রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় দুটি বাসের পাল্লাপাল্লির সময় মাঝে চাপা পড়ে প্রাণ গেছে জহুরুল হক সেলিম (৫২) নামের এক ব্যক্তির।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। সেলিম তাঁর ক্যানসারে আক্রান্ত ছেলেকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুই বাসের পাল্লাপাল্লির মাঝে পড়ে মারা যান বলে জানান তাঁর এক স্বজন।

সেলিমের গ্রামের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম আবদুল মজিদ। সেলিমের দুই ছেলে রয়েছে। এক ছেলের নাম জুবায়ের (১৩)। সে ব্ল্যাড ক্যানসারে আক্রান্ত বলে জানান সেলিমের স্ত্রীর বোন সিনথিয়া বেগম।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আট থেকে নয় মাস আগে জুবায়েরের ক্যানসার ধরা পড়ে। সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। ছেলের চিকিৎসার জন্য সেলিম ঢাকা মেডিকেলের পাশে বকশীবাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।

সিনথিয়া বেগম বলেন, সেলিম গতকাল রাতে ছেলেকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে তিনি বকশীবাজার মোড় ও বুয়েটের মাঝামাঝি সড়ক পার হচ্ছিলেন। সে সময় দুটি বাসের পাল্লাপাল্লির মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর ডান হাতে প্লাস্টার করে দেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিনথিয়া বেগম বলেন, পাল্লাপাল্লির ঘটনায় যুক্ত মৌমিতা পরিবহন নামের একটি বাস আটক করে স্থানীয় লোকজন। বাসটির চালককেও আটক করা হয়। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক জানান, সেলিমের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় মেনে নেবে না হেফাজত’

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, ‘সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি। বাংলাদেশে এ কার্যালয় স্থাপন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। মেনে নেবে না হেফাজতে ইসলামও।’

আজ বুধবার বিকেলে সিলেট নগরের দরগাগেট এলাকার একটি রেস্তোরাঁ মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিলেট মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আজিজুল হক এ কথা বলেন।

হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে ইসলামি শরিয়াহ্‌, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা করেছে।’

মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আরও বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের বক্তব্য চরম আপত্তিকর। হেফাজতের পক্ষ থেকে এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানাচ্ছি। পাশাপাশি দেশের জন্য ক্ষতিকর এই উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করছি।’

সিলেট মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ আসজাদ আহমদ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ শামিম আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় সভা হয়।

সভায় হেফাজতে ইসলামের সিলেট মহানগর শাখার ১৮৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা পড়ে শোনান সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ আসজাদ আহমদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ