ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের দুস্থ গোষ্ঠী উন্নয়নের (ভিজিডি) কর্মসূচির ১৬০ কার্ডধারী নারী তাদের সঞ্চয়ের অর্থ ফেরত পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মুনাফাসহ ১৬০ নারীর সঞ্চয়ের অর্থের চেক বিতরণ করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয় পরিচালিত ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঘিলাছড়া ইউনিয়নের ১৬০ নারীকে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এর বিপরীতে ২০০ টাকা করে তাদের ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয় হিসাবে জমা করা হতো। ভিজিডি কর্মসূচির সুবিধাভোগী নারীদের নিজেদের টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা করার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাংকে যাতায়াতের ভোগান্তি ও অর্থ সাশ্রয়ে নারীরা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ে মাঠকর্মী শারমিন আক্তারের কাছে টাকা জমা দিতেন। 

গত ১৪ মে ভিজিডি কর্মসূচির চাল বিতরণ কার্যক্রম শেষ হলে পরদিন নারীরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে তাদের সঞ্চয়ের অর্থ নিতে চাইলে এ সময় তাদের ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়। পরে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করে তারা জানতে পারেন, তাদের সঞ্চয়ের অর্থ ব্যাংকে জমা হয়নি। এ সময় মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের মাঠকর্মী শারমিন আক্তারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের টনক নড়ে। গত বুধবার বিকেলে নারীদের দুই বছরের সঞ্চয় ও মুনাফার অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখায় জমা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘিলাছড়া ইউপি কার্যালয়ে মুনাফাসহ ১৬০ নারীর সঞ্চয়ের অর্থের চেক বিতরণ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের মাঠকর্মী শারমিন আক্তারের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। শারমিনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খাদিজা খাতুন জানান, সঞ্চয়ের অর্থ সময়মতো ব্যাংকে জমা না দেওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ইউএনও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, উপকারভোগী হতদরিদ্র নারীদের সঞ্চয়ের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাবতলীতে ট্রাফিক সার্জেন্টকে ‘দায়িত্ব পালনে বাধা ও লাঞ্ছিত করার’ দায়ে এক দম্পতিকে জেল-জরিমানা

রাজধানীর গাবতলী মাজার রোডে পুলিশ সার্জেন্টকে দায়িত্ব পালনে বাধা ও লাঞ্ছিত করার দায়ে একটি প্রাইভেট কারের মালিক মো. শামীম মোল্লাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সার্জেন্ট আবু সুফিয়ান গাবতলী মাজার রোডে সিগন্যাল অমান্য করায় একটি প্রাইভেট কারকে থামার সংকেত দেন। এ সময় তিনি গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে প্রাইভেট কারটির মালিক ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা খাতুন গাড়ি থেকে বের হয়ে সার্জেন্টকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেন এবং তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় সার্জেন্ট আবু সুফিয়ান পথচারীদের সহযোগিতায় তাঁদের আটক করে দারুসসালাম থানায় হস্তান্তর করেন।

আটক শামীম মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা খাতুনকে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত শামীম মোল্লাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী আয়েশা খাতুনকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ