বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় নানা স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য গতকাল রোববারই দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সতর্কবার্তা আজ সোমবারও বলবৎ আছে।

এরই মধ্যে দেশের সাত জেলার নদীবন্দরগুলোকে আজ ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এসব এলাকায় ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তার জন্যই এই সংকেত। আজ বেলা একটার মধ্যে এসব এলাকায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

লঘুচাপের কারণে গতকাল থেকেই দেশের, বিশেষ করে উপকূলের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি বেড়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় টেকনাফে, ১৫২ মিলিমিটার। চট্টগ্রাম বিভাগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৫টি স্টেশনের মধ্যে ১৩টিতেই গতকাল বৃষ্টি হয়েছে। খুলনার সাত স্টেশনের মধ্যে পাঁচটিতে এবং বরিশাল বিভাগের চার স্টেশনের মধ্যে সব কটিতে গতকাল পর্যন্ত বৃষ্টির রেকর্ড আছে। এর মধ্যে বরিশালে সর্বোচ্চ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে। আজ রাজধানীতেও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

গত জুন মাসে দেশে প্রায় ২০ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোয় বৃষ্টি হলেও দেশের অন্যত্র তেমন বৃষ্টি হচ্ছে না। এর কারণ প্রসঙ্গে আফরোজা সুলতানা বলেন, মেঘমালা উপকূলীয় অঞ্চলে থেকে যাচ্ছে। দেশের মধ্যাঞ্চলে বা বৃষ্টিপ্রবণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই মেঘ পৌঁছাচ্ছে না। বাতাসের গতিবেগ এর কারণ।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘলা। কোথাও কোথাও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রাজধানীতে মাত্র ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। আজও রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল উপক ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহের ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য সাত আসামি পলাতক।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজবাড়ীর নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী ও ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খাঁ ও যশোরের শেখহাটি খাঁপাড়ার মনির হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যান। এ সময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই দিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ শহর থেকে কর্মস্থলে রওনা হন। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের পানিভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলামের হাত–পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে পুলিশ। এজাহারে বলা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা অস্ত্র ও মালামাল ছিনিয়ে নিতে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ