কুড়িগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করে নদ-নদীর অববাহিকাসহ নিচু এলাকার ধানসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জেলা শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস, পিটিআই চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে তিস্তার অববাহিকার বাদাম, তিলসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে কুড়িগ্রাম পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে টানা বৃষ্টিপাতে জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস চত্বর, পিটিআই চত্বর, জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে হাঁটু পানি জমেছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন এসব কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা মানুষজন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, উজানের পানি ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তা পানি বৃদ্ধি পেয়ে অববাহিকার নতুন চরগুলোতে চাষাবাদ করা বাদাম ও তিলের ক্ষেতে পানি উঠেছে। কিছু ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত পানি না নামলে এসব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসা মমিনুল হক জানায়, বৃষ্টি হলেই জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে হাঁটু পানি জমে থাকে। অফিসে ঢোকার কোন ব্যবস্থা নেই।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.

আসাদুজ্জামান জানান, টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীর অববাহিকার ১৩০ হেক্টর জমির বাদাম ও তিলসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।  সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তিল ও বাদাম ক্ষেতের।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আগামী ৩ থেকে ৪ দিন তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।

ঢাকা/বাদশাহ্/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবব হ ক

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ