উইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া
Published: 7th, July 2025 GMT
বার্বাডোজের পর গ্রেনাডাতেও অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্টার্ক ও লায়নের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিকদের ১৩৩ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে অজিরা।
চতুর্থ দিনের শুরুতে ৭ উইকেটে ২২১ রান নিয়ে খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ২২ রান যোগ করতেই অলআউট হয় তারা। দিনের দ্বিতীয় বলেই প্যাট কামিন্সকে ফেরান শামার জোসেফ। পরে অ্যালেক্স ক্যারিকেও থামান তিনি ৩০ রানে। শেষ উইকেট জশ হ্যাজেলউডকে (৪) বোল্ড করেন আলজারি জোসেফ। অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৪৩ রানে। শামার জোসেফ নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। আলজারি জোসেফ, জেইডেন সিলস ও জাস্টিন গ্রিভস পান দুটি করে।
জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ছিল ২৭৭ রান। হাতে ছিল পাঁচ সেশন সময়ও। তবে ইনিংসের শুরুতেই ধসে পড়ে তারা। মাত্র ৩৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে যায় স্বাগতিকরা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। শাই হোপ ও রোস্টন চেজ ৩৮ রানের জুটি গড়ে। এরপর ৩২ রানের ব্যবধানে আরও চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। শেষ তিন উইকেট নিয়ে লায়ন জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৪.
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক ও লায়ন ৩টি করে উইকেট নেন, ২টি পান হ্যাজেলউড। তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ১৩ জুলাই, কিংস্টনে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রেকর্ড গড়ে মিরাজকে কৃতজ্ঞতা জানালেন তানভীর
তানজিম হাসান উইকেট নিয়েছিলেন শুরুতেই। তবে এরপর ৪৫ বলে ৬৯ রানের জুটিতে দারুণভাবে এগোচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। তাদের আশা যখন বাড়ছিল, তখনই আঘাত হানেন তানভীর ইসলাম। নিশান মাদুস্কাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন।
এরপর ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন তানভীর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন বাংলাদেশের সেরা বোলিংটাও তাঁর। আরেক বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাকের রেকর্ড ভেঙেছেন তানভীর। ২০১৩ সালে পাল্লেকেলেতে ৬২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রাজ্জাক।
আরও পড়ুনরাজনীতিতে গিয়ে জীবনের সবচেয়ে বাজে কাজটা করেছিলেন জয়াসুরিয়া০৪ জুলাই ২০২৫ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তানভীর বলেছেন, ‘ভালো লাগছে, ঠিক জায়গায় বল করেছি। আগের ম্যাচের চেয়ে আজ ভালো উইকেট ছিল। অধিনায়কের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যিনি ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই ওই ম্যাচের পর ভীষণ চাপে ছিল দল। ৫ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে তখনো মেহেদী হাসান মিরাজ জয়শূন্য। আজও বাংলাদেশ করতে পেরেছিল ২৪৮, পরে যদিও ১৬ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে।
ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ম্যাচেই ৫ উইকেট পেলেন তানভীর