থেকে সহজে রোধ করার জন্য পানি দিয়ে ভাত সংরক্ষণ করার ধারণা প্রথম নারীদের মাথা থেকেই আসে। এ ছাড়া লেবু পাতার মাধ্যমে পচা মাছকেও যে খাওয়ার উপযোগী করা যায়, সেই ধারণাও প্রথম নারীদের মাথা থেকেই আসে। তাই উদ্ভাবনী কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব তোফাজ্জেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব ইমাম উদ্দীন কবীর, এটুআই প্রকল্পের পরিচালক রশিদুল মান্নাফ কবীর।
.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ