অমিতাভ, রেখার সঙ্গে কাজ করা এই অভিনেতা নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন
Published: 13th, July 2025 GMT
মাত্র ১৮ বছর বয়সে নির্মমভাবে খুন হন বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় শিশুশিল্পী। মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে তিনজন ব্যক্তি মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৮৯ সালে। নিহত এই তরুণ অভিনেতার নাম ইন্দ্রজিৎ সিং, যিনি ‘মাস্টার লাড্ডু’ নামে পরিচিত ছিলেন।
‘মিস্টার নাটবরলাল’-এর খুদে তারকা
১৯৭৯ সালের হিট ছবি ‘মিস্টার নাটবরলাল’-এ অমিতাভ বচ্চনের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করে সবার মন জয় করেছিলেন মাস্টার লাড্ডু। ছবিটিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রেখা, অজিত, কাদের খান ও আমজাদ খান। পরিচালনায় ছিলেন রাকেশ কুমার। শিশু বয়সে দুর্দান্ত অভিনয়ে তিনি এক ঝলকে নজর কাড়েন দর্শকের।
এরপর ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জিতেন্দ্র, সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত ও জয়া প্রদার মতো তারকাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছিলেন। আশির দশকে শিশুশিল্পী হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন ইন্দ্রজিৎ।
নির্মম পরিণতি
১৯৮৯ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ঘটে জীবনের করুণ সমাপ্তি। মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে এক ভয়ংকর রাতে তিনজন ব্যক্তি মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ইন্দ্রজিৎ সিংকে। আইএমডিবির তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল একটি ফ্ল্যাট নিয়ে বিরোধ।
বলা হয়, ভাড়ার বিষয় নিয়ে ফ্ল্যাট মালিকদের সঙ্গে ইন্দ্রজিতের বাবার বিরোধ চলছিল।
বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁদের পরিবারকে, যদিও তাঁদের চুক্তির মেয়াদ তখনো শেষ হয়নি। তর্কাতর্কি গড়ায় মারামারিতে, একপর্যায়ে প্রাণ হারান ইন্দ্রজিৎ। আহমেদ বাবাজান শেখ নামে একজনকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুনবাবার গুলিতে মৃত্যু মা-বোনের, গলা ভেদ করে গুলি বেরিয়েছিল এই নায়কের১১ জুলাই ২০২৫থেমে গেল এক সম্ভাবনার পথ
ইন্দ্রজিৎ সিং ছিলেন প্রযোজক ভগবন্ত এস আনন্দের পুত্র, যিনি ‘ভারত কে সন্তান’ ছবির প্রযোজক হিসেবে পরিচিত। ছেলে যখন ধীরে ধীরে বলিউডে নিজের জায়গা করে নিচ্ছিলেন, তখনই সব থেমে গেল। ইন্দ্রজিৎ ছিলেন এক সম্ভাবনাময় প্রতিভা, যাঁর জীবন আচমকাই থেমে যায় নৃশংস এক ঘটনার ভেতর দিয়ে।
তথ্যসূত্র : ডিএনএ
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মাহাফুজ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোগল চন্দ্র পাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ (১৯৮৯ সালের ২০ নং আইন) এর ধারা ১২ (১) (গ) অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (দায়িত্ব থেকে বিরত) জিরুনা ত্রিপুরাকে তাঁর পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হলো।’
এর আগে চলতি বছরের ৭ জুলাই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে সাময়িকভাবে সব ধরনের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, জেলা পরিষদের ১৪ জন সদস্য জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যদের অবমূল্যায়ন, হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষক বদলি-বাণিজ্য এবং ঠিকাদারদের বিল আটকে রেখে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চালায় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় জিরুনা ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন।
আরও পড়ুনখাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার নির্দেশ০৭ জুলাই ২০২৫