জামালপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় এখন গাড়ির গ্যারেজ
Published: 14th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর-লুটপাটের পর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। সম্প্রতি সেই কার্যালয় মেলার দর্শনার্থীদের গাড়ি রাখার গ্যারেজ বানানো হয়েছে। স্থানীয় যুবক মোহাম্মদ শাকিল গ্যারেজটি পরিচালনা করছেন।
দুরমুঠ মেলায় আসা দর্শনার্থীরা টাকা দিয়ে টোকেন নিয়ে কার্যালয় প্রাঙ্গণ ও ভবনের ভেতরে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল রাখছেন। গাড়ির ধরন অনুযায়ী ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে মোহাম্মদ শাকিল বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ছিল। কিন্তু এটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নিজস্ব জমি। কিন্তু এখন আর পার্টি অফিস নাই। এখন এটা গ্যারেজ হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার মেলায় ১০০ থেকে ২০০ গাড়ি আসে। অন্যান্য দিনে ৩০ থেকে ৫০টি আসে।’ গ্যারেজের জন্য মেলা কর্তৃপক্ষকে টাকা দেওয়া হয় কি না, প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর দুরমুঠ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। কার্যালয়ের আসবাব ও দরজা-জানালাও খোয়া যায়। এর পর থেকে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কার্যালয়ের সামনে হজরত শাহ কামালের (রহ.
দুরমুঠ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ রাশেদুজ্জামান মেলা কমিটির সভাপতি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কার্যালয়টিকে স্থানীয় কয়েকজন মেলায় আসা দর্শনার্থীদের গাড়ির গ্যারেজ বানিয়েছেন। ওই গ্যারেজ বানানোর সঙ্গে মেলা কর্তৃপক্ষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠে ঘাস কেটে বাড়িতে ফেরার পথে শংকর নামের এক স্থানীয় যুবক তৃপ্তি রানীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা
যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী
তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণ পাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। হত্যাকাণ্ডের পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
তৃপ্তি রানী পরকীয়ার জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ ভ্যানচালক। এই দম্পতির একটি সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সঙ্গে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সঙ্গে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর।
সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে পথেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেছেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শংকর নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তৃপ্তি মারা যান। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক আছে।
ঢাকা/রিটন/রফিক