রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল ও টেবিল ক্যালেন্ডার মুদ্রণের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরপত্র জমা দেওয়ার পর বাক্স না খুলেই ক্যালেন্ডারের মুদ্রণ কপি বিতরণ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ‘পছন্দের’ ঠিকাদারকে আগেই কাজটি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্র জমা দেওয়ার পর মূল্যায়ন কমিটি সেগুলো যাচাই-বাছাই করে। অথচ কমিটির অনেক সদস্যই এ বিষয়ে কিছু জানেন না। আসলে প্রক্রিয়াটি ছিল ‘লোক দেখানো’ এবং পূর্বনির্ধারিত ঠিকাদারের হাতে  আগেই কাজ তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা আগেই কাজ করে ক্যালেন্ডার বিতরণ করেছেন। 
কোষাধ্যক্ষ ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মতিয়ার রহমান বলেন, নিয়ম মেনেই দরপত্র আহ্বান করা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না। কাগজপত্র দেখে তারপর কথা বলতে হবে।
কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন রাজশাহী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার মুদ্রণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে জনসংযোগ দপ্তর। দরপত্র জমার শেষ সময় ছিল ৩০ জুন বেলা সাড়ে ১১টা। একই দিন দুপুর ১২টায় ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে কোটেশন বাক্স খোলার কথা ছিল। সেই বাক্স এখন পর্যন্ত খোলা হয়নি। অথচ এরই মধ্যে ক্যালেন্ডার মুদ্রণ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে বিতরণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার জানান, সাধারণত দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়া সবার সামনে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়। এবার তা মানা হয়নি। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, দরপত্র গ্রহণের পরদিনই কীভাবে মুদ্রণ কাজ শেষ হলো?
কোষাধ্যক্ষ দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার মো.

আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘প্রতি বছর জুলাই মাসের শুরুতে ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয়। এবার ক্যালেন্ডার মুদ্রণে দরপত্র জমা দেওয়ার ও ঠিকাদার নির্বাচনের শেষ সময় ছিল ৩০ জুন। প্রতিবার সাধারণত আরও আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়। জনসংযোগ দপ্তরকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা সাড়া দেয়নি। সেই দরপত্র জমার বাক্স এখনও আমাদের দপ্তরেই পড়ে আছে।’ 
অভিযোগের বিষয়ে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমি এখন রাজশাহীর বাইরে। ফিরে এসে বিষয়টি দেখব এবং আপনার সঙ্গে কথা বলব।’
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দরপত র ব তরণ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১০ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ২৩৯ কোটি টাকা

বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় ৩৩/১১ কেভি জিআইএস প্রযুক্তির ১০টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র (সাবস্টেশন) নির্মাণে ব্যয় হবে ২৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা সূত্রে জানা গেছে, টার্নকি ভিত্তিতে ৫টি ৩৩/১১ কেভি  উপন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইন্সস্টলেশন , টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতির জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৭টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি খেকে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিকাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ঢাকাম প্রকল্পটি বাস্তায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৬ টাকা।

সভায় টার্নকি ভিত্তিতে ৫টি ৩৩/১১ কেভি উপন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইন্সস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতি সম্পূর্ণ যা যা প্রয়োজন এবং ভূমি উন্নয়নসহ কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি (ডব্লিউ-১ লট-২) । এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি থেকে সুপারিশকৃত সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিকাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ঢাকাম প্রকল্পটি বাস্তায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৬৭ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘লোকদেখানো’ টেন্ডার, অনিয়মের অভিযোগ জনসংযোগ প্রশাসকের বিরুদ্ধে
  • স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ ৩ বিভাগের ৩ প্রস্তাবে অনুমোদন 
  • ১০ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ২৩৯ কোটি টাকা