গ্রিলিশের দাম আরও কমাল সিটি, তবু আগ্রহী নয় কোনো ক্লাব
Published: 7th, July 2025 GMT
জ্যাক গ্রিলিশ তাহলে এখন ম্যানচেস্টার সিটির বোঝাই হয়ে গেছেন! আর বোঝা যত জলদি পারা যায়, নামিয়ে ফেলাই ভালো।
কিন্তু সেটাই তো পারছে না সিটি। ইংলিশ এই মিডফিল্ডারকে বিক্রি করতে পারছে না অন্য কোনো ক্লাবের কাছে। বাধ্য হয়ে তাই গ্রিলিশের জন্য এত দিন যে দাম চাইছিল, সেটা আরও কমাতে বাধ্য হয়েছে সিটি।
ম্যানচেস্টার ইভেনিং নিউজ জানিয়েছে, এত দিন ৫-৬ কোটি পাউন্ডের কমে গ্রিলিশকে বিক্রি করতে আগ্রহী না হলেও এখন ৪ কোটি পাউন্ড পেলেই তাঁকে ছেড়ে দিতে চায় সিটিজেনরা।
অথচ ২০২১ সালে অ্যাস্টন ভিলা থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা) ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়ে গ্রিলিশ ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ব্রিটিশ ফুটবলারের তকমা লাগিয়েছিলেন গায়ে।
সিটিতে গ্রিলিশের পরের মৌসুমগুলো একেবারে খারাপ কাটেনি। তিনবার প্রিমিয়ার লিগ, একবার এফএ কাপ আর একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। ২০২২-২৩ মৌসুমে তো বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সিটির ট্রেবল জয়েই। এখন পর্যন্ত সিটির জার্সিতে ১৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন, গোল করেছেন ১৭টি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্রীয় সহায়তায় ফরিদা পারভীনের উন্নত চিকিৎসার দাবি জানালেন স্বামী
লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন লিভারের রোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। চার মাস আগে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে ভর্তিও হয়েছিলেন হাসপাতালে। তাঁকে আইসিইউ পর্যন্ত যেতে হয়েছিল। এখন তাঁর অবস্থা আরও গুরুতর। এরই মধ্যে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চলছে তাঁর চিকিৎসা। নন্দিত এই কণ্ঠশিল্পীর জটিল রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় রাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে তাঁর পরিবার।
এ বরেণ্যশিল্পীর চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন রয়েছে; তবে তা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা কোনো ব্যক্তি পর্যায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত সহায়তা নয়, তাঁকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় সহায়তা চান তাঁর পরিবার। এমন তথ্য জানিয়েছেন যন্ত্রশিল্পীদের সংগঠন বাংলাদেশ মিউজিশিয়ানস ফাউন্ডেশনের সভাপতি, ফরিদা পারভীনের স্বামী গাজী আবদুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে তাঁর (ফরিদা পারভীন) লিভারের রোগ। ফুসফুসে পানি জমেছে, আবার ডায়াবেটিসের সমস্যাও আছে। ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। আইসিইউতে রাখা হয়েছিল, কিন্তু সেটা অনেক ব্যয়বহুল। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খুব দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আমার যা আছে, সব বিক্রি করে দেব। কয়েকজন উপদেষ্টা ইতোমধ্যে তাঁর খোঁজখবর নিয়েছেন। রাষ্ট্র বলেছে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করবে। ওই টাকা দিয়ে আমি কী করব। তাঁকে তো উন্নত চিকিৎসা দিতে হবে। আমি তো অন্য কিছু চাই না। ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কথা আসছে। এটা হতেই পারে। যে যার দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলছেন। আগে তাঁকে বাঁচাতে হবে। সবাই তো ফরিদা পারভীনের সুস্থতা চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দু’জনই একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী। ফরিদা পারভীন মানুষের জন্য অনেক কিছু করেছেন। সারা পৃথিবীজুড়ে তাঁর নাম। গান গেয়ে তিনি যা উপার্জন করেছেন তা দিয়ে করোনাভাইরাসের সময় কাজ হারানো হাজার হাজার মানুষকে খাইয়েছেন। তাঁর মতো শিল্পী অন্তত চিকিৎসা সেবাটাতো পাবে। সারাজীবন দেশের জন্য কাজ করে গেল, শিল্পের জন্য কাজ করে গেল। আমিও সারাজীবন সংগীতের সাধনা করে গেলাম। আমাদের প্রতি রাষ্ট্রেরও তো দায়িত্ব আছে। রাষ্ট্রের সহায়তায় বড় বড় চিকিৎসকের সমন্বয়ে বোর্ড বসিয়ে তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। তাতে কাজ না হলে দেশের বাইরে নেওয়া হোক। তাঁর মতো শিল্পী সুচিকিৎসা না পেলে দেশেরই দুর্নাম হবে।’
প্রসঙ্গত, চার মাস আগেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ফরিদা পারভীনকে। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। কিছুদিন একটু ভালো ছিলেন শিল্পী, পরে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন।