সময় ও আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন লোগো উন্মোচন করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

রবিবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে এক  অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নতুন লোগোটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে একটি কেন্দ্রে ভুল সেটে পরীক্ষা গ্রহণ

চাকসু নির্বাচনসহ ৭ দাবিতে চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন

অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ব্যবহৃত পুরোনো লোগোতে কিছু জটিলতা ও সীমাবদ্ধতা থাকায় সম্প্রতি এই পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। সৃষ্টিশীলতা, প্রাসঙ্গিকতা এবং প্রযুক্তিগত উপযোগিতা সামনে রেখে রং, গাছের প্রতীক, আনুষ্ঠানিক টাইপোগ্রাফি এবং ভারসাম্যপূর্ণ নকশার সমন্বয়ে লোগোটি তৈরি করা হয়েছে।

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, “লোগো একটি প্রতিষ্ঠানের আত্মপরিচয়। এটি শুধু একটি চিহ্ন কিংবা প্রতীক নয়। লোগো এমন একটি বার্তা যার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গি, আদর্শ, মূল্যবোধ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্রতিফলন বিদ্যমান।”

গ্রিন ইউনিভার্সিটির পথচলায় নতুন এই লোগো প্রতিষ্ঠানকে আরো একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে একইদিনে বিশ্বখ্যাত টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জনের বিষয়টি উদযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে মুহূর্তটি স্মরণীয় করে তোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ অর্জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন ও আন্তর্জাতিকীকরণের স্বীকৃতি হিসেবে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (অব.) উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র ন ইউন ভ র স ট র উপ চ র য ম হ ম মদ অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাদাপাথর লুটে মদদদাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

সিলেটে সাদাপাথর লুটের পেছনে দায়ী ও মদদদাতা রাজনৈতিক দল, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লোকজন অংশ নেন।

বক্তারা জানান, নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানি না করে প্রকৃত লুটেরাদের ধরতে হবে। এই সম্পদ রক্ষায় যাঁদের অবহেলা আছে, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশের অন্যতম দর্শনীয় একটি স্থান থেকে প্রকাশ্যে পাথর লুটের ঘটনায় মানুষ বিস্মিত জানিয়ে বক্তারা বলেন, লুটেরাদের সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল। রাজনৈতিকভাবে এখন যাঁদের বিরুদ্ধে লোকদেখানো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে চুনোপুঁটি। রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সেখানে রাজনৈতিক সমঝোতা আছে, দায়িত্বশীলদের যোগসাজশ আছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেটি লোকজন দেখতে পেয়েছেন।

এ ছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ টাঙ্গুয়ার হাওর এখন অভিভাবকহীন। সেখানেও প্রকাশ্যে মাছ আহরণ ও গাছ কাটা হয়। সেখানেও পরিবেশ, প্রকৃতি ও মানুষের জীবন–জীবিকা সংকটের মুখে। এই হাওর রক্ষায় মুখে মুখে বড় কথা না বলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ। এতে বক্তব্য দেন সামাজিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ’–এর আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হাসান আতাহের, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী দীপঙ্কর বনিক, মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ