গুম খুন করেও ইসলামী আন্দোলনকে থামানো যায়নি : মাও. মঈনুদ্দিন
Published: 24th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন জনশক্তিদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশ করলো নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে চাষাঢ়া ড্রিংক এন্ড ডাইন চাইনিজ রেস্টুরেন্টের তৃতীয় তলায় সাংগঠনিক ও বায়তুল মাল পক্ষ উপলক্ষে প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দর (৫) আসনের প্রার্থী মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ।
এছাড়াও উক্ত প্রীতি সমাবেশে ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন জনশক্তিদের মিলন মেলায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর ও ফতুল্লা-সিদ্দিরগঞ্জ (৪) আসনের প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার, জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল কাইউম,মহানগরী সেক্রেটারি ইন্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ জামাল হোসাইন, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জাকির হোসাইন, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ওমর ফারুক, মহানগরী ইসলামী ছাত্র শিবির সভাপতি হাফেজ ইসমাইল, সেক্রেটারি অমিত হাসান ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের শতাধিক প্রাক্তন ছাত্রবৃন্দ।
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেন, ইতিহাস স্মরন করতে পারলে আমাদের চলার পথ সহায়ক হবে। এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে যারা ইসলামী আন্দোলনকে হটাতে চেয়েছিলেন, তারা আজ পালিয়ে গেছেন। নারায়ণগঞ্জে যারা সন্ত্রাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের করুন মৃত্যু হয়েছিল। এতো মারপিট করেও ইসলামী আন্দোলনকে থামানো যায়নি। যারা সন্ত্রাস, দূর্নিতি,চাঁদাবাজি,জুলুম-নির্যাতন করেছে তারা আজ কোথায়?
নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি(৫) আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। আপানারা মনে রাখবেন জামায়াতে ইসলামী কখনো বদনামকারী প্রার্থী নমিনেশন দেয় না।আপনাদের শ্রম দিতে হবে। আল্লাহকে ছাড়া কখনো কাউকে ভয় পাবেন না।আল কোরআনের আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। তাহলে কেউ দূর্নীতি করতে পারবে না।
এছাড়াও প্রীতি সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর ও নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা-সিদ্দিরগঞ্জ (৪) আসনের প্রার্থী আবদুল জব্বার প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আপনারা ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব পালন করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন-এর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) বিকাল ৪টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরে সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ'র নেতৃত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ, শেখ মুহাম্মদ হাসান আলী, মাওলানা শামসুল আলম, মুহা. ইসমাইল হোসেন, মুহা. শফিকুল ইসলাম, মুহা. মোস্তফা তালুকদার, সাইম হুসাইন, শাহ্ মুহাম্মদ ছগির হোসেন।
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লব খান, অঞ্জন দাস, পপি রানী সরকার, আলমগীর হোসেন আলম, জাহিদ সুজন, নাজমা বেগম, মোঃ ইব্রাহিম।
এ সময় নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা'র গ্রিন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ এবং গ্রেট ডান্ডি নারায়ণগঞ্জ গেইট নির্মাণের উদ্যোগকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়।
এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং গণসংহতি আন্দোলন নেতৃবৃন্দ সাতটি বিষয়ে অনতিবিলম্ব যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
বিষয়গুলো হলো-
১. মাদক এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে শূণ্য নীতি গ্রহণ করতে হবে এবং এগুলোর সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
২. সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে রাজনৈতিক পক্ষপাতহীন পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩. করোনা মোকাবিলায় আইসিইউ সেবা চালু করতে হবে। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত করোনা টেষ্টের কীট সরবরাহ করতে হবে।
৪. ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারে জনসচেতনতা উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ডেঙ্গু শনাক্তে পর্যাপ্ত কীট ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. যানজট নিরোসনে থ্রি হুইলার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং ফুটপাতকে পথচারীদের চলাচলের উপযুক্ত করতে হবে।
৬. দ্রুত রাস্তাঘাট মেরামত কাজ সম্পন্ন করে জনভোগান্তি দূর করতে হবে।
৭. আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন আমলে সংগঠিত গুম-খুন হত্যাসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।