ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি শহরে শনিবার সকালে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে এক সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, অপারেশন সিন্দুরের পর জম্মু ও কাশ্মীরের বেসামরিক এলাকাগুলোতে পাকিস্তানের হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম রাজ কুমার থাপ্পা। তিনি ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কমিশনার। 

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজৌরি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্যান্য অংশে বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে পাকিস্তানের হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরের ঊর্ধ্বতন সরকারি এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। অপারেশন সিন্দুরের পর জম্মু ও কাশ্মীরের বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে পাকিস্তানের এ হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। 

এদিকে ওই সরকারি কর্মকর্তার নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করার জন্য তার কাছে কোনো ভাষা নেই। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও ওই কর্মকর্তা আমার সঙ্গে একটি অনলাইন বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া পোস্টে ওমর আব্দুল্লাহ লিখেছেন,‘গতকালই উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও তিনি একটি অনলাইন সভায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন, যেখানে আমি সভাপতিত্ব করেছি। আজ সেই কর্মকর্তার বাড়িতে পাকিস্তানের গোলা আঘাত করেছে। তারা রাজৌরি শহরকে টার্গেট করে হামলা করছে, যাতে এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কমিশনার রাজ কুমার থাপ্পা নিহত হয়েছেন। 

প্রতিবেদনে দেওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, জম্মুর বেসামরিক এলাকাগুলো লক্ষ্য করে পাকিস্তানের হামলা চালানোর পর সেখানকার একটি গ্রামের এক বাড়ির কিছু অংশ উড়ে গেছে। গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে দস্যুদের কবল থেকে ৪ জেলে উদ্ধার

সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর হাতে জিম্মি চার জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। আজ শুক্রবার ভোরে সুন্দরবনের শিবসা নদীসংলগ্ন আড়বাউনি খালে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় দস্যুদের আস্তানা থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন খুলনার কয়রা উপজেলার মফিজুল ইসলাম (৪২), হাবিবুর রহমান (৩৭), দাকোপ উপজেলার মো. হাবিবুর (৩৫) এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শাহজাহান গাজী (৪০)। কোস্টগার্ড জানায়, তাঁদের ১০ দিন ধরে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়েছে দস্যুরা।

আজ শুক্রবার সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই স্থানে কয়েকজন জেলেকে জিম্মি করে রেখেছিল জাহাঙ্গীর বাহিনী। অভিযানের সময় ডাকাত দলটিকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে কোস্টগার্ড। পরে দস্যুরা নৌকা ও জিম্মিদের ফেলে বনের ভেতরে পালিয়ে যায়। নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি একনলা বন্দুক, দুটি এয়ারগান ও তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। নৌকাটি থেকে চার জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুনদস্যুতায় ফিরছে আত্মসমর্পণকারীরা, ‘দুলাভাই বাহিনী’সহ ১৪ দল সক্রিয় ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৮ জন দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৩১টি গুলি।

সার্বিক বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার আবরার হাসান বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে নিয়মিত অপারেশন, হটস্পট এলাকায় বিশেষ টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনপাচারকারীসহ আরও কিছু কারণে হুমকির মুখে সুন্দরবনের বাঘ২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ