চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৫ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি মো. জানে আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একাত্তর টিভি ও দৈনিক খবরের কাগজের প্রতিনিধি মাহফুজ শুভ্র নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং চবিসাসের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
ডিআরইউয়ে সন্ত্রাসী জাকির গংয়ের হামলার শিকার সভাপতিসহ অনেক সাংবাদিক
১১৮ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
এবার কার্যনির্বাহী পরিষদের আটটি পদের বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ১৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সিভয়েসের প্রতিনিধি রেফায়েত উল্যাহ রুপক। বাকি সাত পদের নির্বাচন শেষে ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
কমিটির অন্য পদগুলোতে নির্বাচিতরা হলেন, সহ-সভাপতি ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি মো. সুমন ইসলাম, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক দ্য ডেইলি সানের সোহেল রানা, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক দৈনিক ইত্তেফাক ও বার্তা২৪ এর প্রতিনিধি মুহাম্মদ মুনতাজ আলী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক দৈনিক কালবেলার মো. জাহিদুল হক এবং নির্বাহী সদস্য পদে ঢাকা পোস্ট ও আমার দেশের প্রতিনিধি মো. আতিকুর রহমান।
নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী প্রক্টর মো. নুরুল হামিদ ও সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী। নির্বাচন পর্যবেক্ষক ছিলেন চবিসাসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ বাইজিদ ইমন।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চা–বাগানের ৩৪ শতাংশ নারী শ্রমিক যৌন নির্যাতনের শিকার: গবেষণা
চা–বাগানে কাজ করা দেশের ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ নারী শ্রমিক কর্মস্থলে যৌন নির্যাতনের শিকার হন। ৩০ শতাংশ নারী শ্রমিক মৌখিক এবং ১৪ শতাংশ নারী শ্রমিক শারীরিক নির্যাতনের (গৃহে নির্যাতনসহ) শিকার হন।
সম্প্রতি পরিচালিত ‘নারী চা–শ্রমিকদের অধিকার, সেবাপ্রাপ্তিতে প্রবেশগম্যতা: বাস্তবতা ও আইনগত প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
‘অক্সফাম ইন বাংলাদেশের’ সহযোগিতায় ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ সংগঠনের অধীন সিলেট বিভাগের ৩টি জেলার ১১টি উপজেলায় ‘স্ট্রেনদেনিং ইউমেন ভয়েসেস ইন টি গার্ডেন’ প্রকল্পের আওতায় এ গবেষণা করা হয়। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বেসরকারি ইনোভেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড কনসালট্যান্সি (আইআরসি) এ গবেষণা পরিচালনা করে। সংস্থাটির লিড কনসালট্যান্ট পলিন কুমার সাহা গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন।
গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ নারী কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ মনে করেন না। চা–বাগানে কাজ করা নারী শ্রমিকদের মধ্যে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ সহিংসতার কারণে, ১২ দশমিক ৩ শতাংশ মালিকের কাছ থেকে হুমকি, ৮ দশমিক ২ শতাংশ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, ৪ দশমিক ১ শতাংশ চুরি এবং বাকিরা অন্যান্য কারণে কর্মক্ষেত্রকে অনিরাপদ মনে করেন।
৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ নারী এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেন বলে জানিয়েছেন গবেষণায় অংশ নেওয়া নারী শ্রমিকেরা।
গবেষণায় অংশ নেওয়া সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন চা–বাগানে কাজ করা ৩ শতাধিক নারী শ্রমিকের মধ্যে ২৩ জন তাঁদের ওপর হওয়া অপরাধগুলোর প্রকারভেদ বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯৫ দশমিক ৭ শতাংশ নারী অশ্লীল বা অপমানজনক কথা ও অঙ্গভঙ্গির শিকার হয়েছেন, এ ছাড়া ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ, ২৬ দশমিক ১ শতাংশ যৌন হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারী শ্রমিক অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।
গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চা–শ্রমিকেরা। ঢাকা, ২২ মে