রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার কেনার কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, চালকবিহীন রাইডসেবা চালুর জন্য টেসলার নিজস্ব প্রযুক্তি ও সম্পদই যথেষ্ট।

দুই ধরনের চালকবিহীন গাড়ি আনতে পারে টেসলা। এসব গাড়ি টেসলার মালিকানাধীন বা সাধারণ ব্যক্তিগত গাড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। গাড়ির মালিকেরা চাইলে নিজেদের গাড়ি টেসলার মাধ্যমে ভাড়া দিতে পারবেন। এ বিষয়ে সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আমার ধারণা, টেসলার মালিকেরা তাঁদের গাড়ি ভাড়া দিলে যে অর্থ পাবেন, তা লিজের কিস্তির চেয়ে বেশি হতে পারে।’

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আগামী মাসে টেসলা যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন শহরে পরীক্ষামূলকভাবে তাদের রোবোট্যাক্সি–সেবা চালু করতে যাচ্ছে। ‘এফএসডি আনসুপারভাইজড’ নামের স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে চালিত এই গাড়িগুলোর জন্য চালকের প্রয়োজন হবে না। এ বিষয়ে মাস্ক বলেন, ‘শুরুর সপ্তাহে আমরা ১০টি গাড়ি নামাব। এরপর সংখ্যাটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ২০, ৩০ ও ৪০ করা হবে। কয়েক মাসের মধ্যেই এ সংখ্যা এক হাজারে পৌঁছাতে পারে।’

প্রসঙ্গত, অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন ওয়েমো এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফিনিক্স, অস্টিন ও আটলান্টা শহরে রোবোট্যাক্সি–সেবা দিচ্ছে। অন্যদিকে মোবাইলআই ও মে মোবিলিটির সঙ্গে অংশীদারত্ব করে চলতি বছরেই নিজেদের চালকবিহীন গাড়ি চালুর পরিকল্পনা করছে লিফট। টেসলার এই উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক পরিধিকে যেমন আরও বিস্তৃত করবে, তেমনি আয়ের নতুন উৎসও তৈরি করবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই দলের সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু'দিনব্যাপী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। 

সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় ও সরকারের সংস্কারবিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লুনা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও সংগঠকরা।

সভায় সারাদেশে অব্যাহত মব-সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জননিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানানো হয়। 

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসাসহ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষার ভূমিকা নেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ও ১৮ জুলাই ‘শহীদ রেজভী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ