প্রেক্ষাগৃহের টিকিটের টাকার ন্যায্য বণ্টনের প্রশ্নে সমঝোতায় পৌঁছেছেন সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও প্রযোজকেরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি শাখায় এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

১৪ মে প্রথম আলোয় ‘এসি রক্ষণাবেক্ষণের নামে “অন্যায্য” বিল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর আলোচনার মধ্যে বৈঠক করলেন প্রদর্শক ও প্রযোজকেরা।

স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (বিপণন) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বসে সুরাহা করেছি। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।’

দীর্ঘদিন ধরে টিকিট বিক্রির অর্থের ন্যায্য হিস্যা চেয়ে আসছেন প্রযোজকেরা। তবে কী পরিমাণ অর্থ ভাগাভাগি করা হবে, তা খোলাসা করা হয়নি।

আরও পড়ুনএসি রক্ষণাবেক্ষণের নামে এত বিল১৩ মে ২০২৫

বৈঠকে স্টার সিনেপ্লেক্সের নির্বাহী পরিচালক খালেদ আহমেদ, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, প্রযোজক রেদওয়ান রনি, ‘বরবাদ’ প্রযোজক শাহরিন সুমী, ‘জংলি’ প্রযোজক জাহিদ হাসান, ‘ইনসাফ’ প্রযোজক আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ‘তুফান’, ‘দাগি’র প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল লিখেছেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের স্বার্থে প্রযোজকবৃন্দ ও স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে একমত হয়ে আগামীতে সিনেমা প্রর্দশনীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

আরও পড়ুনপ্রেক্ষাগৃহ থেকে ন্যায্য হিস্যা চান প্রযোজকেরা১৪ মে ২০২৫

শাকিলের ভাষ্য, ‘চলচ্চিত্রের অগ্রগতিতে এ সিদ্ধান্ত ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে, এ আশাবাদ সবার।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চা–বাগানের ৩৪ শতাংশ নারী শ্রমিক যৌন নির্যাতনের শিকার: গবেষণা

চা–বাগানে কাজ করা দেশের ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ নারী শ্রমিক কর্মস্থলে যৌন নির্যাতনের শিকার হন। ৩০ শতাংশ নারী শ্রমিক মৌখিক এবং ১৪ শতাংশ নারী শ্রমিক শারীরিক নির্যাতনের (গৃহে নির্যাতনসহ) শিকার হন।

সম্প্রতি পরিচালিত ‘নারী চা–শ্রমিকদের অধিকার, সেবাপ্রাপ্তিতে প্রবেশগম্যতা: বাস্তবতা ও আইনগত প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়।

‘অক্সফাম ইন বাংলাদেশের’ সহযোগিতায় ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ সংগঠনের অধীন সিলেট বিভাগের ৩টি জেলার ১১টি উপজেলায় ‘স্ট্রেনদেনিং ইউমেন ভয়েসেস ইন টি গার্ডেন’ প্রকল্পের আওতায় এ গবেষণা করা হয়। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বেসরকারি ইনোভেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড কনসালট্যান্সি (আইআরসি) এ গবেষণা পরিচালনা করে। সংস্থাটির লিড কনসালট্যান্ট পলিন কুমার সাহা গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ নারী কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ মনে করেন না। চা–বাগানে কাজ করা নারী শ্রমিকদের মধ্যে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ সহিংসতার কারণে, ১২ দশমিক ৩ শতাংশ মালিকের কাছ থেকে হুমকি, ৮ দশমিক ২ শতাংশ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, ৪ দশমিক ১ শতাংশ চুরি এবং বাকিরা অন্যান্য কারণে কর্মক্ষেত্রকে অনিরাপদ মনে করেন।

৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ নারী এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেন বলে জানিয়েছেন গবেষণায় অংশ নেওয়া নারী শ্রমিকেরা।

গবেষণায় অংশ নেওয়া সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন চা–বাগানে কাজ করা ৩ শতাধিক নারী শ্রমিকের মধ্যে ২৩ জন তাঁদের ওপর হওয়া অপরাধগুলোর প্রকারভেদ বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯৫ দশমিক ৭ শতাংশ নারী অশ্লীল বা অপমানজনক কথা ও অঙ্গভঙ্গির শিকার হয়েছেন, এ ছাড়া ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ, ২৬ দশমিক ১ শতাংশ যৌন হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারী শ্রমিক অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।

গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চা–শ্রমিকেরা। ঢাকা, ২২ মে

সম্পর্কিত নিবন্ধ