বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সালমান খানের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ক্রমাগত হত্যার হুমকি মাথায় নিয়ে কাজ করে গেলেও ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন হননি। গত কয়েক বছরে বেশ কটি সিনেমা উপহার দিলেও বক্স অফিসে সুবিধা করতে পারেননি সালমান।
চলতি বছরের মার্চ মাসে মুক্তি পায় সালমান খান অভিনীত ‘সিকান্দার’ সিনেমা। এতে তার বিপরীতে প্রথমবার অভিনয় করেন রাশমিকা মান্দানা। হাঁটুর বয়সি নায়িকার সঙ্গে রোমান্স করলেও তা দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি। বরং ৩০ বছরের ছোট নায়িকার সঙ্গে রোমান্স করে কটাক্ষের শিকার হন। অন্যদিকে, বক্স অফিসে গড়পড়তা আয় করে সিনেমাটি।
আরো পড়ুন:
ষাটে আমিরের প্রেম, ঠাট্টা করলেন সালমান খান
৫৭ বছর বয়সে বাবা হচ্ছেন আরবাজ খান!
সব পেছনে ফেলে নতুন সিনেমার কাজ হাতে নিয়েছেন সালমান খান। নাম ঠিক না হওয়া সিনেমাটি পরিচালনা করবেন অপূর্ব লাখিয়া। অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার এই সিনেমায় প্রথমবার জুটি বাঁধতে চলেছেন সালমান-চিত্রাঙ্গদা সিং। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “নাম ঠিক না হওয়া সিনেমাটিতে সালমান খানের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করবেন চিত্রাঙ্গদা সিং। এটি পরিচালনা করছেন লাখিয়া। ‘শুটআউট অ্যাট লোখণ্ডওয়ালা’, ‘হাসিনা পার্কার’-এর মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি। সামরিক বাহিনীর বাস্তব ঘটনা অবলম্বেন নির্মিত হচ্ছে এটি। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি।”
সালমান খানের বয়স এখন ৫৯ বছর, আর চিত্রাঙ্গদার বয়স ৪৮। তাদের বয়সের ব্যবধান ১১ বছর। এ নিয়েও দর্শক নাখোশ হবেন কি না তা, সময় কথা বলবে। তবে নতুন সিনেমার জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন সালমান খান।
ভারতের রাজস্থানের যোধপুরে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রাঙ্গদা সিং। তবে ছোটবেলা কেটেছে ভারতের বিভিন্ন শহরে। কারণ তার বাবা ছিলেন সেনা কর্মকর্তা, বদলির চাকরি হওয়ার সুবাদে ভারতের নানা প্রান্তে সময় কেটেছে চিত্রাঙ্গদার। গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে পড়াশোনা শেষ করে মডেলিং দিয়ে নজর কাড়ার পর বড় পর্দায় দেখা যায় তাকে।
২০০৫ সালে সুধীর মিশ্রর ‘হাজারো খোয়াশি অ্যায়সি’ দিয়ে বলিউডে পা রাখেন চিত্রাঙ্গদা। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেই জিতে নেন বলিউড মুভি অ্যাওয়ার্ডে সেরা নবাগত অভিনেত্রীর পুরস্কার। অভিষেকের কিছু দিন পর অভিনয় থেকে ৩ বছরের বিরতি নেন। ফেরেন ‘সরি ভাই’ সিনেমা দিয়ে। ২০০৮ সালে সিনেমাটি মুক্তির পরই মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে বক্স অফিসে ভরাডুবি হয়।
শৈল্পিক ঘরানার পাশাপাশি বাণিজ্যিক সিনেমায়ও অভিনয় করেন চিত্রাঙ্গদা সিং। ‘দেশি বয়েজ’, ‘আই, মি অওর ম্যায়’ সিনেমায়ও দেখা গেছে তাকে। তাছাড়াও হিন্দি, তামিল সিনেমার আইটেম গানেও পারফর্ম করেন তিনি।
চিত্রাঙ্গদা সিং অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘হাউজফুল ৫’। চলতি মাসে মুক্তি পেয়েছে তারকাবহুল এই সিনেমা। বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছে এটি। ‘রাত আকেলি হ্যায় টু’ সিনেমার কাজও হাতে নিয়েছেন চিত্রাঙ্গদা
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ঢাকা/ইভা