১০ জনের দল নিয়েও দুর্দান্ত জয় রিয়ালের
Published: 23rd, June 2025 GMT
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম ম্যাচে সৌদি ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকান ক্লাব পাচুকাকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। একইসঙ্গে এই জয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষস্থানও দখল করেছে রিয়াল। পাশাপাশি রিয়ালের কোচ হিসেবে প্রথম জয় তুলে নিয়েছেন জাবি আলোনসো।
এই ম্যাচে রিয়ালকে খেলতে হয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার ছাড়া। অসুস্থতার কারণে দলে ছিলেন না এমবাপ্পে, আর ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারেননি রুডিগার ও মিলিতাও। এমন পরিস্থিতিতে আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন গঞ্জালো গার্সিয়া, ভিনিসিউস জুনিয়র ও ফেদেরিকো ভালভার্দে।
তবে ম্যাচের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় রিয়াল। সপ্তম মিনিটে তরুণ ডিফেন্ডার রাউল অ্যাসেন্সিও সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বাকি পুরোটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় আলোনসোর দলকে। ৩৫ মিনিটে জুড বেলিংহ্যামের গোলে লিড নেয় রিয়াল। বিরতির ঠিক আগে ৪৩ মিনিটে গঞ্জালো গার্সিয়ার পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন তরুণ তুর্কি মিডফিল্ডার আর্দা গুলের। ৭০ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন ফেদেরিকো ভালভার্দে। পাচুকা অবশ্য ৮০ মিনিটে একটি গোল শোধ করে, তবে ম্যাচে ফিরে আসার মতো যথেষ্ট ছিল না সেটি।
পরিসংখ্যানে অবশ্য এগিয়ে ছিল পাচুকা। তারা ম্যাচে ২৫টি শট নেয়, যেখানে রিয়ালের শট সংখ্যা ছিল মাত্র ৮টি। বল দখলেও ছিল সামান্য এগিয়ে। তবে কার্যকারিতায় এগিয়ে থেকেই তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোসরা।
এই জয়ে রিয়াল দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসেছে। সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়ান ক্লাব সালজবার্গ। আল হিলাল ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় এবং পাচুকা ১ পয়েন্টে চতুর্থ অবস্থানে।
এদিকে ‘জি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে মরক্কোর ওয়াইদাদ কাসাব্লাঙ্কাকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন তরুণ ফরোয়ার্ড কেনান ইয়েলদিজ। একটি গোল করেছেন দুসান ভ্লাহোভিচ এবং আরেকটি আসে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা দলের কে কত গোল করেছেন, ট্রফি জিতেছেন কে বেশি
২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রায় তিন বছর কেটে গেল। এ সময়ে কেমন করলেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা? পরিসংখ্যানে বিস্তারিত জানিয়েছে আর্জেন্টিনার অনলাইন সাময়িকী ‘এল গ্রাফিকো’।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ১৮ ডিসেম্বর। সেই ম্যাচের পর আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ২৩ জন খেলোয়াড় এ পর্যন্ত ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করেছেন। মোট গোলসংখ্যা ৫১৪টি, শিরোপা ৫৭টি। শিরোপাগুলো ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে জিতেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঅভিষেক থেকে আজও—টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব মানে মেসি অপরাজেয়২০ ঘণ্টা আগেআর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রথম গোল হুয়ান ফয়থের। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে গোল করেন ভিয়ারিয়ালের এই রাইটব্যাক। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বকাপ জয়ের পর ফয়থই প্রথম গোল করেন। শততম গোলটি রোমা মিডফিল্ডার পাওলো দিবালার। ২০২৩ সালের ৩১ মে সেভিয়ার বিপক্ষে। ২০০তম গোল হুলিয়ান আলভারেজের। এফএ কাপে হাডার্সফিল্ডের বিপক্ষে ৫–০ গোলের জয়ে গোলটি করেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।
গত বছর ১৫ জুন গুয়াতেমালার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর তাদের সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের মধ্যে এটি ছিল ৩০০তম গোল। এ বছর ৬ জানুয়ারি ইতালিয়ান সুপার কাপে এসি মিলানের বিপক্ষে লাওতারো মার্তিনেজের গোলটি ৪০০তম। আর গত ৯ জুলাই নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসির করা গোলটি ছিল ৫০০তম।
আরও পড়ুনচীন সফর বাতিল করে অক্টোবর ও নভেম্বরে যাদের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা৩ ঘণ্টা আগেআর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের মধ্যে এ সময়ে সবচেয়ে বেশি গোল ইন্টার স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজের। ৮২ গোল করেছেন। তাঁর চেয়ে এক গোল কম করে মেসি আছেন দুইয়ে। ৬৪ গোল নিয়ে তিনে আতলেতিকো মাদ্রিদ স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ। ৪৮ গোল নিয়ে চারে আনহেল দি মারিয়া ও পাওলো দিবালা ৩৬ গোল করে পাঁচে।
বিশ্বকাপজয়ী এই স্কোয়াডের মধ্যে বিশ্বকাপ জয়ের পর সবচেয়ে বেশি ট্রফি জিতেছেন আলভারেজ। গত বছর আগস্টে আতলেতিকোয় যোগ দেওয়ার আগে সিটির হয়ে ছয়টি ট্রফি জেতেন, অন্যটি জাতীয় দলের হয়ে কোপা আমেরিকা। বেনফিকার হয়ে ৪টি ও আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকাসহ মোট ৫টি ট্রফি জিতে দুইয়ে নিকোলাস ওতামেন্দি। সমান চারটি করে ট্রফি জিতেছেন মার্তিনেজ ও মেসি।
আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজ