শূন্য করদাতাদের হিসাব খাতিয়ে দেখা উচিৎ: অর্থ উপদেষ্টা
Published: 9th, July 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ক্ষেত্রে অডিট করা খুবই জরুরি। সংস্থাটির মতে, প্রতি ১০০ জনে ৭০ জনই জিরো ট্যাক্স দেয়, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। যে ৭০ ভাগ শূন্য কর দেখাচ্ছে তাদের হিসাব খতিয়ে দেখা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত অডিট অ্যান্ড একাউন্টিং সামিটের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে এফআরসির চেয়ারম্যান ড.
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতে অডিটিং-অ্যাকাউন্টটি বড় বিষয়। তবে যারা এসব কাজে জড়িত তাদের স্বচ্ছতা ও সততা সবার আগে বড় বিষয়। অনেক প্রতিষ্ঠান অডিটের যে পেপার সাবমিট করে যার বেশিরভাগই মানসম্পন্ন না।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এনবিআরের ক্ষেত্রে অডিট করা খুবই জরুরি। এনবিআরের মতে, প্রতি ১০০ জনে ৭০ জনই জিরো ট্যাক্স দেয়, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। যে ৭০ ভাগ শূন্য কর দেখাচ্ছে তাদের হিসাব খতিয়ে দেখা উচিৎ। আবার ১৮ লাখ রিটার্ন জমা পড়ছে সে তথ্যেও গড়মিল থাকতে পারে। যারা অডিট করেন তাদের অন্তর দৃষ্টি দিয়ে অডিট কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান রইল। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো বিষয়ে তিনি বলেন, যদি আমরা বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে চাই তাহলে অডিটিং এবং একাউন্টিংকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে অনেক বাধা বিপত্তি আছে। অনেকেই মনে করছেন আর্থিক খাতের সংস্কার বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রস্তাবেই হচ্ছে, বাস্তবে এমনটা না। সরকারের নিজস্ব উদ্যোগেও সংস্কার হচ্ছে। তবে তার ভালো পদক্ষেপ নিলে আমরা কোনো তা নেব না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড আহসান এইচ মনসুর বলেন, অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্ট গড়মিল পাওয়া যায়। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি (রিস্ক বেসড সুপারভিশন) পুরোপুরি কার্যকর হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বিশ্বাস অর্জন করতে গেলে অডিট রিপোর্টে স্বচ্ছতা ও সঠিক তথ্য দিয়ে রিপোর্ট সাবমিট করতে হবে। এটার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক জয়েন্টলি কাজ করবে। পাওনা নিয়ে চার সরকারি প্রতিষ্ঠানে অডিট করতে গেলে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেনি। যদি একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড কোনো প্রতিষ্ঠান অনুসরণ না করে তাদের ওপর শাস্তি আরোপ করা উচিৎ।
অডিটরদের সৎ থাকার পরামর্শ দিয়ে দুদক আব্দুল মোমেন চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে আমি যদি বিচার করি তাদের অডিট রিপোর্ট দিয়ে তাহলে স্বচ্ছ অডিটর পাওয়া যাবে না। আইএফআইসি ব্যাংকে প্রচুর কেলেঙ্কারি হয়েছে। সালমান এফ রহমান অডিট রিপোর্টের সহায়তায় একটা পেপার কোম্পানির ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তথ্য দেখিয়ে অর্থ নিয়েছেন। গত শাসনামলে ব্যাংক খাতের একের পর এক আর্থিক অনিয়ম হলে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এসব অডিট রিপোর্ট লুকানোয় শীর্ষ অডিট ফার্মকে চিহ্নিত করেছে এটা প্রশংসার দাবিদার। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনব আর
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে বন্দরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে বন্দরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে চরম র্দূভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগন। পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারনে বন্দর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবারও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়াও বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া, চর ঘারমোড়া, বুরুন্দী, ১নং মাধবপাশা, কান্দীপাড়া, হাজরাদী চাঁনপুর, শান্তিনগর, চর ধলেরশ্বরী, কলাগাছিয়া, মহনপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের কারনে বন্দরে শীতলক্ষ্যা, ধলেরশ্বরী ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে বন্দরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে দিনমজুর, কর্মজিবী ও শিক্ষার্থীরা মারাত্মক ভোগান্তি শিকার হয়েছে। বন্দরে অধিকাংশ রাস্তা ছিল ফাঁকা।
এ ব্যাপারে দিনমজুর রমজান মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, গত কদিনের টানা বৃষ্টির কারনে আমাদের রুজিরোজগার কমে গেছে। বৃষ্টিপাতের কারনে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন। এ ছাড়াও অনেক দিনমজুর বৃষ্টির মধ্যে গাড়ী চালিয়ে জ্বর, ঠান্ডাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
নৌ- বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত সোনাকান্দা ডকইয়ার্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জি এম আজমীর গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের স্কুলে পরিক্ষা চলছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে রাস্তা ঘাটে রিক্সা, মিশুক থাকছে না। দ্বিগুন ভাড়া দিয়েও রিক্সা মিশুক পাচ্ছি না। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে পরিক্ষা দিতে হচ্ছে।
দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকার বাসিন্দা হৃদয় আহাম্মেদ শাহীন গণমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে দক্ষিন ঘারমোড়া প্রধান সড়কে হাটুপানিতে পরিনত হয়েছে।
পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারনে চরম র্দূভোগের মধ্য রয়েছে সাধারণ জনগন। কৃত্রিম বন্যার কবল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগীরা।