দাঁতে যে কোনো শল্যচিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা জরুরি:
lযে যন্ত্রপাতি দিয়ে দাঁত ওঠানো হবে, সার্জারি করা হবে, সেগুলো জীবাণুমুক্ত না থাকলে হেপাটাইটিস বি অথবা সি ভাইরাস এমনকি এইডসের মতো রোগ পর্যন্ত ছড়াতে পারে। তাই যন্ত্রপাতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
lডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ক্যান্সার রোগী অথবা অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে আগে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা, ক্রিয়োটিনিন, রক্তচাপ, ক্লটিং টাইম, হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি পরীক্ষা করে নিতে হবে।
lডায়াবেটিক রোগীদের অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। যারা ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা দিনের প্রথমদিকে অর্থাৎ সকালের নাশতা ও ইনসুলিন নেওয়ার পর ডেন্টাল সার্জারি করাবেন। ৪.
l যাঁরা ধূমপায়ী অথবা পানের সঙ্গে জর্দা সেবন করেন, তাদের অন্তত সাত দিন আগে এগুলো বন্ধ করতে হবে। না হলে সার্জারির পর ঘা বা ক্ষত শুকাতে দেরি হবে।
lঅন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সাবধানতা দরকার। এ ক্ষেত্রে পেনিসিলিন নিরাপদ। পেনিসিলিন গ্রুপ না নেওয়া গেলে ক্লিনডামাইসিন চলবে।v
[সাবেক ,মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ ,বারডেম]
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছায়া ফেলে যায় না
যে চলে যায় জীবনে গন্ধ পর্যন্ত না ফেলে,
এমনকি ছায়াও না, সে কি
ছিল কোথাও?
অথচ সে ছিল। শেওলার বাকলে এঁকেছিল
পরানকাব্য, জল থেকে বরফ খসে পড়ে,
নড়ে উঠেছিল রোদ সানকির জলে।
গোলাপি ন্যাপকিন ছুড়ে
দ্রোহে ফেটে পড়ত প্রায়শ।
তখন নিজের বাদ্য বাজাত না বাতাসেরা
ঠিকরে উঠত সে তীব্র অবিচারে,
আর তার ছায়া হনহন জলাশয়
কিংবা পাথরের সাথে ধাক্কা খেত।
তখন আলো জ্বলে উঠত ফসলের দিনগুলির।
বউ ছিল শিশু ছিল—এমন জীবনের মুখে
তীব্র মুখর ছুড়ে দিয়ে
ধীরে ধীরে সে অতলে
তলিয়ে গেল।
ছায়াতাড়িত পৃথিবীতে
ছায়ামাত্র না রেখেই।