আড়াইহাজারে মামলা তুলে নিতে হামলা, প্রাণনাশের হুমকি
Published: 23rd, June 2025 GMT
আড়াইহাজারে মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করা প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত জোহর মিয়ার ভাই হায়াদুজ্জামান বাদী হয়ে গত ২২ জুন রাতে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা (যার নং-২৮) দায়ের করেন। এর আগে, গত ১৯ জুন রাতে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, জহির মোল্লা (৪৫), ইসমাইল (৩৫), নুর ইসলাম (২২), রাফি হাসান (২০), সালাউদ্দিন, জামাল হোসেন (৪০), খাইরুদ্দিন (৪৫), আলামিন (২৬), ইয়ামিন (২২), নুজুর (৫৫), দলু (৪৮), বিল্লাল (৩৫), আরিফ (২২), মজি, স্বপন (৫০), কালাই (৪৫), আওলাদ (২২), অহিদ (৫২), জুনায়েদ (৩৩), আউয়াল (৫২), নাগর (৫৭), জনি (৩৩)।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা স্থানীয় এলাকার সন্ত্রাস, ত্রাস সৃষ্টিকারী, দাঁঙ্গাবাজ এবং অত্যন্ত গোয়ার প্রকৃতির লোক বটে। তারা আইন অমান্যকারী হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদী করে এলাকার জনসাধারণে ভীতি সঞ্চার করে আসছে।
অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী টাইপের লোক হয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজী করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা উক্ত মামলা উঠিয়ে নিতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে।
গত ১৯জুন রাতে বিবাদীগণরা সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় লাঠিসোটা, লোহার রড, জিআই পাইপ, হকিস্টিক, ধারালো অস্ত্র, দা, ছোরা, রাম দা, চাইনিজ কুড়ালে সজ্জিত হয়ে তিনটি বসত ঘর কুপিয়ে ও ভাংচুর করে এবং বাহিরে থাকা বিভিন্ন স্যানেটারী লাইনসহ পানি ট্যাঙ্ক ভাংচুর করে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেন।
এসময় তার ভাই ও ভাবিরা বসতঘর থেকে বেরিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ২৫নং বিবাদীর হুকুমে ০১নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো রাম দা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার সেজো ভাই জোহর মিয়া (৫০) এর মাথায় কোপ মেরে মাঝ বরারর খুলিতে গুরুতরভাবে কাটা রক্তাক্ত জখম করেন।
২নং বিবাদী থেকে ৭নং বিবাদীগণের হাতে থাকা লাঠিসোটা, লোহার রড, জিআই পাইপ, হকিষ্টিক মারপিট করে নীলাফুলা জখম করে। তার ভাইকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে ৮নং থেকে ১২নং বিবাদীগণের হাতে থাকা লাঠি ও হকিষ্টিক দ্বারা এলোপাতারি মারপিট করে ভাবির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে এবং শরীরের পড়িহিত জামা-কাপড় টেনেছিড়ে শ্লীলতাহানি করে এবং ১৩নং বিবাদী ভাবির গলায় থাকা একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে নেয়।
বিবাদীগণ এমন মারমুখী অবস্থায় হামলা করাতে বাড়ির অন্যান্য লোকজন আতঙ্কে ও ভয়ে নিজ প্রাণ রক্ষার্থে বাড়ী থেকে পালিয়ে চলে গেলে অপর বিবাদীগণ ১নং ও ৫নং বিবাদীদ্বয়ের হুকুমে তার ৩ ভাইয়ের বসতঘরে প্রবেশ করে বসত ঘরের সমস্ত মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতিসাধনসহ ১২ লাখ টাকা ও একই স্থানে থাকা ৫ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ২নং, ৬নং ও ৭নং বিবাদীগন লুট করে নেয়।
এসময় বিবাদীগন বাড়ীঘরে তান্ডব চালিয়ে তার ভগ্নিপতি হাজী কামাল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে মারপিটসহ বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে ৪নং ও ৭নং বিবাদীদ্বয় ভগ্নিপতি কামালকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খালিয়ারচর গ্রাম মুলত আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা। এই গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির নেতা হিসাবে পরিচিত কবির হোসেন, পিয়ার আলী, আমজাদ হোসেন, ইদ্রিস আলী, আব্দুল আজিজ তারা একটি গ্রুপ।
অপর গ্রুপে আছেন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ফকির জহির। সম্প্রতি বিগত ২ মাস আগে থেকে গ্রামে বিএনপি দুটি ভাগে ভাগ হয়।
একটি গ্রুপ যুবদলের জহির এলাকার আওয়ামী লীগ নিয়ে। বিএনপির অন্য আরেকটি গ্রুপ কবির হোসেন ও অন্যান্যদের গ্রামে কোনঠাসা করে রাখা হচ্ছে।
গত ২৫ এপ্রিল বিএনপির পার্টি অফিস ভাঙা ও গুরুতর জগম ও লুটপাটের কারণে জহির ও তার ভাতিজাসহ খালিয়ারচরের আওয়ামী লীগের অনেকের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় দুটি মামলা হয়েছিল (মামলা নং-১৩ ও ১৪)।
কিন্তু তখন পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বরং খালিয়ারচরের গ্রামের আওয়ামী লীগ সংঘটিত হয়ে বিএনপিকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে রাখছে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৯ জুন কোন কারণ ছাড়াই জহির তার আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে আমজাদ হোসেনের পিতা হাজী কামাল হোসেনকে এলোপাথারি মারধর করে আহত করে বাড়িতে হামলা করে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।
পরবর্তীতে, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পিয়ার আলীর বাড়িতে হামলা করে তার বড় ভাই জোহরকে এলোপাথারি মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে পরবর্তীতে আসপাশের লোকজন জর হয়ে তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি সরকারি মেডিকেলে ভর্তি করেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত আছেন এবং তাদের বসত বাড়িতে ৪টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।
৫ আগস্ট সংঘটিত হওয়ার পর থেকে এখনো অব্দি এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়েছে জহির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকাবাসীর কাছে একটি আতংকের নাম হয়ে উঠেছে ফকির জহির। কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন এর খালিয়ারচর গ্রামের মানুষ এখন আতংকে থাকে প্রতি নিয়ত, চুরি ডাকাতি য্নে খালিয়ারচরের মানুষের পিছুই ছাড়ে না।
জানা গেছে এই সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জহির ফকির নিজে পরিচালনা করে থাকেন। খালিয়ারচর গ্রামটা জেন অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ খ ল য় রচর ব ব দ গণ ও ল টপ ট ব এনপ র র আওয় ম চ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
চার আসনে বিক্ষোভ, ফরিদপুরে সংঘর্ষ, আহত ২৩
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণার পঞ্চম দিনেও অন্তত চারটি আসনে প্রার্থিতা নিয়ে দলটির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, বিক্ষোভ ও মিছিল হয়েছে। প্রার্থিতা বদল ও মনোনয়ন প্রত্যাশাকে ঘিরে এসব ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার ফরিদপুর ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের তিন সদস্যসহ অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। এর বাইরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রার্থী বদলের দাবিতে অন্তত তিনটি আসনে বিক্ষোভ হয়েছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গত সোমবার ২৩৭টি আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এরপর থেকে প্রার্থী বদল ও মনোনয়ন প্রত্যাশাকে কেন্দ্র করে দেশের অন্তত ১২টি আসনে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।
ফরিদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষফরিদপুর-১ আসনে (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) বিএনপি এখনো কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি পক্ষ এখানে মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছে। জেলার বোয়ালমারীতে গতকাল বিকেলে দলটির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের তিন সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৩ জন আহত হন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। দুই নেতাই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।
গতকাল সংঘর্ষের সময় বিএনপির এক পক্ষের একটি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন দেওয়া হয় অন্তত ১০টি মোটরসাইকেলে। এ ছাড়া আশপাশের কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীদের হাতে রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বেলা তিনটার দিকে শামসুদ্দীন মিয়ার সমর্থকেরা ওয়াপদার মোড় এলাকায় ও নাসিরুল ইসলামের সমর্থকেরা প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ মোড়ে জড়ো হন। তাঁদের হাতে বাঁশের লাঠির মাথায় ধানের শীষ বাঁধা ছিল। বিকেল চারটার দিকে নাসিরুল ইসলামের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে ওয়াপদার মোড়ের দিকে এগোতে থাকেন। তখন শামসুদ্দীনের সমর্থকেরা কলেজের দিকে যেতে থাকেন। উভয় পক্ষ বোয়ালমারী পৌরসভার সামনে এলে পরস্পরের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। একপর্যায়ে শামসুদ্দীনের সমর্থকেরা পিছু হটে ওয়াপদার মোড়ে হারুন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নেন।
শামসুদ্দীন মিয়া প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, নাসিরুলের লোকজন আওয়ামী লীগের লোকদের সঙ্গে নিয়ে অতর্কিতে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে। এতে তাঁর ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের কার্যালয়ে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে।
তবে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ছিলাম মধুখালী। আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করা হয়েছে। একজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। ওরা হারুন শপিং কমপ্লেক্সের ওপরে উঠে আমার সমর্থদের ওপর ইট ছুড়ে মারলে চার-পাঁচজন আহত হন। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে শপিং কমপ্লেক্সে হামলা করে।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান সন্ধ্যা ছয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও বিক্ষোভসিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম চৌধুরীকে সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর) আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন স্থানীয় বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিন উপজেলার অন্তত ১৫টি স্থানে পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সিলেট জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ ছাড়া অন্য চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী করা হয় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরকে। ওই আসনে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আরিফুলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, ঢাকায় ডেকে গত বুধবার রাতে আরিফুলকে সিলেট-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরিফুল হক চৌধুরী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেটে ফেরেন। তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘তিন মাস লাগবে না। আগামী তিন দিনেই সিলেট-৪ আসনে আওয়াজ উঠে যাবে। কাজ দিয়েই নিজেকে জনগণের কাছে প্রমাণ করব।’
দিনাজপুর-২ আসনে (বিরল-বোচাগঞ্জ) বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলা শহরে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিল করেছেন মনোনয়ন না পাওয়া তিন নেতার অনুসারীরা।
‘মনোনয়নবঞ্চিত’ তিনজন হলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ, সহসভাপতি মোজাহারুল ইসলাম এবং শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম। এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সাদিক রিয়াজকে। তিনি জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য।
দুপুরে উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে ‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত হন মনোনয়নবঞ্চিত ওই তিন নেতা। পরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বক্তব্য দেন তাঁরা। এ সময় বজলুর রশিদ বলেন, ‘সাদিক রিয়াজ রাজনীতির মাঠে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে সব আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। তাঁকে বাদ দিয়ে বিরল-বোচাগঞ্জের যে কাউকে মনোনয়ন দিলে আমরা মেনে নেব।’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় গতকাল ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ এর এক অনুষ্ঠান থেকে রাজশাহী-৩ আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয় সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।
মাদারীপুরে স্থগিতের প্রতিবাদমাদারীপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করার প্রতিবাদ ও প্রার্থিতা পুনর্বহালের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে উপজেলার হাতির মাঠে এ সমাবেশ হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কামাল জামান মোল্লা নিজে। মনোনয়ন ঘোষণার পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর মনোনয়ন স্থগিত করেছিল বিএনপি।
জামান মোল্লা জেলা বিএনপির এক নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের দোসরের লোক। তাঁর নির্দেশেই অপপ্রচার চালিয়ে তাঁর (জামান মোল্লা) ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।
গতকাল বিকেলে কুমিল্লার হোমনা সদরে ঝাড়ু মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা। কুমিল্লা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিভাগীয় এক নেতার বিরুদ্ধে এ মিছিল হয়। এ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি।