জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রাত ১০টার পর শিক্ষার্থীসহ কাউকে অবস্থান না করার নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে রাত ১০টার পর অবস্থান না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

আরো পড়ুন:

তুমি কি জাদু জানো, ছাত্রীকে ইবি শিক্ষক

সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তালিকায় জবির ৩ শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাত ১০টার পর ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের অবস্থান কার্যত নিষিদ্ধ হয়ে গেল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী দিয়া রশিদ বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী হলেও প্রয়োগের ক্ষেত্রে মানবিকতা ও নমনীয়তা থাকা দরকার।”

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. রেজাউল করিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর সুবিধা ও শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি, সবাই নিয়মটি মেনে চলবে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ত ১০ট র পর অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্র-জনতার ভয়ে ডোবায় ঝাঁপ সাবেক মেয়রের, পুলিশে সোপর্দ

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের ভবানীপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ঘেরাও করেন ছাত্র-জনতা। পরে থানা ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে গিয়ে একটি ডোবাতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে স্থানীয়রা ধরে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রফিকুল ইসলাম তার ভবানীপুর মোড়লপাড়ার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। বুধবার দুপুরের দিকে তার বাড়িটি স্থানীয় ছাত্র-জনতা ঘিরে ফেলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে রফিকুল ইসলাম ওই এলাকার আরিফুর রহমান মিলনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে একটি ডোবায় ঝাঁপ দেন রফিকুল। পুলিশ জানতে পেরে রফিকুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে কেশবপুরে ত্রাস সৃষ্টি করতেন জামাল বাহিনী। সেই জামাল বাহিনীর পরিচালনা করতেন সাবেক মেয়র রফিকুল। একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ