Samakal:
2025-10-03@08:13:53 GMT

দাঁত ফেলতে সাবধান...

Published: 12th, May 2025 GMT

দাঁত ফেলতে সাবধান...

দাঁতে যে কোনো শল্যচিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা জরুরি: 
lযে যন্ত্রপাতি দিয়ে দাঁত ওঠানো হবে, সার্জারি করা হবে, সেগুলো জীবাণুমুক্ত না থাকলে হেপাটাইটিস বি অথবা সি ভাইরাস এমনকি এইডসের মতো রোগ পর্যন্ত ছড়াতে পারে। তাই যন্ত্রপাতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। 
lডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ক্যান্সার রোগী অথবা অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে আগে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা, ক্রিয়োটিনিন, রক্তচাপ, ক্লটিং টাইম, হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি পরীক্ষা করে নিতে হবে।
lডায়াবেটিক রোগীদের অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। যারা ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা দিনের প্রথমদিকে অর্থাৎ সকালের নাশতা ও ইনসুলিন নেওয়ার পর ডেন্টাল সার্জারি করাবেন। ৪.

যাদের দাঁতের সার্জারি হবে, তারা যদি রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করেন, চিকিৎসককে অবশ্যই জানাতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের মতামত নিয়ে ডেন্টাল সার্জারির পাঁচ দিন আগে থেকে ওই ওষুধগুলো খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে– না হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। 
l যাঁরা ধূমপায়ী অথবা পানের সঙ্গে জর্দা সেবন করেন, তাদের অন্তত সাত দিন আগে এগুলো বন্ধ করতে হবে। না হলে সার্জারির পর ঘা বা ক্ষত শুকাতে দেরি হবে। 
lঅন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সাবধানতা দরকার। এ ক্ষেত্রে পেনিসিলিন নিরাপদ। পেনিসিলিন গ্রুপ না নেওয়া গেলে ক্লিনডামাইসিন চলবে।v

[সাবেক ,মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ ,বারডেম]

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠে ঘাস কেটে বাড়িতে ফেরার পথে শংকর নামের এক স্থানীয় যুবক তৃপ্তি রানীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা

যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী

তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণ পাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। হত্যাকাণ্ডের পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। 

তৃপ্তি রানী পরকীয়ার জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ ভ্যানচালক। এই দম্পতির একটি সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সঙ্গে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সঙ্গে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর। 

সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে পথেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর। 

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেছেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শংকর নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তৃপ্তি মারা যান। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক আছে। 

ঢাকা/রিটন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ