দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যাংকাসুরেন্স কার্যক্রমের উদ্বোধন
Published: 20th, May 2025 GMT
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি তাদের ব্যাংকাসুরেন্স কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে।
ঢাকার বনানীতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ইকবাল সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নতুন উদ্যোগের সূচনা হয়।
লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (এলআইসি) অব বাংলাদেশ এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এর সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্যাংকটি ব্যাংকিং ও বীমা সেবা একীভূত করার পথে এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।
আরো পড়ুন:
সাবেক মেয়র খালেক ও তার স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা
ফের দুষ্কৃতকারীদের নিয়ন্ত্রণে ‘নগদ’, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্বেগ
প্রধান অতিথি হিসেবে নতুন এই সেবার শুভ উদ্বোধন করেন দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নওশের আলী, এলআইসি বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শাশ্বত রায় এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাপিয়া রহমান।
এসইভিপি এবং আইসিসি বিভাগ প্রধান ফাহিম আহমাদ আশরাফ, এসইভিপি এবং কনজ্যুমার ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান মোহাম্মাদ শামীম মোর্শেদ, এসইভিপি এবং সিআরএম প্রধান মোহাম্মদ আল- আমীন, এসইভিপি এবং এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান মো.
অনুষ্ঠানে প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর ব্যাংকাসুরেন্স সেবাকে একটি শক্তিশালী এবং টেকসই প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং গ্রাহকদের জন্য মানসম্মত সেবা প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, এই নতুন উদ্যোগ ব্যাংকিং ও বীমা সেবার সমন্বিত রূপে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত, যা গ্রাহককেন্দ্রিক আর্থিক সেবাকে আরো সহজলভ্য করে তুলবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দি প্রিমিয়ার পিএলসি-এর গ্রাহকরা এখন থেকে ব্যাংকের শাখাগুলোর মাধ্যমেই জীবন ও সাধারণ বীমা পণ্যের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি, সহজ পরামর্শ এবং ঝামেলাহীন ক্লেইম প্রসেস নিশ্চিত হবে।
ঢাকা/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ প এলস
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ নিয়ে টালবাহানা চলছে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেমেছিলাম, যে পরিবর্তন দেখতে চেয়েছিলাম, সেই পরিবর্তন এখনও দেখতে পাচ্ছি না। বরং আমাদের সামান্য যে চাওয়া ছিল, জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ– সেটি নিয়েও টালবাহানা করা হচ্ছে।’
সিরাজগঞ্জ শহরে পথসভা: ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র সপ্তম দিন সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকার স্বাধীনতা স্কয়ারে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম গণঅভ্যুত্থানের পর নিরপেক্ষ প্রশাসন চাই, বিচার ব্যবস্থা চাই। আমরা আগে দেখতাম, তারা একটা দলের হয়ে কাজ করত। আমরা চাই না এখনও তারা সেটা করুক। আমরা দেখেছি, আয়নাঘর থেকে শুরু করে কত কিছু করা হয়েছে। তাহলে আমরা বিচার ও সংস্কার ছাড়া কীভাবে নির্বাচনের দিকে যাবো? বিচার না হলে কীভাবে আমরা শহীদ ভাইবোনদের পরিবারের সামনে গিয়ে দাঁড়াব?
সিরাজগঞ্জের সম্ভাবনাময় তাঁতশিল্পকে অবজ্ঞা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামীতে এগুলোকে তুলে ধরা হবে, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।’
আমরা কোনো আপস করব না: পাবনায় পথসভায় নাহিদ ইসলাম: সোমবার রাত ১১টায় পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে আয়োজিত পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশের স্বার্থে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। দেশের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা কোনো আপস করব না। জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে থাকবো যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত। পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণকে সাথে নিয়ে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটিয়েছিলাম। সেই আন্দোলনে আমরা কারও সঙ্গে আপস করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, আমার ভাই-বোনেরা শহীদ হয়েছেন। তাদের শহীদি মর্যাদা ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে। এজন্য প্রয়োজন জুলাই সনদ। এই দাবিতে আমরা অনড় অবস্থানে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ডা. তাসলিমা জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, নাটোর জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুর মান্নাফসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পথসভা শেষে নেতাকর্মীরা কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এর আগে দুপুরে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ের স্বাধীনতা চত্বরে পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন হলেই হবে না, দেশের মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। সে জন্য জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে, গণঅভ্যুত্থানের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে যে ভাইবোনেরা নেমে এসেছিল, যেসব মানুষ শহীদ হয়েছিল, তাদের সেই শহীদি মর্যাদা রাষ্ট্রকে দিতে হবে। সংবিধানে স্বীকৃতি থাকতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রয়োজন জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ।’
নাটোরে এনসিপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। হুঁশিয়ারি দিতে চাই। মাত্র এক বছর আগে কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে যারা ক্ষমতায় দীর্ঘায়িত হতে চেয়েছিল, তাদের আজকের বাংলাদেশে ঠাঁই হয়নি। যদি এখনও আমরা সেই স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন থেকে শিক্ষা না নিই, তবে তাদের পরিণতিও সেই দিকেই যাবে।’
এ সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার পদযাত্রার ষষ্ঠ দিনে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে যান নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির অন্য নেতারা। এ ছাড়া এদিন তারা নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার কুজাইল বাজার সফর করেন। রোববার নওগাঁ শহরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি)