দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি তাদের ব্যাংকাসুরেন্স কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে। 

ঢাকার বনানীতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ইকবাল সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নতুন উদ্যোগের সূচনা হয়।

লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (এলআইসি) অব বাংলাদেশ এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এর সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্যাংকটি ব্যাংকিং ও বীমা সেবা একীভূত করার পথে এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।

আরো পড়ুন:

সাবেক মেয়র খালেক ও তার স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

ফের দুষ্কৃতকারীদের নিয়ন্ত্রণে ‘নগদ’, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্বেগ

প্রধান অতিথি হিসেবে নতুন এই সেবার শুভ উদ্বোধন করেন দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নওশের আলী, এলআইসি বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শাশ্বত রায় এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাপিয়া রহমান।

এসইভিপি এবং আইসিসি বিভাগ প্রধান ফাহিম আহমাদ আশরাফ, এসইভিপি এবং কনজ্যুমার ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান মোহাম্মাদ শামীম মোর্শেদ, এসইভিপি এবং সিআরএম প্রধান মোহাম্মদ আল- আমীন, এসইভিপি এবং এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান মো.

আহসান ঊল আলম, ইভিপি এবং ব্র্যান্ড মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশন প্রধান মো. তারেক উদ্দিন, ইভিপি এবং আইটি বিভাগ প্রধান আবু মো. সাব্বির হাসান চৌধুরী, ইভিপি এবং ইসলামিক ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান মোহাম্মদ ইশরাত হোসেন খান, কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ আকরাম হোসেন, এফসিএস, ব্যাংকাসুরেন্স বিভাগের প্রধান জনাব নুরুল আলম সহ ব্যাংকের এবং বীমা কোম্পানির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর ব্যাংকাসুরেন্স সেবাকে একটি শক্তিশালী এবং টেকসই প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং গ্রাহকদের জন্য মানসম্মত সেবা প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

তিনি বলেন, এই নতুন উদ্যোগ ব্যাংকিং ও বীমা সেবার সমন্বিত রূপে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত, যা গ্রাহককেন্দ্রিক আর্থিক সেবাকে আরো সহজলভ্য করে তুলবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দি প্রিমিয়ার পিএলসি-এর গ্রাহকরা এখন থেকে ব্যাংকের শাখাগুলোর মাধ্যমেই জীবন ও সাধারণ বীমা পণ্যের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি, সহজ পরামর্শ এবং ঝামেলাহীন ক্লেইম প্রসেস নিশ্চিত হবে।

ঢাকা/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ প এলস

এছাড়াও পড়ুন:

এস আলম, নাবিল গ্রুপের মালিকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের অনুকূলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের গুলশান শাখা থেকে নেওয়া ঋণের ৩৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), নাবিল গ্রুপের মালিক মো. আমিনুল ইসলামসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করা হয়। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সোনালী ট্রেডার্সের পরিচালক শহিদুল আলম, সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. হাছানুজ্জামান, নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের এমডি মামুন অর রশিদ ও চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।

ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (সাবেক ডিএমডি) মিফতাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইসি কমিটির সদস্য মুহাম্মদ কায়সার আলী, এফএভিপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, এভিপি ও ইনভেস্টমেন্ট ইনচার্জ (গুলশান শাখা) মো. আকির হোসেন মিজি, ইডিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক এ টি এম শহিদুল হক, আইসি কমিটির সদস্য সৈয়দ আবু আসাদ, ডিএমডি ও আইসি কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, সিইও ও ইনভেস্টমেন্ট কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সালেহ জহর, ডিএমডি ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ।

এ ছাড়া আসামিদের তালিকায় আরও আছেন ইসলামী ব্যাংক বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হাসান, নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. সেলিম উদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তানভীর আহম্মদ, মো. সামিউল আলম, সদস্য ও সাবেক এমডি মোহাম্মদ মুনিরুল হক, এসইভিপি মো. আলতাফ হোসাইন, এসইভিপি জি এম মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, পরিচালক আবদুল্লাহ আল-রাজি, মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, মোহাম্মদ সোলায়মান, আরিফ সুলেমান, মো. সিরাজুল করিম, মো. জামাল উদ্দিন, মো. জয়নাল আবেদীন, কাজী শহিদুল আলম, খুরশীদ উল আলম, মো. কামাল হোসেন গাজী, মো. নাদির উদ্দিন, এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, মোহাম্মদ গাজী, ধোলাইখাল শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, সিন্ডিকেট ফিন্যান্স বিভাগের মীর মোবাশ্বির হোসেন, এভিপি মো. কামরুজ্জামান, এফএভিপি মাসুদ মোহাম্মদ ফারুক, এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য মো. কামরুল হাসান ও প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী ফারজানা ইশরাত।

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের প্রস্তাবনা অনুমোদন ও রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নবগঠিত প্রতিষ্ঠান নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের অনুকূলে ৬৭০ কোটি টাকা ঋণসুবিধা মঞ্জুর করা হয়। এর মধ্যে ৩৬৩ কোটি টাকা বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩৬৩ কোটি টাকা হাতিয়েছে এস আলম ও নাবিল গ্রুপ
  • এস আলম, নাবিল গ্রুপের মালিকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা