সিদ্ধিরগঞ্জের চিহ্নিত মাদক সম্রাট নাহিদের অন্যতম সহযোগী নাছির ওরফে কাল্লু (৩৪) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২০ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহীনুর আলম।

এরআগে মঙ্গবার রাত ১১ টায় আদমজী বিহারী ক্যাম্প বালুর মাঠ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নাছির ওরফে কাল্লু সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী বিহারী ক্যাম্প এলাকার আব্দুল করিম এর ছেলে।

ওসি মো.

শাহীনুর আলম জানান, বিহারী ক্যাম্পে মাদক বিক্রি করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে (এসআই) আতাউর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে মাদকসহ নাছির ওরফে কাল্লুকে আটক করে।

পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। যার মামলা নং-৩৬।

জানাগেছে, নাসিক ৬নং ওয়ার্ড আদমজী নতুন বাজার এলাকার পক্ষি মজিবরের ছেলে নাহিদ এক সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতির অনুসারী ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত একাধিক মামলার আসামিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাদক, চাঁদাবাজী, ছিনতাই, মারামারি, লুটতরাজের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে কমপক্ষে ডজন খানেক মামলা। এরপরও অবাধ বিচরণ ও রামরাজত্বে বিষ্ময় প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। 

এলাকাবাসী জানায়, নাহিদ বিহারী ক্যাম্প ও নতুন বাজার এলাকায় এক ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করে তুলে।  তার রয়েছে মাদক বিক্রির করার কয়েকটি বাহিনী এর মধ্যে রয়েছে কাল্লু, ফেকু, উকিল, ছনুসহ ১০ তেকে ১৫ জন। এসব বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে নাহিদ। এদের দিয়ে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই ও চাদাঁবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। 

আদমজী বিহারী ক্যাম্পটি এখন নাহিদের মাদকের স্বর্গরাজ্য। তার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন। কেউ যদি প্রতিবাদ করত তাহলে তার ওপরে নেমে আসত পাশবিক নির্যাতন।  এরফলে অন্যকারো ইচ্ছা থাকলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মূখ খুলার সাহস পায়না। 

নাহিদের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদকের প্রায় ডজন খানেক মামলা। বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় একদিক হত্যা মামলারও আসামি নাহিদ।

গত ৫ আগস্ট বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হমলা লুটপাটারে ঘটনায়ও নাহিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাদের দাবি নাহিদকে গ্রেপ্তার করে বিচারে মুখোমুখি করার দরকার।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ