বৃষ্টিদিনে স্নিকার্স ভালো রাখার উপায় জেনে নিন
Published: 9th, July 2025 GMT
বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই বলে তো ঘরে থাকার উপায় নেই। কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয়। এই সময় স্নিকার্স ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। নারী-পুরুষ উভয়ই প্রিয় অনুসঙ্গ এটি। এই অনুসঙ্গটি ভালো রাখার জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারেন।
ওয়াটারপ্রুফ স্প্রে
বৃষ্টিদিনে স্নিকার্স ভিজে যায়, কাদা লেগে যায়। এই সময় ওয়াটারপ্রুফ স্প্রে দিয়ে স্নিকার্স-এর যত্ন নিতে পারেন। পানি থেকে সুরক্ষিত রাখার এই প্রোডাক্ট এই সময়ে ভীষণ জরুরি।ওয়াটারপ্রুফ স্প্রে আপনার স্নিকারে দাগ পড়তে দেবে না। ৪৫০-৮০০ টাকার মধ্যে ওয়াটারপ্রুফ স্প্রে পাওয়া যায়।
কুইক ড্রাই ইনসার্ট
স্নিকার্স ভালো রাখার আরেকটি উপায় হলো কুইক ড্রাই ইনসার্ট ব্যবহার করা। কুইক ড্রাই ইনসার্ট হলো ছোট ছোট প্যাড। যা স্নিকার্স-এর মধ্যে রেখে দিলে স্নিকার্স থাকবে সুরক্ষিত।
আরো পড়ুন:
গর্ভাবস্থায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে কী করবেন, কী করবেন না
বর্ষায় ত্বকের যত্নে ঘরোয়া যেসব উপায় মানতে পারেন
ওয়াটারপ্রুফ কভার
এখন প্রয়োজন হলো যেকোন উপায়ে স্নিকার ভালো রাখা। এই প্রয়োজনকে ফ্যাশন অনুষঙ্গ বানিয়ে ফেললে কেমন হয়? –খারাপ হয় না কিন্তু। বাজারে নানা ধরনের ওয়াটারপ্রুফ জুতার কভার পাওয়া যায়। এই কভার আপনার জুতাকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবেও কাজ করবে। অনলাইনে ‘শু রেইনকোট’ ও ‘ড্রাই স্টেপারস’ নামে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন এগুলো।
পরিষ্কার ও যত্নের রুটিন
দিন শেষে ঘরে ফিরে স্নিকার্স- জোড়া পরিষ্কার করে নিন। নরম ধরনের একটি ব্রাশ দিয়ে ঘষলেই স্নিকার্স-এর ময়লা দূর হয়ে যাবে। তারপর প্রাকৃতিক বা ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন। তাপ প্রয়োগ করে শুকাতে গেলে আপনার স্নিকার্স নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
স্টোর করার জন্য সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করুন
স্নিকার ভালোভাবে শুকানোর পর, সুতি কাপড়ে মুড়িয়ে রাখতে পারেন। এভাবে রাখলে আর্দ্রতা থেকে রক্ষা পাবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যত ন প য় র যত ন
এছাড়াও পড়ুন:
স্তম্ভিত হারমানপ্রীত, আবেগ-রোমাঞ্চ-গর্ব-ভালোবাসায় মিলেমিশে একাকার
২০০৫ ও ২০১৭, ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডে বিশ্বকাপের খুব কাছে গিয়েও শিরোপা জিততে পারেননি। হারমানপ্রীত কৌররা লম্বা সেই অপেক্ষা দূর করলেন দুই হাজার পঁচিশে।
মুম্বাইয়ের নাভিতে প্রায় ষাট হাজার দর্শকের সামনে উচিুঁয়ে ধরলেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা। ২০১৭ সালের ফাইনালেও খেলেছিলেন হারমানপ্রীত। রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। এবার আর ভুল করলেন না। অধিনায়ক হয়ে জিতলেন শিরোপা। গড়লেন ইতিহাস। যে ইতিহাস কখনো মুছবে না। কখনো জং ধরবে না।
ঝলমলে হাসিতে হারমানপ্রীত ট্রফি হাতে নিয়ে প্রেস কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করেন। এবার তার আবেগের ধরণ ছিল ভিন্ন, যেন স্বপ্ন পূরণের মাখামাখি। লম্বা সংবাদ সম্মেলন জুড়ে বারবার তার কণ্ঠ ধরে আসে। আবেগ, রোমাঞ্চ, গর্ব, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। তবে একটি শব্দের ওপর বারবার ফিরে আসছিলেন তিনি, তা হলো আত্মবিশ্বাস,
‘‘আমি কেবল আমার অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। আমি স্তম্ভিত, আমি বুঝতে পারছি না। আসলে, এতে উত্থান-পতন ছিল, কিন্তু দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল। আমি প্রথম দিন থেকেই এটা বলে আসছি। আমরা বাম বা ডানে তাকাচ্ছিলাম না। আমরা কেবল আমাদের মূল লক্ষ্যের দিকে তাকিয়েছিলাম।’’ - বলেছেন হারমানপ্রীত।
স্বপ্ন পূরণের রাতে হারমানপ্রীত কাছে পেয়েছিলেন সাবেক তিন ক্রিকেটার মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামী এবং অঞ্জুম চোপড়াকে। প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর। তাদের অধরা সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন জেমিমা, দীপ্তি, শেফালি, স্মৃতিরা।
শিরোপা উৎসবে যোগ দেন মিতালি, ঝুলন, আঞ্জুমরা। তাদের হাতেও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সাথে সেই মুহূর্তটি ভাগ করে নেওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হারমানপ্রীত বলেন, ‘‘ঝুলন দি আমার সবচেয়ে বড় আইডল ছিলেন। যখন আমি দলে যোগ দিই, তখন তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আমি যখন খুব কাঁচা ছিলাম এবং ক্রিকেট সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না, তখনও তিনি সবসময় আমাকে সমর্থন করতেন। অঞ্জুম দি-ও তাই। এই দুজন আমার জন্য দারুণ সমর্থন ছিলেন। আমি কৃতজ্ঞ যে আমি তাদের সাথে এই বিশেষ মুহূর্তটি ভাগ করে নিতে পেরেছি। এটি খুব আবেগপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। আমার মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে, আমরা এই ট্রফি স্পর্শ করতে পেরেছি।’’
তার জন্য বিশ্বকাপের পুরো অভিযানটিই ছিল গভীরভাবে আবেগপূর্ণ। রাউন্ড রবিন লিগে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হার। চোট, অফ ফর্ম, জড়তা। সব সামলে সেরা হয়েছেন। তাইতো নিজেদের নিয়ে গর্বটাও বেশি হারমানপ্রীতদের, ‘‘আমরা প্রথম বল থেকেই অনুভব করেছিলাম যে আমরা জিততে পারি, কারণ শেষ তিন ম্যাচে আমাদের দল যেভাবে খেলছিল, তাতে আমাদের জন্য অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছিল, বিশেষ করে আমাদের আত্মবিশ্বাস। আমরা অনেকদিন ধরেই ভালো ক্রিকেট খেলছি। আমরা জানতাম দল হিসেবে আমরা কী করতে পারি।”
"গত এক মাস খুব আকর্ষণীয় ছিল। সেই দিনটির (ইংল্যান্ডের কাছে হারের) পর আমাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসে। সেই রাত আমাদের জন্য অনেক কিছু বদলে দিয়েছিল। এটি প্রত্যেকের উপর প্রভাব ফেলেছিল। আমরা বিশ্বকাপের জন্য আরও প্রস্তুত হলাম। আমরা ভিজ্যুয়ালাইজেশন এবং মেডিটেশন শুরু করেছিলাম। আমরা বারবার বলছিলাম, যে জন্য আমরা এখানে এসেছি এবং এবার আমাদের এটা করতেই হবে।" - যোগ করেন হারমানপ্রীত।
প্রথম যে কোনো কিছুই আনন্দের। রোমাঞ্চের। এই অভিজ্ঞতা শব্দে বয়ান করা যায় না। বয়ান করা সম্ভব হয় না। হারমানপ্রীতও পারেন না নিজের সবটা উজার করে বলতে। তবে এই শিরোপায় তাদের নাম লিখা হবে সেই আত্মবিশ্বাস তারও ছিল, ‘‘আমরা বহু বছর ধরে এটি নিয়ে কথা বলছি—আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি, কিন্তু আমাদের একটি বড় শিরোপা জিততেই হতো।"
ঢাকা/ইয়াসিন