চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে বৈধভাবে আসন বরাদ্দ দিয়ে পরে স্থগিত করায় হলগেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় শিক্ষার্থীরা ফরহাদ হলের সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে সাড়ে ৭টায় হলগেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা হলেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৭ মে উপ-উপাচার্য কামাল স্যার আমাদের বলেছিলেন, আজ (২২ মে) আমাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু আইসিটিতে গেলে সেল পরিচালক আমাদের জানিয়েছেন, এখন সমাধান অসম্ভব। কখন সমাধান হবে সে সম্পর্কেও তিনি কথা বলতে চান না।

আরো পড়ুন:

নটরডেমের শিক্ষার্থী ধ্রুবর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি

রাবির ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, সেল পরিচালক বলেছেন, এর সমাধান একমাসেও হতে পারে, ছয় মাসেও লাগতে পারে। গত ১৩ এপ্রিল থেকে আমরা ছন্নহারা হয়ে ঘোরাঘুরি করছি। এমতাবস্থায় আমরা হলগেটে তালা দিয়েছি। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা হল ছাড়ব না।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, “দীর্ঘ দেড় মাস ধরে আমরা আমাদের বৈধ সিট নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছি। প্রশাসন বিষয়টি সমাধান করলেও কার্যত আমাদের দিকে তাদের কোনো দৃষ্টি নেই। সমাবর্তনের পরে হলে ওঠাবে বললেও এখন তাদের কোনো সাড়া নেই। আমরা আর কারো কাছে ঘুরব না। আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।”

দীর্ঘদিন পর ফরহাদ হোসেন হলে আবাসন বরাদ্দের আবেদন নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর ভিত্তিতে হলে আসন বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ করে ফলাফল দেয় আইসিটি সেল। হলে সিট সংখ্যা ৭০০। এর মধ্যে ৫৩০ জন শিক্ষার্থীর সিট নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অধিকাংশ হলটিতে উঠেছেন। মৌখিক পরীক্ষায় বাকি ১৭০ জন শিক্ষার্থীর সিট স্থগিত রাখা হয়েছে।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র হলগ ট

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ধসের শঙ্কা

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রামসহ তিন বিভাগে দ্বিতীয় দিনের মতো ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। আজ সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এ আশঙ্কার কথা বলা হয়।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের পাশাপাশি জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে।

গতকাল রোববারও একই সতর্কবার্তা ছিল। চট্টগ্রামে তিন দিন ধরে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আজ সকাল থেকেও থেমে থেমে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রামসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ২০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আরও মাঝারি থেকে ভারী মাত্রার বৃষ্টি হবে। এ ছাড়া ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত অব্যাহত রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ