ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনে হুতি নিয়ন্ত্রিত তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে।হামলার শিকার হয়েছে বাণিজ্যিক জাহাজ গ্যালাক্সি লিডারও। জাহাজটি দুই বছর আগে ছিনতাই হয়েছিল।

সোমবার (৭ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হুদাইদাহ, রাস ইসা ও সাইফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ হামলার তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় যুদ্ধ বিরতির আলোচনায় প্রতিনিধি পাঠাবে ইসরায়েল 

এদিকে এ হামলার জবাবে ইয়ামেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা যায়নি।

ইরান-সমর্থিত হুতি সামরিক গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানের মুখোমুখি হয়েছে।

হুতি পরিচালিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হোদেইদাহ বন্দরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আঘাত হেনেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

এক্স-এ এক পোস্টে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ এ ধরনের হামলাকে ‘অপারেশন ব্যাক ফ্যাগ’র অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। হুতিদের কর্মের জন্য চড়া মূল্য চুকাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কাটজ বলেন, “ইয়েমেনের ভবিষ্যৎ তেহরানের মতোই হবে। যে কেউ ইসরায়েলকে আঘাতের চেষ্টা করবে, তাকে আঘাতের পাল্টা মূল্য দিতে হবে। যে কেউ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাত তুলবে, তার হাত কেটে ফেলা হবে।”

গাজায় ইসরায়েল হামলা শুরুর পর থেকেই হুতি বিদ্রোহীরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নিয়মিত ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ আর লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করছে।

ইসরায়েলি বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের বন্দরগুলোতে সর্বশেষ হামলা ইসরায়েল ও তার জনগণের ওপর হুতিদের অব্যাহত আক্রমণের জবাবে করা হয়েছে।

ইসরায়েলি বিমান বাহিনী দাবি করেছে, হামলায় হুতি নিয়ন্ত্রিত হুদাইদাহ, রাস ইসা ও সাইফ বন্দরের পাশাপাশি রাস কানাতিপ বিদ্যুৎকেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে আশপাশের ইব ও তাইজ শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতো। 

হোদেইদাহ বন্দরটি লাখ লাখ ইয়েমেনির খাবার ও মানবিক সহায়তার প্রধান প্রবেশপথ। গত বছর সেখানে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ডিআরইউ এর সাবেক সভাপতি শামীম আহমেদ মারা গেছেন

জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শামীম আহমেদ মারা গেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। 

সোমবার সকালে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। 

এর আগে রোববার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সাংবাদিক শামীম আহমদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

শামীম আহমদের ছোট ভাই ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য রাশেদ আহমেদ মিতুল বলেন, ‘তার জানাজা বাদ আছর খিলগাঁও চৌধুরী পাড়ার মাটির মসজিদে হবে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।’

সাংবাদিক শামীম আহমদ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাসে প্রেস মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া বার্তা সংস্থা ইউএনবির সাবেক চিফ অব করেসপন্ডেন্টস ও সিটি এডিটর হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। 

পরিবারে শামীম আহমদ তার মা, চার ভাই, তিনবোন এবং আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। শামীম আহমদের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল শোক জানিয়েছেন।

এছাড়া ডিক্যাব সভাপতি একেএম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন সাংবাদিক শামীম আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

এক শোকবার্তায় তারা বলেন, শামীম আহমদ ছিলেন দেশের সাংবাদিকতা অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। পেশাগত সততা, নিষ্ঠা ও নেতৃত্বগুণে তিনি সাংবাদিকদের জন্য এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। তিনি শুধু একজন দক্ষ সাংবাদিকই নন, ছিলেন একাধারে সংগঠক, অভিভাবক এবং বন্ধু। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন অভিজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান ও সম্মানিত সহকর্মীকে হারালাম, যিনি ডিক্যাব-এর কার্যক্রমে সব সময় নিবেদিতভাবে যুক্ত ছিলেন এবং সংগঠনের উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ