টানা ভারি বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝো প্রদেশে অন্তত ৪ জন নিহত ও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীদের উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে।

এতে বলা হয়েছে, গুইঝো প্রদেশের চাংশি শহরে দুজন এবং কিংইয়াং গ্রামের কাছে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। ওই এলাকায় ভূমিধসে আটটি পরিবারের ১৯ জন সদস্য আটকা পড়েছেন।

পরে আশপাশের এলাকায় সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চীন দীর্ঘমেয়াদী তাপদাহ এবং অপ্রত্যাশিত ভারী বৃষ্টিপাতের মুখোমুখি হচ্ছে। বিশাল জনসংখ্যার কারণে দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গুইঝোর পার্বত্য অঞ্চলে এবং পাশের হুনান ও জিয়াংসি প্রদেশে ভারী বর্ষণের কারণে কর্তৃপক্ষ তৃতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এসব এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্য এবং দমকল কর্মীসহ ৪০০ জনের বেশি উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

গত এক সপ্তাহে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশ ও গুয়াংশি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অন্তত ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম ধস

এছাড়াও পড়ুন:

সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই দলের সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু'দিনব্যাপী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। 

সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় ও সরকারের সংস্কারবিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লুনা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও সংগঠকরা।

সভায় সারাদেশে অব্যাহত মব-সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জননিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানানো হয়। 

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসাসহ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষার ভূমিকা নেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ও ১৮ জুলাই ‘শহীদ রেজভী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ