গ্রামের বাড়িতে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 14th, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শেষে নিজ গ্রাম হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়ায় পৈতৃক বাড়িতে যান আজ বুধবার বিকেলে। আর সেখানে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন। একান্ত আপনজন, যিনি সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন গ্রামের মানুষ।
সরকারপ্রধান হয়েও কোনো রাখঢাক রাখেননি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মঞ্চে উঠে সবাইকে সালাম দিয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলতে শুরু করেন, ‘বউত ভালা লার বেগ্গুনেরে দেখি বউত দিন বাদে এন্ডে আইলম। ছোড বেলাত এডেই আছিলম। ছোড বেলার বেক ছবি মাথার ভেতর রই গেইয়িগুই, এডে বটগাছ তলে হাট বইচতো, হাডত আইচতম। ছোড বেলাত একজনরে একজনে ঠাট্টা গরি কইতম আবদুর রশিদ টেন্ডলর হাট নজুমিয়েহাট, দুল মিয়ের জ্বালা বারি ফোরক মিয়ার মটরগাড়ি।’
(সবাইকে দেখে বেশি ভালো লাগছে। বহুদিন পর এখানে এলাম। ছোটবেলায় এখানে ছিলাম। ছোটবেলার সব ছবি মাথার ভেতর রয়ে গেছে। এখানে বটগাছতলে হাট বসত, হাটে আসতাম। ছোটবেলায় একজন আরেকজনরে ঠাট্টা করে বলতাম আবদুর রশিদ টেন্ডলের হাট নজুমিয়া হাট, দুলা মিয়ার জ্বালা ভারী, ফোরক মিয়ার মোটরগাড়ি।)
ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তিনি গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করেন। এরপর তাঁর বাবা হাজি দুলা মিয়া সওদাগর তাঁকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে সেখানে স্কুলে ভর্তি করে দেন।
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বক্তব্যে চট্টগ্রামের ভাষায় বলেন ‘নজু মিয়ারহাট শর হই গিয়ে, শর বিলাত হই গিয়ে।’ ভবিষ্যতে দেশের আরও উন্নতি হবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এসেছিলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। এ সুযোগে আপনাদের সঙ্গে দেখা করে গেলাম। আমার খুব ভালো লাগছে, সবার সঙ্গে দেখা হলো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে বিকেল পাঁচটার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদি ও স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন।
আরও পড়ুন‘জোবরা গ্রামের নারীদের কাছ থেকেই নতুন অর্থনীতি শিখেছি’২ ঘণ্টা আগেগতকাল দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকালে বিশেষ উড়োজাহাজে চট্টগ্রামে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি-৫) পরিদর্শন করেন এবং সেখানে বন্দর ও নৌপরিবহন খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বন্দরের অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছে বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসন–সংক্রান্ত এক সভায় যোগ দেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমির দলিল হস্তান্তর করেন। এরপর বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি বাথুয়ায় যান। পরে বিমানযোগে ঢাকায় ফিরে যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুনদায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টা১৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
তাহসান কেন বিয়ে করলো, দরকার তো ছিল না: মন্দিরা
ঢাকাই চলচ্চিত্রের গ্ল্যামার গার্ল মন্দিরা চক্রবর্তী ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। এরপর আলোচনা থেকে কিছুটা সরে যান এই নায়িকা। ঈদে তার অভিনীত সিনেমা ‘নীলচক্র’ মুক্তি পায়। এই সিনেমার প্রচারণায় নতুন করে আলোচনায় আসেন মন্দিরা। সিনেমায় তার অভিনয়ও প্রশংসা পেয়েছে।
এই নায়িকা নিজে একাধিক ক্র্যাশের কথা মিডিয়াকে জানিয়েছেন। চলচ্চিত্র অভিনেতা আরিফিন শুভকে নাকি তার ছোটবেলা থেকেই ভালো লাগে। এর মধ্যে জানা গেলো গায়ক, অভিনেতা তাহসান খানও নাকি তার ক্র্যাশ ছিলেন। সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন তাহসান খান। এ নিয়ে আফসোসের শেষ নেই মন্দিরার।একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে উপস্থাপক মন্দিরার ক্র্যাশ সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে মন্দিরা বলেন, ‘‘কে যেন? ওহ তাহসান। হ্যাঁ, ওর বিয়ে হয়ে গেছে। তাই ওকে আমি ভুলে যাই। ভুলে গেছি। কী দরকার ছিল বিয়ে করার। তাহসান কেন বিয়ে করলো, দরকার তো ছিল না।’’
উল্লেখ্য, মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে দ্বিতীয় সংসার শুরু করেছেন তাহসান খান। এর আগে ১৮ বছর আগে ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাহসান খান ও অভিনেত্রী মিথিলা। পরে ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তারা কন্যাসন্তানের মা–বাবা হন।
আরো পড়ুন:
জয়া আহসান কবে বিয়ে করবেন?
বাউল খোয়াজ মিয়া মারা গেছেন
সেই সংসার ভেঙে যায় ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর। এরপর বেশ কিছুদিন সিঙ্গেল ছিলেন তাহসান
ঢাকা/লিপি