গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বুধবার (২ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিএনডি খাল খনন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা অংশের ৯টি খালে বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোট ১১ ঘণ্টা টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর, জিয়া সরণি, জাপানি বাজার, তিতাস গ্যাস সড়ক, ছাপড়া মসজিদ, রূপসি বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, আরএস টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, মৃধাবাড়ী, কাজলা, ভাঙ্গা ব্রিজ, ডেমরা, স্টাফ কোয়ার্টার, আমুলিয়া, পাইটি, জহির স্টিল, শাহরিয়ার স্টিল, ধার্মিক পাড়া ও কাউন্সিল এলাকায় বিদ্যমান সকল শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এছাড়া, আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১৯ কিলোমিটার যানজট

শারদীয় দুর্গাপূজার টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ও আশপাশ থেকে গ্রামের পথে মানুষের ঢল নেমেছে। এতে প্রধান দুটি সড়ক—ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশেও গাড়ির ধীরগতি ও থেমে থেমে চলার খবর পাওয়া গেছে।

 

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও ছুটির কারণে সড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে যানবাহনের গতি কমে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

 

যাত্রীরা জানান, পূজার ছুটি শুরু হওয়ায় সবাই গ্রামের বাড়ি যেতে রওনা হয়েছেন। সাধারণ দিনে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে যেখানে আধা ঘণ্টা সময় লাগে, আজ সেখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।

 

যাত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, “প্রতি বছর পূজার ছুটিতে আমরা গ্রামে যাই। কিন্তু এ বছর যানজট এত ভয়াবহ যে, কখন পৌঁছাতে পারব সেটি নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।”

 

শুধু চট্টগ্রামমুখী সড়ক নয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও একই চিত্র। ভৈরব, নরসিংদী ও আড়াইহাজার অংশে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে। বাসযাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, “সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ সকাল থেকে রওনা হয়েছি, এখনো নরসিংদী পার হতে পারিনি।”

 

একই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে, আর মালিকদের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।”

 

পুলিশ জানায়, ছুটির চাপের পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়া যুক্ত হওয়ায় সড়কে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

হাইওয়ে পুলিশ ইনচার্জ জিলানী বলেন, “আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। তবে গাড়ির চাপ অনেক বেশি হওয়ায় যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। একাধিক টিম কাজ করছে, আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ
  • ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনে আল কোরআনের কোন বিকল্প নাই : ড. ইকবাল
  • হাসপাতালে শয্যাসংকট, মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা
  • মহানবমীতে আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনে না.গঞ্জ ঐক্য পরিষদ  
  • রূপগঞ্জে চার শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে
  • বাংলাদেশে কফি–সংস্কৃতি প্রসারে ‘আমা কফি’
  • দুই মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১৯ কিলোমিটার যানজট
  • রাজশাহীতে আইনি ব্যবস্থা নিন
  • বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ৩ প্যাকেজ ঘোষণা
  • চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি