সাবেক মন্ত্রী ইমরান কারাগার থেকে হাসপাতালে, ভুগছেন নানা শারীরিক জটিলতায়
Published: 14th, May 2025 GMT
সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কারাগার থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ওসমানী হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী আজ বুধবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগসহ নানা শারীরিক জটিলতা আছে। তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
হাসপাতাল ও কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ইমরান আহমদ বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। চেকআপের জন্য তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
গত বছরের ২০ অক্টোবর রাতে ঢাকার বনানী থেকে সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর) আসনের পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে করা একটি মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে ঢাকা ও সিলেটের একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ইমরান আহমদ ২০১৮ সালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরের বছর তাঁকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইরাল ঘটনার খবর গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার হয়: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বর্তমানে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সত্যের চেয়ে ভাইরাল হওয়ার দিকেই মনোযোগ বেশি। এ ধরনের খবর গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হয়। ভাইরাল নিউজের বাণিজ্যিক ও আর্থিক মূল্য আছে বলে সেটা করা হচ্ছে। এই চিন্তাধারা থেকে বের হওয়া না গেলে দেশের গণমাধ্যমগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) সেমিনারকক্ষে ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম সাম্প্রতিক অপতথ্যের গতিপ্রকৃতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে পিআইবি।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, মূলধারার গণমাধ্যম বিশ্বাসযোগ্যতা হারালে সে জায়গাটা নেবেন কনটেন্ট মেকার বা ব্লগাররা। তিনি বলেন, তাঁরা বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবেন। এ সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যম মালিক ও ম্যানেজমেন্টকে ডিজিটাল ভেরিফিকেশন এবং ফ্যাক্ট চেকিংয়ে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। সূচনা বক্তব্যে গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র নিজে মিথ্যার কারখানায় পরিণত হয়েছিল এবং সংবাদমাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার ফেরিওয়ালা।’ গ্রেপ্তার, নির্যাতন, গুমের ঘটনা ঘটানোর জন্য শিকারি সাংবাদিকতা করা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতায় দায়িত্বশীল ধারা ক্ষীণ ছিল বলে মনে করেন ফারুক ওয়াসিফ। রাজনৈতিক জায়গা থেকে গণমাধ্যম কোনো অবস্থান নিতে পারেনি বলেন তিনি।
পিআইবির মহাপরিচালক বলেন, অপতথ্যকে শুধু ফ্যাক্টচেক দিয়ে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এটাকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পড়েন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ (ইবিএলআইসিটি) প্রকল্পের পরামর্শক মামুন অর রশীদ। প্রবন্ধের ওপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
এতে বক্তব্য দেন প্রথমা প্রকাশনার প্রধান সমন্বয়কারী মশিউল আলম, একাত্তর টিভির সিওও শফিক আহমেদ, যুগান্তরের নগর সম্পাদক মিজান মালিক প্রমুখ। সংবাদমাধ্যমে অপতথ্য মোকাবিলায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতাবৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত বিনিয়োগের বিষয়গুলোকে তুলে ধরেন তাঁরা। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন পিআইবির জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ।