এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ ইলন মাস্কের
Published: 21st, May 2025 GMT
ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। আর তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষের মতো সক্ষমতা অর্জন করেছে কি না, তা জানতে চান অনেকেই। শুধু তা-ই নয়, এআই মানুষের কোন ধরনের কাজ কেড়ে নেবে, তা নিয়েও বিশ্বজুড়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। এবার এআই প্রযুক্তির সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। তাঁর মতে, এআই প্রযুক্তি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত না হলে তা ভবিষ্যতে মানবজাতির জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে উঠতে পারে।
সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ‘ইউএস-সৌদি ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম’–এ ইলন মাস্ক এআই প্রযুক্তি ও মানবাকৃতির রোবটের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে না করা হয়, তাহলে তা একসময় মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ফলে ভবিষ্যৎ হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। এ কারণে এআই প্রযুক্তির উন্নয়নে সর্বোচ্চ সতর্কতা, কার্যকর নীতিমালা এবং মানবকল্যাণকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুনস্বপ্নপূরণের পথে একধাপ এগিয়ে গেলেন ইলন মাস্ক০৬ মে ২০২৫এআইয়ের পাশাপাশি মানবাকৃতির রোবট অদূর ভবিষ্যতে মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী ইলন মাস্ক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে রোবটের ব্যাপক ব্যবহার বিশ্ব অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। এতে গড়ে উঠতে পারে সর্বজনীন উচ্চ আয়ের সমাজ, যেখানে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ এতটাই বাড়বে যে দুষ্প্রাপ্যতা বলে কিছু থাকবে না। ভবিষ্যতে এমন এক সময় আসবে, যখন প্রত্যেক মানুষের জন্য একটি করে ব্যক্তিগত রোবট থাকবে।
আরও পড়ুনইলন মাস্ক, বিল গেটস দিনে ৮ ঘণ্টা কাজে বিশ্বাসী নন০১ মে ২০২৫প্রসঙ্গত, এআই–সংক্রান্ত ঝুঁকি নিয়ে আগেও প্রকাশ্যে কথা বলেছেন ইলন মাস্ক। গত বছর এক পডকাস্টে তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেছিলেন, আশা করা যায় ২০২৯ বা ২০৩০ সালে এআই এমন একটি স্তরে পৌঁছাবে, যা সব মানুষের চেয়ে বেশি স্মার্ট হবে। এআইয়ের কারণে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব ধ্বংসের সম্ভাবনা ১০ থেকে ২০ শতাংশ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে আ’লীগ নেতার অবৈধ ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
বন্দরে অবৈধ চায়না ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ধামগড় ইউনিয়নবাসী। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে অবৈধ ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর বন্দর উপজেলার আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ অসহায় নিরিহ কৃষকদের জিম্মি করে কৃষি জমি জোর পূর্বক হাতিয়ে নিয়ে এই অবৈধ ব্যাটারি কারখানা নির্মাণ করেন। অবৈধ ব্যাটারি কারখানার কেমিক্যালের দূষিত ধোঁয়া কারনে অসুস্থ হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন।
৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামীলীগ দোসর মাসুম বিএনপির কিছু কথিত নেতাদের ম্যানেজ করে তার এই অবৈধ ব্যাটারি কারখানা চালিয়ে আসছে। এলাকাবাসী দাবি ব্যাটারি কারখানাটি বন্ধসহ আওয়ামীলীগ দোসর মাসুমের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান তারা।