আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সাহায্য না পৌঁছে, তাহলে প্রায় ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার। বিবিসি রেডিও ৪-এর আজকের প্রোগ্রামে আন্না ফস্টারের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন আশঙ্কার কথা জানান তিনি। খবর বিবিসির

টম ফ্লেচার জানান, ইসরায়েল ১১ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর সোমবার মাত্র ৫টি ত্রাণবাহী লরি গাজায় ঢুকেছে। তবে এখনও সেগুলোর সাহায্য স্থানীয় জনগণের কাছে পৌঁছায়নি। তবে তিনি আশা করছেন মঙ্গলবার গাজায় ১০০টি লরি প্রবেশ করানো যাবে। 

তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় মানবিক সহায়তা প্লাবনের মতো প্রবাহিত করতে হবে।’ তার বদলে সেখানে যে সাহায্য ঢুকছে তাকে তিনি সমুদ্রে এক ফোটা পানির সঙ্গে তুলনা করেছেন।

টুডে প্রোগ্রামে তিনি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টায় যত বেশি সম্ভব এই শিশুদের বাঁচাতে চাই।’

এই সংখ্যা কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল রয়েছে, যারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।’

এদিকে রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে গাজায় অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

কোটি টাকার সেতুর ওপর ২২ বছরেও চলতে পারেনি গাড়ি

তিন দিকে নেই বাড়িঘর। একদিকে নিচু কাঁচা রাস্তার শেষ মাথায় একটি খাল। খালের অন্য পাশে রাস্তার কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু সেই খালের ওপর কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পুতলাকান্দা সেতু। রাস্তা না থাকায় সেতুটি মানুষের কোনো কাজে আসছে না। সংযোগ সড়কবিহীন সেতুটির অবস্থান নান্দাইল উপজেলার দাতারাটিয়া গ্রামে।
নান্দাইল সদর ইউনিয়নের নান্দাইল-খালবলা পাকা সড়কে ডিমেরঘাট নামে একটি জায়গা রয়েছে। সেখান থেকে একটি সড়ক কাটলীপাড়া মহল্লার ভেতর দিয়ে বলদা বিলের কাছাকাছি দাতারাটিয়া (পুতলাকান্দা) গ্রামের নলা খালের পারে চলে গেছে। সড়কটির পৌরসভা অংশের এক কিলোমিটার পাকা হলেও বাকিটা কাঁচা। দেখলেই বোঝা যায় সেখানে লোক চলাচল কম। খালটি ঝালুয়া বাজারের পাশ দিয়ে লংগাড় পার হয়ে নরসুন্ধা নদীতে গিয়ে মিশেছে। বলদা বিলের পানি এই খাল দিয়েই নরসুন্ধা নদীতে যায়। খালের দক্ষিণ পাশে দাতারাটিয়া গ্রাম। সেখানে আঁকাবাঁকা আইলের মতো রেকর্ডের রাস্তা থাকলেও ছোটখাটো যানবাহন চলাচল দূরে থাক, হেঁটে যাতায়াতও কষ্টকর। অথচ এই পথেই আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা নান্দাইল উপজেলা সদরসহ ঝালুয়া বাজারের সঙ্গে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারেন।
গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০০১ সালে নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণকাজ শুরু করে। প্রায় ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন মিটার প্রশস্থ সেতুটি নির্মাণে কত টাকা বরাদ্দ ছিল তা জানা না গেলেও প্রায় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের। কিন্তু কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতটিু রাস্তার অভাবে ২২ বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির দক্ষিণ পাশ ছাড়া অন্য পাশে কাছাকাছি কোনো বসতি নেই। উত্তর পাশে নিচু মাটির রাস্তা থেকে সেতুটির অবস্থান অনেক ওপরে। সেতুর দক্ষিণ পাশে রাস্তার কোনো অস্তিত্ব নেই।
কাটলীপাড়া গ্রামের সেকান্দর আলী জানান, রাস্তা না থাকায় এ পথে লোকজন না এসে ভিন্নপথে চলাচল 
করেন। কখনও না জেনে সাইকেলে করে আইসক্রিম বিক্রেতারা এ পথে চলে এলে ছোট ছেলেমেয়েদের সহায়তা নিয়ে সেতুটি পার হতে হয়। এ কাজের জন্য আইসক্রিম ব্যয় করতে হয় তাদের।
দাতারাটিয়া গ্রামের সদুত মিয়া বলেন, সেতুর দক্ষিণ পাশে চলাচলের অনুপযোগী আঁকাবাঁকা আইলের মতো রেকর্ডের রাস্তা আছে। সেতু নির্মাণের সময় কথা ছিল সেগুলো সোজা করে প্রশস্থ রাস্তা তৈরি করা হবে। কিন্তু আশপাশের জমির মালিকরা জায়গা দিতে রাজি না হওয়ায় আর রাস্তা তৈরি করা যায়নি।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বিশ্বাস জানান, অনেক আগে নির্মিত সেতুটির কাগজপত্র জেলা অফিসে আছে। তাই কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছেন না। তবে দু-এক দিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সড়ক নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ