আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব।

আজ সোমবার রায়গঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে রায়গঞ্জ, তাড়াশ উপজেলা ও সলঙ্গা থানা জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক দায়িত্বশীল সমাবেশে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

সমাবেশে রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির আলী মর্তুজার সভাপতিত্বে ও উপজেলা সেক্রেটারি ডা.

এস এম মুনসুর আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিশের শূরা সদস্য নজরুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনুর আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম ও অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, তাড়াশ উপজেলা আমীর খ ম সাকলায়েন, সেক্রেটারি শাহজাহান আলী, সলঙ্গা থানা আমীর রাশেদুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, রায়গঞ্জ উপজেলা নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম বিশ্বাস, রায়গঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ হোসেন আকন্দ, ছাত্রশিবিরের রায়গঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাসুদ রানা, তাড়াশ উপজেলা সভাপতি আজিজুল হক ও সলঙ্গা থানা সভাপতি মহসিন আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ৫ আগস্টের গণভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে। আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। 
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিরসনে আমরা মৌলিক সংস্কার ও একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য স্পষ্ট রোডম্যাপ চাই। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ফ্যাসিস্টদের দৃশ্যমান বিচারের দাবি জানান এবং একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে জাতির সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম স র জগঞ জ র য়গঞ জ উপজ ল ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে চীনের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনের তথ্য নাকচ চীনা রাষ্ট্রদূতের

বাংলাদেশে চীনের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেছেন, প্রতিবেদনে বাংলাদেশে চীনের সামরিক উপস্থিতির তথ্য ‘সত্য নয়’।

বাংলাদেশ থেকে চীনে প্রথমবারের মতো পাঠানো আমের চালান নিয়ে বুধবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন ইয়াও ওয়েন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকার চীনা দূতাবাস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (ডিআইএ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে সামরিক উপস্থিতি বিবেচনা করছে চীন। এ তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কিউবা, কেনিয়া, গিনি, সেশেলস, তানজানিয়া, অ্যাঙ্গোলা, নাইজেরিয়া, নামিবিয়া, মোজাম্বিক, গ্যাবন, পাপুয়া নিউগিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও তাজিকিস্তান।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনের তথ্য সত্য নয়। আমাদের এ ধরনের কোনো উদ্দেশ্য নেই। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা আমাদের বন্ধুত্বের ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছি।’ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীনের সামরিক উপস্থিতি থাকার কোনো প্রয়োজন আমি দেখি না। আর এটার জন্য আমাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। আমি জানি না এ প্রতিবেদনের উৎস কী। তবে আমি বলতে চাই, এটি সত্য নয়।’

চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর সফরে কিছু এমওইউ সই হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এদিকে আগামী শনিবার চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওয়ে ঢাকায় আসছেন। চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর সফরে দেশটির সঙ্গে কিছু সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের পর চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী একটি বৃহত্তর বিনিয়োগ প্রতিনিধি নিয়ে আগামী শনিবার বাংলাদেশ সফর আসছেন। তাঁরা বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করবেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁর সঙ্গেও চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক হবে। এ সময় কিছু সমঝোতা স্মারক সই হবে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসার সঙ্গে চীনের ব্যবসার একটা সংযোগ সৃষ্টি হবে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে, বাণিজ্য–ঘাটতি কমানোর উদ্দেশ্যে আমরা বেশ কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছি, যার ওপর ভিত্তি করে আমরা এমওইউ স্বাক্ষর করব।’

চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর সফরে দেশটির পক্ষ থেকে কী পরিমাণ বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন—জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘চীন কত বিনিয়োগ করবে, সেটা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল। কারণ, সিদ্ধান্তটা তারা নেবে। তবে আমরা আশা করি চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী একটা প্রতিনিধিদল নিয়ে আসছেন। আশা করি তাদের এ সফর বিফলে যাবে না।’
গত মার্চে চীন সফর করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সফরের পর দেশটি থেকে কী পরিমাণ বিনিয়োগ এসেছে, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আপনি যখন কোনো বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তা এক সপ্তাহে ঘটে না।’

চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানির পরিমাণ ১০ গুণ বাড়বে বলে মনে করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য–ঘাটতি কমানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন চীনের বাজারে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। এ সুবিধার আওতায় এবারই প্রথম দেশটিতে বিনা শুল্কে বাংলাদেশের আম রপ্তানি করা হচ্ছে। আম রপ্তানি বহুগুণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে চাষিরা ন্যায্যমূল্য পাবেন।’

চলতি বছর চীনে ৫০ টন আম রপ্তানির কথা রয়েছে। বুধবার প্রথম চালানে চীনে আম রপ্তানি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের আম রপ্তানি নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশের আম রপ্তানিতে উভয় দেশ লাভবান হবে। এর মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য আসবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ