গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
Published: 15th, May 2025 GMT
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের কামালের পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—ওই গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে আফজাল হোসেন (৫৫), তার চাচাতো ভাই একরাম আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন (২৭) এবং মকবুল হোসেনের ছেলে মিলন মিয়া (২৫)। মিলন মিয়া আফজাল হোসেনের নাতি।
কামালের পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম সাজু জানিয়েছেন, মিলনের বাবার ঘরে মোশারফের বিদ্যুতের মিটার ছিল। মিটার পুড়ে যাওয়ায় এর ছিঁড়ে যাওয়া তার টিনের বেড়ার সঙ্গে লেগে গোটা ঘর বিদ্যুতায়িত হয়। সেটা বুঝতে না পেরে মোশাররফ সেই ঘরের টিনের চালে উঠতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মিলন বিদ্যুতায়িত হন। এ দুজনকে রক্ষা করতে গিয়ে আফজাল হোসেনও বিদ্যুতায়িত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তিন জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা/মাসুম/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লেখকের স্বাধীনতা হরণের ইতিহাস লিখছি
lশৈশবের প্রিয় মুহূর্ত
ll স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজার মুহূর্তটাই আমার বেশি ভালো লাগত। বৃষ্টির দিনগুলিতে ছাতা নিয়ে বের হয়ে যেতাম চুপি চুপি, বসে থাকতাম পুকুরপাড়ে; কখনও কখনও উদ্দেশ্যহীন হাঁটতাম, রেললাইন পার হয়ে চলে যেতাম পরশুরাম কলেজগামী সেই রাস্তায়, দেখতাম, প্রবল বৃষ্টির ঢলে সেটি ভেঙে কলকল করে পানি বইছে। বর্ষায়, ছাতার নিচে একা-একা ঘুরে বেড়ানো বা বসে থাকার মুহূর্তগুলি আমার ভালো লাগত। নতুন ক্লাসে উঠলে নতুন বই হাতে নেওয়ার মুহূর্তটাও ভালো লাগত। মনে পড়ে, আমার ছোট ভাই তৃতীয় শ্রেণির নতুন বই পাওয়ার পর মলাটের ভেতরের পাতায় নিজের নাম লিখে ওপরে লিখেছিল ‘এই বইয়ের মালিক’।
প্রথম প্রকাশিত লেখা
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়, ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পরশুরামের কোলাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘ থেকে প্রকাশিত ‘রক্তিম সূর্য’ নামের ম্যাগাজিনে আমার প্রথম ‘কবিতা’ ছাপা হয়েছিল, পরিবারপ্রদত্ত আশরাফুল হক নামেই। এখনকার নামে প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে, ‘অরুণিমা’ নামের একটি দেয়ালিকায়। কবিতাটি হলো ‘ইনসমনিয়া’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এটি প্রকাশ করেছিলেন।
প্রথম প্রকাশিত বই নিয়ে স্মৃতি
জেনিস মাহমুন এবং আমার প্রথম বই প্রকাশিত হয় একই প্রকাশনী থেকে, ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩ সালে। জেনিস আর আমি তখন দিনের বেশির ভাগ সময় একসঙ্গে কাটাতাম। বইমেলা থেকে বের হয়ে এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করে ফিরতে সেদিন আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। শাহবাগে একটা মিশুক [এমন ত্রিচক্রযান, পেছন থেকে চলন্ত অবস্থায় দেখলে মনে হতো লুঙ্গির কোঁচা-মারা কোনো লোক দৌড়াচ্ছে] পাওয়া গেল, তাতে চড়ে আমরা যখন ইব্রাহিমপুরে পৌঁছাই. তখন রাত প্রায় দেড়টা। মূল গেট বন্ধ। শীতরাত্রির নীরবতার মধ্যে জেনিস আমাকে ঠেলে তুলে দেয়াল টপকাতে সাহায্য করেছিলেন, মনে পড়ে। কিন্তু দেয়াল থেকে লাফ দিলে গ্রাউন্ডেড হওয়ার ঝপাৎ শব্দে খালুর, মানে কবিপিতার জাগরণ ঘটে। উচ্চ স্বরে তিনি ‘কে কে’ বলে বের হয়ে আসেন। ততক্ষণে জেনিসও দেয়াল থেকে আঙিনায় অবতরণ করেছেন। কবিপিতা, আমাদের উদ্দেশ করে বললেন, ‘তোমরা আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি করো নাকি!’ … খুব ক্ষুধার্ত ছিলাম। শীতের গভীর রাতে খালাম্মা, মানে কবির জননী আমাদের খাওয়ালেন।
এখন যা লিখছি, পড়ছি
লেখকের স্বাধীনতা হরণের ইতিহাস লিখছি এখন। এর সঙ্গে সম্পর্কিত যা কিছু, সবই পড়ছি। ফাঁক পেলেই মোহাম্মদ বশির আহাম্মদের ‘পূর্ব বাংলার রাজনীতি ও মুসলিম সমাজ’ বইটির পৃষ্ঠাগুলোর ছবি তুলছি আর পড়ছি।
প্রিয় উদ্ধৃতি
আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়। একটা হলো জ্ঞান, অন্যটি প্রেম।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর v
lগ্রন্থনা- ফরিদুল ইসলাম নির্জন