নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আইভীর জামিন নামঞ্জুর
Published: 9th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কারখানার শ্রমিক সজল মিয়া (২০) হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আজ আদালতের শুনানিতে আইভীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আওলাদ হোসেন, জাহিদুল হক, জিয়াউল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আবু ইশতিয়াকসহ ১০ থেকে ১২ জন অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
পিপি আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক মেয়র আইভীর আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করলে তাঁরা জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আইভীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের সামনে অবস্থানরত ছাত্র-জনতাকে প্রতিহত করতে আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করে ভীতি তৈরি, এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করে অনেককে গুরুতর জখম করেন। এ সময় আসামিদের ছোড়া গুলি জুতা কারখানার শ্রমিক সজল মিয়ার পেটে বিদ্ধ হয়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মা রুনা বেগম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম, সাবেক সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত সজল সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার হাসান আলীর ছেলে। আইভী ওই মামলার ৬ নম্বর আসামি। আজ আইনজীবীদের মাধ্যমে আইভী জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আওলাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় আইভীর নাম ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। কে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন, কার গুলিতে ভুক্তভোগী মারা গেছেন, তাঁর নাম এজাহারে নেই। এ জন্য তাঁরা আদালতে তাঁর (আইভী) জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন। এতে তাঁরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁরা জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যাবেন।
গত ৯ মে ভোরে শহরের দেওভোগের বাড়ি থেকে সাবেক মেয়র আইভীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁকে গত বছরের ২০ জুলাই পোশাককর্মী মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাসহ মোট ছয়টি মামলা আছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে আইভী কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণে ৩১ দফার প্রচার-প্রচারণায় সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতানপাড়া তালতলা ক্লাব এলাকায় ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের পক্ষে ধানের শীষের জন্য এ উঠান বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
এরআগে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকা থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করে তালতলা ক্লাব এলাকায় এসে শেষ করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য মো: জুয়েল রানার সঞ্জালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো: রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো: অকিল উদ্দিন ভুঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো: রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ তার বক্তব্যে বলেন, আমরা এই আন্দোলন সংগ্রাম করছি, আন্দোলন-সংগ্রাম শেষ করে এই ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় দেয়ার পরে আমাদের মূল লক্ষ্য হল ভেঙ্গে দেয়া দেশটাকে সংস্কার করা। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ এই দেশের প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্ট নষ্ট করে ফেলেছে।
আমাদের জননেতা তারেক রহমান এই ফ্যাসিষ্টদেরকে বিদায় করার পাশাপাশি তিনি রূপরেখা তৈরি করছিলেন এবং বলেছেন যে আমরা এই এই সংস্কারগুলো করব। দুই বছর আগেই তিনি ৩১ দফা ঘোষণা করেছিলেন। বিএনপি ৩১ দফাগুলো নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছে।
এখন আপনারা যদি আগামী ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত করে ম্যান্ডেট দেন এবং ধানের শীষকে আপনারা প্রতীক হিসেবে বেছে নেন তাহলে নির্বাচিত হয়ে এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো: কবির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম হীরা, সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মো: সাখাওয়াত হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব মো: সোহেল রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন, নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-ষবাপতি মোয়াজ হোসেন মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুদ্দিন নুরু, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলজার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাজী মারুফ, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল, নুর হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন মিন্টু, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধান, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী, বাবুল হোসেন, শাহীন আলম, যুবদল নেতা মাইনুল হোসেন, দুলাল হোসেন, গাজী মাসুম, গাজী স্বপন ও গাজী সোহানসহ প্রমূখ।