দাঁতে যে কোনো শল্যচিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা জরুরি:
lযে যন্ত্রপাতি দিয়ে দাঁত ওঠানো হবে, সার্জারি করা হবে, সেগুলো জীবাণুমুক্ত না থাকলে হেপাটাইটিস বি অথবা সি ভাইরাস এমনকি এইডসের মতো রোগ পর্যন্ত ছড়াতে পারে। তাই যন্ত্রপাতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
lডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ক্যান্সার রোগী অথবা অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে আগে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা, ক্রিয়োটিনিন, রক্তচাপ, ক্লটিং টাইম, হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি পরীক্ষা করে নিতে হবে।
lডায়াবেটিক রোগীদের অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। যারা ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা দিনের প্রথমদিকে অর্থাৎ সকালের নাশতা ও ইনসুলিন নেওয়ার পর ডেন্টাল সার্জারি করাবেন। ৪.
l যাঁরা ধূমপায়ী অথবা পানের সঙ্গে জর্দা সেবন করেন, তাদের অন্তত সাত দিন আগে এগুলো বন্ধ করতে হবে। না হলে সার্জারির পর ঘা বা ক্ষত শুকাতে দেরি হবে।
lঅন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সাবধানতা দরকার। এ ক্ষেত্রে পেনিসিলিন নিরাপদ। পেনিসিলিন গ্রুপ না নেওয়া গেলে ক্লিনডামাইসিন চলবে।v
[সাবেক ,মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ ,বারডেম]
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯ জন শ্বেতাঙ্গ শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীদের বহনকারী মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত একটি উড়োজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পৌঁছেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার উড়োজাহাজটিতে করে ৪৯ জন শ্বেতাঙ্গ শরণার্থী ওয়াশিংটনে অবতরণ করেন।
যেখানে অন্য শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে অথবা প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানার শরণার্থীদের সাদরে গ্রহণ করার নীতি নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভূমি নিয়ে বিরোধ, অপরাধ ও বর্ণবাদের শিকার হচ্ছেন।
যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওয়াশিংটনে আসা শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীদের প্রথম দলটিকে বিমানবন্দরে সাদরে বরণ করে নিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় শরণার্থীদের অনেকের কোলে শিশু ছিল। তাঁদের হাতে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানার শরণার্থীদের পুনর্বাসনের আহ্বান জানানো হয়। ওই আদেশে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানাররা অন্যায্য জাতিগত বৈষম্যের শিকার।
আরও পড়ুনঅন্য অভিবাসীদের আটকে দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে চান ট্রাম্প২৫ এপ্রিল ২০২৫দক্ষিণ আফ্রিকার যেসব নাগরিকের আদিপুরুষ ইউরোপ, বিশেষ করে নেদারল্যান্ডস থেকে এসে দেশটিতে বসতি স্থাপন করছেন, তাঁদেরকেই আফ্রিকানার বলা হয়। দেশটিতে বাণিজ্যিকভাবে কৃষি উৎপাদনের অনেকটাই আফ্রিকানারদের নিয়ন্ত্রণে।
আরও পড়ুনদক্ষিণ আফ্রিকার নিপীড়িত শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের নিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫