ইয়াবা সেবনের অভিযোগে জাবি কর্মচারী আটক
Published: 10th, May 2025 GMT
ইয়াবা সেবনের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৯ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০ নৃম্বর হল (সাবেক বঙ্গবন্ধু হল) সংলগ্ন সিডনী ফিল্ড থেকে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করা হয়।
আটক কর্মচারীর নাম রাশেদুল হাওলাদার আলীম ওরফে শাকিল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ অফিসের বাস ক্লিনার।
আরো পড়ুন:
সমালোচনার মুখে জাবির বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীর খাতা বাতিল
স্বপ্ন দেখা থেমে নেই দৃষ্টিহীন মমিনুরের
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিডনী ফিল্ডে ইয়াবা সেবন করছিলেন শাকিল। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী গিয়ে তাকে আটক করেন। পরে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি ১০ নম্বর হল প্রশাসনকে অবগত করে। ঘটনাস্থলে হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিম এসে নিরাপত্তা শাখার সহায়তায় অভিযুক্তকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়।
আটককালে অভিযুক্ত কর্মচারী শাকিল একটি মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন। তবে তিনি ইয়াবা সেবনের বিষয়টি উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ সবার কাছে স্বীকার করেন। তার কাছ থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রক্টরিয়াল টিম।
তবে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে রাশেদুল বলেন, “আমি আনুমানিক ৯টার দিকে সিডনি ফিল্ডে যাই। সেখানে এমনিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে দুজন শিক্ষার্থী আমাকে বহিরাগত ভেবে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত মনে করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি ক্যাম্পাসের স্টাফ বলে পরিচয় দিলে তারাসহ আরো কয়েকজন আমাকে ধরে নিয়ে আসে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১০ হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল রকীব বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিমসহ ঘটনাস্থলে যাই। পরে সেখান থেকে নিরাপত্তা শাখার সহায়তায় প্রক্টর অফিসে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।”
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। নিরাপত্তা শাখা আগামীকাল এ ঘটনার একটি তদন্ত রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আমরা তা ফরোয়ার্ড করবো। রিপোর্ট অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অভিযুক্তের সাহায্য চাওয়া ফোন নাম্বারটি ট্র্যাক করার জন্য ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েছি। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোথাও মাদক সেবন চললে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে তথ্য দিয়ে সহায়তার আহ্বান করছি।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এসব ব্যক্তির হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর এসব ব্যক্তির হিসাবে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা যাবে।
আরো পড়ুন:
১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এল ১০৫ কোটি ডলার
১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে, আসল-নকল চেনার উপায়
যাদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার।
ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় থাকা সাবেক ডেপুটি গভর্নররা হলেন এস কে সুর চৌধুরী, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। মো. মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। আবু হেনা মো. রাজী হাসান দীর্ঘদিন বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাংকগুলোকে পাঠানো বিএফআইইউ চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ, কেওয়াইসি ফরমসহ সব তথ্য আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকে, সেটির তথ্যও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ